নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০২ সালে। বিদ্যালয়টি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া তে অবস্থিত।
মাঝখানে নিরবে চলে গেছে ১২২টি বছর । মহাকালের হিসেবে ১২২ বছর কোন ব্যাপার না হলেও আমাদের ক্ষুদ্র জীবনের তুলনায় এটা অনেক বিশাল একটি সময়।
এই অঞ্চলে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে সেই আমলের কতিপয় বিদ্যোৎসাহী মহামানবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার বিশাল পথ অতিক্রম করে আজকের অবস্থায় এসেছে ।
এই বিশাল সময়কে আমার কাছে মনে হয়েছে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে । প্রাচীন আমল, মধ্য আমল এবং অতি আধুনিক আমল।
আমি ভর্তি হয়ে ছিলাম সম্ভবত মধ্যযুগীয় আমলে ।
আমি যখন জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর গ্রামীণ পরিবেশে অবস্থিত একটি অত্যন্ত আদর্শ ক্যাম্পাস যুক্ত বিদ্যালয় ছিল। সেই সময় বিদ্যালয়টির মাঠের পূর্ব পাশে ছিল রাস্তা যেটাকে মেইনরোড হিসেবে সবাই চিনতো ।
মেইন রোডের সাথে কাঁটা তারের সামান্য বেড়া ছিল। আর ছিল লোহার তৈরি সামান্য একটি গেট।
এই গেটের সাথে আবার নাম ফলক ছিল যেখানে লেখা ছিল জয় পাড়া হাই স্কুল স্থাপিত ১৯০২ সন।
সে যাই হোক ৯০ এর দশকের শেষের দিকে এসে কোন এক অজানা কারণে এখানে বিদ্যার মহৎ চর্চার বদলে অর্থনৈতিক চর্চা কোন এক কারণে প্রাধান্য পেয়ে বসে ।
ফলে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটিকে ঢেকে দিয়ে মূল রাস্তার সাথে গড়ে ওঠে বিশাল আকারের বাণিজ্যিক সুপার মার্কেট।
বিদ্যালয়টির সুন্দর ক্যাম্পাসটি আটকা পড়ে এক কারাগারের ভিতরে ।
যেই কারাগার থেকে সুন্দর ক্যাম্পাসটি আর জীবনও বের হয়ে আসতে পারবে না।
আমাদের সময়ে বিদ্যালয়ে প্রাচুর্য ছিল না কিন্তু মায়া মমতা ছিল, আনন্দ ছিল।
আমাদের সময় বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষে কোন ফ্যান ছিল না। কিন্তু শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও সহপাঠীদের বন্ধুত্বের কারণে পরিবেশটা ছিল খুবই আরামদায়ক ।
সেই সময় জয় পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর পূর্ব দিকের রাস্তার সাথে ছিল একটি শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনারটি দোহার উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবেও পরিগণিত হতো ।
কেননা এখানে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সরকারিভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হতো ।
এখানে মার্কেট নির্মিত হওয়ার ফলে শহীদ মিনারটিকেও ভেঙ্গে ফেলা হয় । সেই শহীদ মিনার আজও গড়ে ওঠেনি ।
স্কুলের মাঠের ভিতরে পুরাতন বিল্ডিং এর সাথে একটা ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে । তবে এই ভাস্কর্যটিকে কোনভাবেই শহীদ মিনার বলা যাবে না।
মার্কেটের দক্ষিণ দিকে কেউ একটা লোহার তৈরি শহীদ মিনার স্থাপন করে দিয়েছে দেখে এলাম।
আমাদের সময় বিদ্যালয়টির সাথে আজকের বিদ্যালয়টির তুলনা করলে মনের ভেতর কেবলই কষ্ট লাগে ।
কেন এই কষ্ট লাগে সেটা বুঝিয়ে বলা যাবে না।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০১
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আচানক