নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটি সৌভাগ্য, প্রতিটি মুহূর্তেই এই সৌভাগ্য অস্পৃয়মান তাই বর্তমান নিয়েই মগ্ন থাকতে চাই।

পুলক ঢালী

জীবন বয়ে চলে অজানা পথে

পুলক ঢালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাটোরের রানী ভবানীর রাজবাড়ী ভ্রমন

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭




প্রবেশমুখে জীবনানন্দ দাশ তার শান্তিদায়িনীর কথা স্মরন করে আপনাদেরও বর্তমান/ভাবী শান্তিদায়িনীর কথা স্মরনে রেখে সম্ভাষন জানাবেন। :D


বেশ কিছুদিন আগে নাটোরের রানী ভবানীর রাজবাটি পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছিলো। রানী ভবানী সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা ছিলনা। ওখানে গিয়ে জানলাম।
কামদেব মিত্র নাটোর রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ । তার তিন ছেলের একজন রামজীবন একজন রঘুনন্দন এবং আরেকজন বিষ্ণু প্রসাদ। মেঝো পুত্র রঘুনন্দন ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তিন ভাইকে বাবা পুটিয়ায় পাঠান পারশিয়ান ভাষা এবং অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতার জন্য পুটিয়ার রাজা দর্পনারায়ন তাকে নিজের প্রতিনিধি এবং উকিল হিসাবে ঢাকার নবাবের কোর্টে নিয়োগ দেন। সেখানেই তিনি নবাব মুর্শিদ কুলী খাঁর নজরে পড়েন এবং একপর্যায়ে তিনি নবাবকে একটি ভীষন বিপদ থেকে উত্তরনে সাহায্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এক সময় নবাব তাকে দেওয়ান নিযুক্ত করেন এবং রয়-এ-রয়ান খেতাবে ভূষিত করেন। সেই সময় খাজনা দিতে না পারা জমিদার বা খাজনা দিতে অস্বীকার করা জমিদারদের জমিদারী নবাব দখলে নিয়ে অকশনে নুতন জমিদার নিয়োগ দিতেন।
এরকম সময়ে ১৭০৭ সালে খাজনা দিতে না পেরে বিখ্যাত জমিদার ভগতচরন চৌধুরী এবং গনেশরামের জমিদারী অকশনে উঠলে অতি বুদ্ধিমান রঘু তার বড়ভাই রামজীবনের নামে কিনে নেন এবং এভাবে আশেপাশের আরো অনেক জমিদারী কিনে নিয়ে রাজ পরিবারের পত্তন করেন। রামজীবনও পরে স্বয়ং আরও জমিদারী কিনে ১৩৯টি পরগনার (বিরাট এলাকা বা গ্রাম সমষ্টি বা জেলার অংশ। শব্দটি ফার্সি থেকে এসেছে) মালিক হন।
রামজীবনের দত্তক পুত্র রমাকান্ত রানী ভবানীকে বিয়ে করেন। তিনি খুব বুদ্ধীমতি এবং তেজস্বি নারী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর নবাব আলিবর্দী খাঁ রানী ভবানীকে জমিদারীর ভার অর্পন করেন তিনিও রাজ্য বিস্তার করে অর্ধেক বঙ্গ করায়ত্ব করেন তাই তাকে অর্ধবঙ্গেশ্বরীও বলা হত।
কিছু তথ্য গুগল মামা দিয়েছেন কিছু তথ্য ওখানেই লিপিবদ্ধ আছে।
এবার চলুন ভিতরে প্রবেশ করা যাক ।


হনুমান জ্বী তার সমস্ত বীরত্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন।


মনসা দেবীর কাজ কি জানিনা তবে আমার মনে হয় পাপী এবং অত্যাচারীদের প্রতি তিনি একটা মহা হুমকী।


কোন মানত পূর্ন করার জন্য বা কোন দেবীকে খুশী করার জন্য এমন বেদী মনে হয় বানানো হয়েছে।


একজন বাউল সাধক।


ক্ষুদে মন্দির


শিব মন্দিরে প্রবেশ পথ।


পূজায় ব্যবহৃত কোন ঘট।


কোন একজন দেব/ দেবী।


শিব মন্দির।


রাজবাড়ীটি বড় তরফ ও ছোট তরফ এই দুই ভাগে বিভক্ত।


বৈঠকখানার একাংশ।


আর্চের উপর কারুকার্য আমাকে দারুন মোহিত করে। ঐ সময়কার শিল্পীদের শিল্পকলা এখানে ভীষন অযত্নে পড়ে আছে অথচ এগুলো মেরামত ও রং করে সংরক্ষন করলে এবং সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনলে লাখো পর্যটকের পদচারনায় এ জায়গাটি মূখরিত হয়ে উঠতো আমরা প্রচুর ডলার আয় করতে পারতাম । দেখেছি ব্যাঙ্ককের বিভিন্ন মন্দির বিশেষতঃ স্বর্ণমন্দির কি সুন্দর চত্তর কি ব্যবস্থাপনা কেমন পর্যটকের ভীড় হয়। :D


কিছু দৃশ্য যেগুলো তৈরীতে ভাস্কর্য্য জ্ঞান প্রয়োজন।


শিব এবং কৃষ্ণ সম্ভবত।


বাধাঁনো পুকুরের ওয়ালে অঙ্কিত চিত্র প্রত্যেকের কাধে কর্মের এবং জীবনের বোঝা আর পুকুর রয়েছে আবর্জনায় ভরা।




বৈঠকখানা।


বড় তরফের রাজবাড়ী।


এখানে শ্যামা মন্দির হলেও সব পূজাই হয় বলে শুনেছি।


পিলারের কারুকার্যের মধ্যে মানুষের মূর্তি।






রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ফাটল ধরেছে দেয়ালে, ছাতা পড়েছে শিল্পে, ময়লা জমছে চিত্তে।


ছাদের কার্নিশে কারুময় চিত্রাঙ্কন। বলা হয় রানী ভবানীর মূর্তি।


রাজবাটিতে অনেকগুলি পুকুর আছে। পুকুরের আশে পাশে কিছু ঝোপঝাড় কিছু পরিত্যাক্ত স্থাপনা আছে যা নির্জনতা প্রত্যাশীদের জন্য আদর্শ স্থান। তেমন কিছু দৃশ্য চোখে পড়ায় মায়া লাগলো আহা বেচারা বেচারীদের জন্য আসলে কোন জায়গাই নেই তাই জোক সাপ খোপের ভয় উপেক্ষা করতে হচ্ছে।


পুকুর লিজ দেওয়া হয়েছে। আয়টি দেবোত্তোর সম্পত্তির তাই রক্ষনাবেক্ষনে তা ব্যয় হওয়ার কথা আসলে তা হয় কিনা তা একটা বিরাট প্রশ্ন ।


বিরাট পুকুর এবং পুকুরের পাশে ঝোপঝাড় ও পরিত্যাক্ত স্থাপনা।




পুকুরের স্বচ্ছ টলটলে জলে ঝাপিয়ে পড়ে সাতার কাটতে ইচ্ছে করে।


পাঁচটি মাথা বিশিষ্ট আরেকটা মনসা দেবীর মূর্তি।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

সুমন কর বলেছেন: ঝকঝকে সুন্দর সব ছবি।
+।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি সুমন কর ভাই। ভাল থাকবেন।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর+

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ সনেট কবি। প্লাসে প্রীত হলাম। ভাল থাকবেন।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
এগুলো দেখলে তাদের সময়ের অধুনিকতার আলাদা করে খোঁজ নিতে হয় না।

জানলাম অজানা অনেক তথ্য। ধন্যবাদ পুলক ঢালী ভাই।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৪

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ ইসলাম ভাই সুন্দর মন্তব্যে ভাল লাগা রইলো ভাল থাকবেন।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: কী অযত্ন, অবহেলায় পড়ে আছে মনে হচ্ছে! ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের খুব একটা ভাবনা চিন্তা নেই।

পুকুরও চরম দুষিত মনে হল। এগুলো কি জেলা প্রশাসন দেখতে পায় না।

*রাণী ভবানীর মেয়ের নাম তারা সুন্দরী। মনে করতাম উনার কোনো মেয়ে ছিল না।

ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে অতীতকে সামনে আনার জন্য।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাস্তবতা উপলব্ধি করেছেন আমারও খুব অবহেলিত মনে হয়েছে। ভাল থাকুন আখেনাটেন ভাই।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছোটখাটো একটা ট্যুর হয়ে গেলো। ছবির জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা ভাল বলেছেন। দেশের ভিতরেই তো সময় করে সত্যি সত্যি ট্যুর দিয়ে ফেলবেন। পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: ঐতিহ্যকে অবহলো করছেন, ঐ জেলার জেলা প্রশাসক।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

পুলক ঢালী বলেছেন: ঐতিহ্যকে অবহলো করছেন, ঐ জেলার জেলা প্রশাসক।
একদম ঠিক বলেছেন। কবে যে মানুষ এগুলোর মূল্য দিতে শিখবে। ভাল থাকুন তারেক ফাহিম ভাই।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কয়েক বছর আগে , আমি গিয়েছিলাম -
আপনার ছবি গুলো সুন্দর আসছে :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা ম্যাডাম। এটার তুলনায় দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ী অনেক মনযোগ পেয়েছে। ওটা এখন উত্তরা গনভবন নামে পরিচিত। ভাল থাকুন।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অভিজিৎ দাস বলেছেন: ভালো লাগলো । ছবিগুলো ভালো লাগলো ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

পুলক ঢালী বলেছেন: ভাল লাগা জানিয়েছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই অভিজিৎ দাস। ভাল থাকুন।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ওমেরা বলেছেন: ছবি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

পুলক ঢালী বলেছেন: প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ওমেরা। ভাল থাকবেন।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার সব ছবিসহ অসাধারণ পোস্ট।


ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা গুরুজী আপনার প্রশংসা না পেলে সব অর্থহীন মনে হয়। ;) আপনাদের বাড়ী যে এমন স্বনামধন্য যায়গায় তা জানা ছিলনা ওখানেও দর্পনারায়নের রাজবাড়ী রয়েছে। যেখানে রানীভবানীর শ্বশুর পড়াশুনা করেছেন। ভাল থাকুন হেনাভাই।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নাটোর গিয়েছি, কিন্তু এসব দেকার সুযোগ হয়নি, তবে কোন একদিন ঠিকই আমি দেখবো।

ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ভাই।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১

পুলক ঢালী বলেছেন: স্বাগতম ! ছবিব্লগের গুরু এবং বাংলার ইবনে বতুতা। আপনি অবশ্যই সুযোগ করে একবার ঘুরে দেখে যাবেন। আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো ভাল থাকুন। মন্তব্যে ভাল লাগা রইল।

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

পুলক ঢালী বলেছেন: সামমা ভাই আপনার আপ্যায়ন পুরোপুরি উপভোগ করলাম আহ্ ধুমায়িত চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়ে তৃপ্তিটা সারা শরীরে অনুভব করলাম । দারুন মজা হয়েছে আপনার চা, টা থাকলে আরো মজা হতো:D
অনেক ধন্যবাদ রইলো।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

শায়মা বলেছেন: আমিও গিয়েছিলাম! :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১

পুলক ঢালী বলেছেন: তাই ! জানাবার জন্য ধন্যবাদ ভাল থাকুন।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট , আমিও গিয়েছিলাম ২০১৪ সালে , আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম তখনকার দিনের সয়ংক্রিয় পানি সরবরাহ ব্যাবস্থা থেকে , রানী ভবানীর সময়েও এই রাজবাড়িতে পানি সরবরাহের জন্য পাম্প ছিল ! যদিও এখন তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সোনালী ঈগল২৭৪। সে সময় বোধ করি বিদ্যুৎ ছিলোনা। আমার মনে হয় উত্তরা গনভবন যেটা আসলে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী নামে পরিচিত ওখানে পরিখার পাশে একটা পাম্পের অস্তিত্ব রয়েছে খুব সম্ভব প্যাডাল চালিত পাম্প ছিল।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ নাটোর নিয়ে সুন্দর পোষ্টের জন্যে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা ধন্যবাদ ভাই সুদীপ কুমার আপনার বাড়ী কি নাটোরে? মন্তব্যে ভাল লাগা রইলো।

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক কথায় মনোমুগ্ধকর দাদা।
+++++

শুভকামনা ও ভালোবাসা নেবেন ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই খুব খুশী হলাম আন্তরিক মন্তব্যে। ভাল থাকবেন শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৫

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনার ছবি তোলার কোনও জ্ঞান নেই। এভাবে বলতে পারলাম কেন? কারণ রাজবাড়ীটির প্রত্যেকটি এঙ্গেল আমি চিনি জানি।
তারপরও ধন্যবাদ, প্রচেষ্টার জন্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা একদম সঠিক কথা বলেছেন প্রশ্নবোধক (?) ভাই। ছবি তোলাটাকে আর্ট বা শিল্পের পর্যায়ে নিতে হলে ফটোগ্রাফির উপর প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়। আমি এ ব্যাপারে একদম মূর্খ এ বিষয়ে এক লাইনও পড়িনি। সাদা চোখে যা দেখেছি তাতেই ক্লিক করেছি কেমন হলো সে বিষয়টা নিয়ে ভাবিনা শুধু অবজেক্টটা চেনা যায় কিনা মানুষ ছবি দেখে বাড়ীকে পুকুর এবং পুকুরের ছবিকে বাড়ী না ভাবলেই আমি সফল। এই ছবি দেখে আমাদের ব্লগার বন্ধুরা মনে হয় অবজেক্ট গুলিকে ঠিক ঠিক চিনতে পেরেছেন এটুকুই আমার সাফল্য বলে মনে করি।
আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রানিত করেছে । অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। :D

১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: বাহ!! চমৎকার পোষ্ট। সুন্দর সব ছবিতে ছবিতে আমিও ঘুরে এলাম নাটোরের রাজবাড়ীতে।

শুভকামনা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

পুলক ঢালী বলেছেন: বাহ্! কি সুন্দর মন্তব্য করে অনুপ্রনিত করলেন অনেক অনেক ধন্যবাদ ম্যাডাম শিখা রহমান। ভাল থাকুন সবসময় শুভেচ্ছা রইলো।

১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০১

শামচুল হক বলেছেন: নাটোর দুইবার গিয়েছিলাম কিন্তু সময়ের অভাবে দেখা হয় নাই। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব শামচুল হক। ব্যাস্ততা আমাদের অনেক আনন্দময় মুহূর্ত থেকে বঞ্চিত করে সেই বঞ্চনা কাটাবার জন্য ছবিব্লগ অনেকটাই সহায়ক আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো ভাল থাকুন।

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০০

অভিশপ্ত জাহাজী বলেছেন: আহা !! মশাই, মনে হচ্ছে রাতের দুটো বাজেই রওনা হয়ে যাই। কি এক মায়াবী জাদুকরী স্থপতি আর পরিবেশ। দিঘিরে জল দেখে এখনই নেমে এই হতভাগার এখনই নেমে পরতে মন চাইছে।
স্থিরচিত্র এর সংগ্রহ গুলো অদ্ভুত সুন্দর ছিল দাদা। ভালোবাসা নিবেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা এত উতলা হবেন না ভাই ! ক্যামেরার রঙ্গীন চোখ আর আমাদের সাদামাটা চোখে বিরাট পার্থক্য।
তবে দিঘীর টলটলে স্বচ্ছ জলে ঝাপিয়ে পড়ে শান্তিময় পানির ছোয়াঁ সারা শরীরে অনুভব করার স্বর্গীয় সুখটুকু পেতে এখানে এসে ঝাপ দিতে পারেন বটে!
আপনার মন্তব্যের আবেগ আমাকে ছুঁয়ে গেল। ভাল থাকবেন সবসময়।

২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই রাজবাড়ীতে যাবো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

পুলক ঢালী বলেছেন: ঠিক আছে আসুন এখানে, তবে বলে রাখি নাটোরের উত্তরা গনভবন আরো সুন্দর। ওখানে ইটালী গার্ডেন আছে যেখানে ইটালীর মার্বেল পাথরে তৈরী অনেক স্ট্যাচু আছে, তবে কি কারন জানিনা ওখানে সর্বসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা আছে।
ভাল থাকুন।

২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

নীলপরি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম । ছবি ও লেখা দুটোই খুব ভালো লাগলো ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা আনন্দের হাসি হাসলাম। ধন্যবাদ নীলপরি ভাল থাকবেন।

২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন: প্রত্যেকটি ছবিতে দেখি দক্ষতা ছাপ,পেশাদারিত্ব । খুব সুন্দর সব ছবি । :) বৈঠকখানা ও পুকুরের ছবিগুলো বেশি নজর কাড়লো আমার :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা রাকু হাসান বেশী ভাল বলে ফেলেছেন । দক্ষতার ক্ষেত্রে সেরা হলো সাদা মনের মানুষ ভাই আমরা কামাল ভাই বা সামমা ভাইও বলি উনি আমার খুব প্রিয় মানুষদের মধ্যে একজন।
আর পেশাদারিত্বের প্রশ্নই আসেনা। আপনি অনেক ভাল মানুষ তাই সব কিছুতেই ভাল দেখেন। :D
আপনার প্রশংসায় খুব খুশী হলাম ভাল থাকবেন ক্রিকেট পাগল ভাই। :)

২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

লাবিব মাহফুজ বলেছেন: সবচাইতে সুন্দর লাগলো পুকুরের জলে সাদা মেঘের সাঁতার। এমন সুন্দর পুকুর অনেকদিন দেখিনি। ধন্যবাদ ভাই।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লাবিব মাহফুজ ভাই। আপনি আমার হৃদয় ছুয়ে দিলেন এই নিস্তরঙ্গ পুকুর এবং শরতের সাদা মেঘের ভেলা দেখেই আমার পানিতে ঝাপ দিতে ইচ্ছে করছিলো। :D
মন্তব্যে একজন প্রকৃতিপ্রেমী পেয়ে ভাল লাগলো ভাল থাকুন।

২৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চাঙ্কু বলেছেন: চমৎকার একটা জায়গা কিন্তু প্রশাসন মনে হয় না এটার ভালো করে দেখভাল করে!! দেশী-বিদেশী সবার জন্য এইটা অসাধারন একটা টুরিষ্ট স্পট হতে পারত!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চাঙ্কু ভাই আপনি বিদেশে থাকেন বলেই ঠিক ঠিক মন্তব্য করেছেন। আমাদের অবস্থা হলো গাঁয়ের যোগী ভিক পায়না এমন অথচ গাটের পয়সা খরচ করে বিদেশের টুরিষ্ট স্পটগুলিতে আমরা কম ভীড় জমাইনা।
আপনি বুঝতেই পারছেন বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিতে ক্যাবলকার সহ দারুন দারুন সব টুরিষ্ট স্পট বানানো যায়। টেকনাফ থেকে মিরেশ্বরাই পর্যন্ত মনে হয় হাজার হাজার টুরিষ্ট স্পট বানানো সম্ভব তাতে যে আয় হবে সেই আয় আমাদের মেয়েদের সৌদিতে বিক্রী করার চেয়ে অনেক বেশ হবে বলে ধারনা করি। আমরা টুরিষ্ট স্পট করিনা তাতে আমাদের মেয়েরা নষ্ট হবে এই ভয়ে (অসার যুক্তি) তাতে লক্ষ মানুষেরও কর্মসংস্থান হতো অথচ বিদেশে মেয়েদের বিক্রী করতে আপত্তি নেই। হায়রে সেলুকাস!!
ভাল থাকবেন চাঙ্কু ভাই।

২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: নাহ্ হলোনা। আমাকেই বোধ হয়। ব্লগ লিখতে হবে। লেখকের চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ। তবে নাটোর রাজবাড়ীকে নাটোরের বাহিরের মানুষের কাছে রিপ্রেজেন্ট করতে হলে আরেকটু বিসদ ফটোতে তুলতে হতো। আবারও বলছি প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

পুলক ঢালী বলেছেন: ফিরতি মন্তব্যে ধন্যবাদ। জ্বী ভাই আপনি একটা ছবিব্লগ দিন সেটা নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর হবে। ভাল থাকুন।

২৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলো দেখে ভাল লাগল।
আচ্ছা ভাইয়া নাটরের বনলতার সাথে দেখা হয়নি?তার একটা ছবি দিতে পারতেন ;)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা অনেক ধন্যবাদ সোহেল ভাই। কি আর বলবো ! আশেপাশে অনেক জীবনান্দরা তাদের বনলতাদের নিয়ে মশগুল ছিলো তাদের ছবি উঠানো রীতিমত ক্রাইম বলে মনে হলো। এক সময় আমি আমার বনলতাকেও খুঁজে পেলাম ;) বললাম, "এসো ছবি তুলি" বললো, " ইইইইসসসসস্ যাহহহ্ দুষ্টু ! :D " এখন আপনিই বলুন ছবি ক্যামনে দেই ???
আপনার মজার মন্তব্যটা খুব ভাল লাগলো। ভাল থাকুন সোহেল ভাই।

২৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। এই জায়গায় ঘুরে এসেছিলাম। আমি যখন গিয়েছিলাম, তখন পুজো হচ্ছিলো। তবে দুঃখ লাগে কি জানেন? প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবের এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মানুষ একদমই সচেতন নয়, দেখুন না পুকুরের অবস্থা কি! আমি যখন গিয়েছিলাম তখন পুকুরটার পানি আরো পরিষ্কার ছিলো।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জাদীদ ভাই। একদম ঠিক কথা বলেছেন । পূজার সময়তো তবুও কিছুটা সংস্কার করা হয় অন্য সময় অবস্থা খুব করুন থাকে সেটা তো দেখতেই পারছেন।
মন্তব্যে অনেক ভাললাগা রইলো অনেকদিন পর এলেন মাঝে একটা পোষ্টে লাইক দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। আপনাকে দেখলেই কাটপিস আর মালের কথা মনে পড়ে :D =p~ =p~
অনেক ভাল থাকবেন।

২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। ছবিগুলো খুব সুন্দর, ঝকঝকে, বড় সাইজের-তাই দৃষ্টিনন্দন।
১৭ এবং ২৬ নং প্রতিমন্তব্য ভালো লেগেছে।
ঠিক এর আগের পোস্টটাতেও এ বছরের শুরুতে আমি একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম, যা আপনি হয়তো এখনো দেখেন নি।

আখেনাটেন বলেছেন: কী অযত্ন, অবহেলায় পড়ে আছে মনে হচ্ছে! ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের খুব একটা ভাবনা চিন্তা নেই। পুকুরও চরম দুষিত মনে হল। এগুলো কি জেলা প্রশাসন দেখতে পায় না - তিনি ঠিক বলেছেন। আমারও একই কথা।

পোস্টে প্লাস। + +

২৫ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

পুলক ঢালী বলেছেন: খায়রুল ভাই প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখন ব্লগে ধকা হয়না তাঁই অনেক কিছু মিস হয়ে যায়। পোষ্ট দেখে মন্তব্য রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সরকার উত্তরা গণভবনের সংস্কার করলেও এদিকে তখনো মনোযোগ দেওয়া হয়নি। এখনকার অবস্থা জানা নেই।
ভাল থাকবেন ভাই,শুভেচ্ছা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.