somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৬৮ বছরের ইতিহাসে ৫০ বছরই রাজপথে আওয়ামীলীগ: প্রধান বিচারপতি সাহেব আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য করবেন না

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



৬৮ বছরের ইতিহাসে ৫০ বছরই রাজপথে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, প্রধান বিচারপতি সাহেব আমাদের আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য করবেন না

গত ২১ বছরে ১৪ বছরই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু সমীকরণটা এত সহজ না। ৬৮ বছরের ইতিহাসে ৫০ বছরই রাজপথে সংগ্রাম করতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে।

প্রথম ২২ বছর পাকিস্তানি অত্যাচার সহ্য করেই স্বাধীনতা আনে দলটি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আবারও ২১ বছরের ধাক্কা। দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবার নিশ্চিহ্ন করা, মাইনাস টু ফর্মুলা, দল-দলের বাইরের এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সব মোকাবেলা করেই ৩৫ বছর ধরে নৌকার কাণ্ডারি একজন প্রানপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

সদ্য জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের শুরুতেই প্রতারণা। দিনরাত খেটে মুসলিম লীগের যে কর্মীরা ব্রিটিশ খেদালেন, ক্ষমতা পেয়ে তাদের দূরে ঠেলল মুসলিম লীগ। পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম লীগের একদল সরব কর্মী অনুভব করলেন নতুন প্ল্যাটফর্মের।

মুসলিম লীগ থেকে এক প্রকার বিতাড়িত শেখ মুজিব গড়ে তুললেন ছাত্রলীগ। কিন্তু বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে অনিবার্য ছিল রাজনৈতিক দলের। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগের একাংশ নিয়ে চলল সেই প্রক্রিয়া।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, ঢাকার টিকাটুলিতে রোজ গার্ডেন প্যালেসে জন্ম নেয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। সভাপতি মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবর রহমান।

পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিব।

১৯৫৪ সালের মার্চের আট থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এরমধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ।

index1২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী মুসলিম লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দু’বছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল।

গণআন্দোলন ও আইয়ুবের পতনের পটভূমিতে ‘৭০ এর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আইনসভায় (জাতীয় পরিষদ) পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তান থেকে ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন দখল করে আওয়ামী লীগ ৩১৩ আসন-বিশিষ্ট পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং সরকার গঠনে ও শাসনতন্ত্র প্রণয়নের যোগ্যতা অর্জন করে। প্রাদেশিক পরিষদের আসনের মধ্যে ২৮৮ আসন পায় দলটি। জাতীয় পরিষদের সাতটি মহিলা আসন এবং প্রাদেশিক পরিষদের দশটি মহিলা আসনের সবগুলোতেই জয়ী হয় আওয়ামী লীগ।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বাঙালির অধিকার নস্যাৎ করার পথ বেছে নেয়।

স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর রাজপথে ছিল দলটি। বিশেষ করে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে। এই আন্দোলন চলাকালে ১০ই নভেম্বর পুলিশের গুলিতে যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন নিহত হন।

২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসে আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আবারও ২০০১ সালে নির্বাচনে হেরে গিয়ে রাজপথে থাকে দলটি। বিরোধী দলে থেকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে। এর মধ্যে ২০০৬ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতে দলটির নেতাকর্মীরা নির্যাতনসহ হামলা মামলার শিকার হন। তত্তাবধায়ন সরকারে সময় আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষ নেতারা জেল খাটে। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসে এখন পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×