রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দারের টিপ পড়ার জন্য একজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক হেনস্তা হবার ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে নিন্দা সমালোচনার ঝড় বইছে। চলছে প্রতিবাদ। পুলিশ সদস্য কর্তৃক এরকম ঘটনা সত্যিই অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত দিচ্ছে আমাদের। বিশেষ সেই পুলিশ সদস্যের মনমানসিকতা চিন্তাভাবনার স্তর ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। আরও আতঙ্কিত হচ্ছি ভেবে যে, নাজমুল তারেক নামের সেই পুলিশ সদস্যের মতো উগ্র সাম্প্রদায়িক মানুষে আজ ভরে গেছে সারা দেশ। অবশ্যই এটা এক দিনে হয়নি। এ পর্যায়ে সমস্যা অনেক গভীর হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জন্য। এরকম ঘটনা এখন হরহামেশাই ঘটে থাকে। ধর্মীয় উগ্রবাদী কট্টর চিন্তাভাবনার লোকজনদের দ্বারা নারীদের এভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হওয়া আজ নিছক সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশে। আমি নিজে দুয়েকটি ঘটনার সাক্ষী। এসব ক্ষেত্রে নারীরা সাধারণত ইগনোর করে থাকে। বাদানুবাদে জড়িয়ে সিনক্রিয়েট করা থেকে বিরত রাখে নিজেদের। ড. লতা সমাদ্দারকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই, ইগনোর না করে তার এই রুখে দাঁড়ানোর মানসিক দৃঢ়তার জন্য। আমি দারুণভাবে আশা করবো যে, তার বীরোচিত এ সাহসিকতা আগামীতে তার মতো আরও অজস্র নারীকে একইভাবে এরকম পরিস্থিতিতে নিজেদের অধিকার সুরক্ষায় রুখে দাঁড়াতে প্রেরণা যোগাবে। অপরাধী পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যদিও এ ব্যাপারে আমি সন্দিহান। দেশের সর্বত্রই আজ নাজমুল তারেকের মতো মানুষদের বিচরণ। হয়তো দেখবো যে, এই কুকর্মের জন্য উল্টো সবখানে সে তার সমমনা প্রতিক্রিয়াশীল কট্টর চিন্তাভাবনার লোকজনদের কাছ থেকে ঢের বাহবা সাবাসি পাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৬