মাহমুদাকে আমি কখনও ভালবাসিনি
সত্যি বলতে ওকে আমার ভয় করতো
এমন কিছু কখনও ঘটেনি যদিও
তবু মনে হতো পৃথিবীর সবচেয়ে ধূর্ত নির্দয় মানুষ ও
কারণ হতে পারে ওর ছিপছিপে দীর্ঘাকায় শরীর
উচ্চমাত্রার বড়সড় চশমা চোখে
এছাড়া পূর্ব ইউরোপের মেয়েদের মতো ফ্যাকাসে সাদা ত্বক
(কেমন প্লাস্টিকপ্লাস্টিক দেখাতো, এদেশে অত্যন্ত বিরল)
আমি জানতাম যে, ও পছন্দ করতো আমাকে
কিন্তু সে ভয় অতিক্রম্য ছিলো না আমার জন্য
আমার শুধু মনে হতো, সম্পর্কের এক পর্যায়ে নির্ঘাত ওর কাছে
বহু ব্যবহারে জীর্ণ পুরাতন পণ্যের মতো অর্থহীন হয়ে যাবো আমি
ওমনি বিনা কালক্ষেপণে এসব বিক্রির কোনও ক্লাসিফাইড সাইটে
আমাকেও বিক্রির ফ্রী চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বসবে
আর যেমন ধূর্ত প্রত্যুতন্নমতিত্বসম্পন্ন মেয়ে; মিষ্টি কথার মায়াজালে
কাওকে পটিয়েপাটিয়ে দ্রুততম সময়ে বিক্রিও করে দিবে
এসব ভেবে মাহমুদাকে বরাবর উপেক্ষা করে গেছি
একদিন বিকেলবেলা ক্যাফেতে ওর দিকে পিঠ করে বসেছিলাম
মাহমুদা বেশ বুঝতে পেরেছিল যে, ওর জন্যই আমার ঘুরে বসা
সেটাই ছিলো আমাদের শেষ দেখা
কিন্তু আজ এতোদিন পর সেদিনের কথা ভেবে আমি অনুতপ্ত
ব্যাপারটা কোনওরকমেই শোভন ছিলো না, উঁহু
স্বাভাবিকভাবে মুখোমুখি বসলেই পারতাম, যেমন বসতাম সবসময়
না হয় মুখ নামিয়ে রাখতাম, আরেক দিকে তাকিয়ে থাকতাম
কিম্বা সেলফোনে গেম খেলতাম দি বিগ ফাইট, টেম্পল রান
পূর্ণ রূপে উপেক্ষা করতাম মাহমুদাকে
যেন মাহমুদা বলে চশমা চোখে দীর্ঘাকায় তরুণীটি আদৌ নেই সেখানে
কেউ নেই অপেক্ষায়, কারও সেই চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৬