বাংলাদেশ স্বাধীন ছিল মাত্র ২৩ থেকে ২৪ দিন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত,কোন পত্রিকাতে সিঁধেল চুরি, গরু চোর, পকেট মারিং এর নিউজ হয়নি। সবার মধ্যে একটা অনুভূতি ছিল যে, এত রক্ত, এত ত্যাগ, এত মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে দেশটা স্বাধীন হতে যাচ্ছে , সেদেশে আমরা সবাই মিলে খাবো, পড়বো, সবার ঘরবাড়ি থাকবে, সবার চিকিৎসা হবে , শিক্ষা হবে, সবার কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা হবে।
আইসা (১০ জানুয়ারি থেকে) শুরু হল লুটপাট। রিলিফ চুরি, কম্বল চুরি, টিন চুরি এগুলি। প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে এই ২৪ দিন (১৬ডিসেম্বর-৯জানুয়ারি) ছিল #বাংলাদেশটা #স্বাধীন। বিভিন্ন জেলা গুলোতে মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন জেলার দায়িত্বে।
বঙ্গবন্ধু আসার পর, ১০ জানুয়ারির পরে যে এসপি, পাক আর্মীর কাছে একদল মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দিয়েছে, যে ওসি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দিয়েছে, যে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে, বঙ্গবন্ধু আবার তাঁদের পোস্টিং দিলেন। যেমন গাজীপুরে প্রবাসী সরকারের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসক ছিলেন জিন্না পাঠান, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি আসার পরে জিন্না পাঠান আর থাকলেন না, মুক্তিযোদ্ধারা আর থাকলো না, খুলনাতে দায়িত্বে ছিল কামরুজ্জামান টুকু, টুকু আর থাকলেন না । তাঁর অর্থ পাকিস্তান আর্মীকে যে প্রশাসন সাহায্য করেছে তাঁদেরকে আবার আনা। তাঁর অর্থ পুরাতন আইন-কানুন এগুলো দিয়ে আবার রাষ্ট্র পরিচালিত হতে থাকলো। নামে আমরা স্বাধীনতা পেলাম, ভৌগোলিক এলাকা পেলাম কিন্তু আইন-নীতি প্রশাসন ব্যাবস্থা রয়ে গেলো ঔপনিবেশিক আমলের। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষাতে আভ্যন্তরীণ পরাধীনতা।
মানে আগে ছিলাম বিদেশীদের দ্বারা পরাধীন, এখন হয়ে গেলাম দেশীয় লোকদের দ্বারা পরাধীন। আমরা দেখলাম যে দেশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হল, পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পন করলো তাঁদের বিচার হল না, ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হল।।
সাক্ষাৎকার
আ স ম আব্দুর রব
প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তলোক
ও
নিউক্লিয়াস সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক।
নিচে, Document হিসাবে আ স ম আব্দুর রবের সাক্ষাৎকারের Sound cloud অডিও ক্লিপ সংযুক্ত করে দেওয়া হল। ইউটিউবে এই সাক্ষাৎকারের পূর্ণাংগ VIDEO পাবেন।
https://soundcloud.com/wasim-bonol/a-s-m-abdur-rob-3munites