somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা এখন কোন জামানায় অবস্থান করছি ?

১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১ম পর্ব
আল-হামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন অয়া সালামু আলা রুসুলিহি-
আমরা আসলেই এখন কোন জামানায় অবস্থান করছি তা নিম্নক্ত হাদিসগুলো হতে নিশ্চিত হওয়া যায়। যেমন—-----------------
হাদিস নং- ১) দ্বারুল কুতুব আল ইসলামিয়া-লাইব্রেরী কর্তৃক তূর্কীর ইস্তাম্বুলে প্রকাশিত ৩য় শতাব্দীর হস্তলিখিত দূর্লভ একটি হাদিস গ্রন্থে উল্লেখিত যে —" ইবনে আব্বাস রাঃ, আলী বিন আবু তালিব রাঃ এবং আবূ হুরাইরা রাঃ হতে বর্নিত- আবূ হুরাইরা রাঃ এই হাদিসটি বর্ননা করতে ভয় পাচ্ছিলেন কিন্তু মৃত্যুর কিছু পূর্বে -জ্ঞান গোপন- এর ভয়ে উপস্থিত লোকদের কাছে তিনি হাদিসটি বর্ননা করেছেন- তিনি বলেনঃ- শেষ জামানায় যে সকল মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে তা আমি ভাল করেই জানি। লোকেরা বলতে লাগল- আপনি বলুন ভয়ের কিছু নেই, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। অতঃপর তিনি বলতে লাগলেন-----------(১ম অংশের পরে) " ১৪০২ বা ১৪০৩ হিজরী সালে প্রতিক্ষিত ইমাম মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। গোটা বিশ্বের সাথে তিনি যুদ্ধ করবেন। তার বিরুদ্ধে ইহুদী, খ্রীষ্টান এবং মুনাফিক জেরুজালেমের মাজদুন পর্বতের পাদদেশে একত্রিত হয়ে যাবে"।-----

ব্যাখ্যাঃ- ১ নং হাদিসে উল্লেখিত ১৪০২/১৪০৩ হিজরী হল মাহদী গর্ভ হতে জন্মের মাধ্যমে দুনিয়ায় আবির্ভাবের সম্ভব্য সময় আর যেহেতু তিনি ৪০ বছর বয়সেই আত্মপ্রকাশ করবেন তাই ১৪৪৪ হতে ১৪৪৫ সালের মাঝেই বয়স ৪০ পুরন হয়ে আত্মপ্রকাশ করার কথা(আল্লাহই ভাল জানেন)তাই যদি হয় তবে এখন ১৪৪৪ হিজরী চলছে তাই এই বছরও জোরালো সম্ভাবনা বিরাজ করলেও কেউই হলফ করে বলতে পারবে না তারপরেও এই হাদিসের ভাস্য অনুযায়ি এবং নিম্নে বর্নিত আরো অসংখ্য হাদিস সরাসরি ইংগিত দিচ্ছে যে ইমাম মাহদী অনেক আগেই জন্মগ্রহন করেছেন। এখন শুধুমাত্র আত্মপ্রকাশ বাকী। আল্লাহ সুবঃ তাকে চেনার তৌফিক দিন। আমিন।

“হাদিস নং- ২) ১৪০০ হিজরির পরে মানুষ ইমাম মাহদিকে ঘিরে একত্রিত হবে”
--(রিসালাত আল খুরুজ আল মাহাদি” কিতাবের ১০৮ পৃষ্ঠা)

ব্যাখ্যাঃ-২নং হাদিস এ যদি শুধুমাত্র ১টি হিজরী সনই নির্দিষ্ট করে বলা হত তবে উছুলে হাদিস এর সুত্রানুসারে হাদিস বিশারদগন তা অবশ্যই বাদ দিতেন কারন ভবিষ্যৎবানীর ক্ষেত্রে একদম সুনির্দিষ্ট দিনক্ষন বলা নবী সাঃ সুন্নাহ ছিল না কিন্তু উক্ত ২ নং হাদিসে বলা হয়েছে ১৪০০ হিজরির পরে কিন্তু তা ঠিক কবে সেটাও বলা হয়নি শুধুমাত্র আনুমানিক ধারনা দেয়া হয়েছে আর বলা হয়েছে মানুষ ইমাম মাহদিকে ঘিরে একত্রিত হবে আর আমরা অবাক হয়ে ঠিকই লক্ষ্য করছি বর্তমানে অর্থাৎ ১৪০০ হিজরীর পরেই কিন্তু ইমাম মাহদীর হুজুক ঠিকই উঠছে মুমিনদের মাঝে। সুবহানাল্লাহিল আযিম।

হাদিস নং- ৩)যরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেনঃ “১৪০০ হিজরির সাথে আরও বিশ বা ত্রিশ বছর যোগ কর।
এরপরে কোন এক সময়ে মাহদির আবির্ভাব হবে…”( “আসমাল মাসালিক লিয়্যাম মাহাদিয়্যা মালিকি লি কুল্লু-ইদ দুনিয়া বি ইম্রিল্লাহিল মালিক” কিতাবে কালদা বিন জায়েদ ২১৬ পৃষ্ঠায় এটি উল্লেখ করেছেন) ।

ব্যাখ্যাঃ-এই ৩ নং হাদিস হতে বুঝা যায়, সম্ভবত ২ নং হাদিস বর্ননার পরপরই হুরায়রা রাঃ আরেকটু খোলাসা করে বলেছেন -১৪০০ হিজরির সাথে আরও বিশ বা ত্রিশ বছর যোগ কর, এখানে পূর্বের চেয়ে আরেকটু স্পষ্ট ধারনা দেয়া হচ্ছে যে ১৪৩০ এর পরেই তা ঘটার সম্ভাবনা যা তিনি নবী সাঃ হতে শুনে বুঝেছিলেন কিন্তু সেটাও যে ঠিক কততম বছরে ঘটবে তাও পুরোপুরি সুনির্দিষ্ট দিনক্ষন বলা হয় নাই কেননা এই ৩নং হাদিস অনুযায়ি তা ঘটবে ১৪৩০ এর পরেই অর্থাৎ মাহদী আবির্ভাবের দিন ক্ষন পুরোপুরি সুনির্দিষ্ট করা হয়নি যে এই হিজরীর উমুক তারিখে ওমুক দিনেই তিনি আত্বপ্রকাশ করবেন তবে এতটুকু আন্দাজ করাই যায় যে, তা কখনই ১৪৫০ হিজরী অতিক্রম করবে না অর্থাৎ
১৪৩০ এর পর মুমিনরা তাকে ঘিরে একত্রিত হবে আর সত্যিই ১৪৩০ এর পরেই সারাবিশ্বে আশ্চর্য্যজনকভাবে ইমাম মাহদির হুজুক উঠেছে সুতারাং ইমাম মাহদীর আবির্ভাব আগে হলেও আত্মপ্রকাশ ১৪৪২ হতে ১৪৪৫ এর মাঝেই ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বেশী, আর এমনটা অভাস পাওয়া যায় উপরের ১ নং হাদিস হতেও কারন এখানে যে ১৪০২ বা ১৪০৩ সাল মাহদির জন্ম সাল হলে ১৪৪২ বা ১৪৪৩ সালেই তার বয়স ৪০ এ পৌছাবে আর তখনই আত্মপ্রকাশ না হলেও খুব বেশি দেরি হবে না ইনশাহ আল্লাহ। আর ১৪৪২ হতে ১৪৪৫ সালেই আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা যে সবচেয়ে বেশী সেটা আবার নিচের ৪ নং হাদিস দিয়ে একেবারেই স্পষ্ট এবং প্রমানও হয়ে যায় যে ইনশাহ আল্লাহ আগামী দু-এক বছরের মধ্যেই এমন ১টা ঘটনা বিশ্ববাসি দেখতে পারে তবে আল্লাহই ভাল জানেন সুতারাং সবারই সতর্ক হওয়া উচিৎ।

হাদিস নং- ৪)
ﻧﻌﻴﻢ ﺑﻦ ﺣﻤﺎﺩ - ٩٣٥
ﺻﺪﻗﺔ ﺑﻦ ﺧﺎﻟﺪ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﻋﻦ ﻣﺠﺎﻫﺪ
ﻋﻦ ﺗﺒﻴﻊ ﻗﺎﻝ ﺳﻴﻌﻮﺫ ﺑﻤﻜﺔ ﻋﺎﺋﺬ
ﻓﻴﻘﺘﻞ ﺛﻢ ﻳﻤﻜﺚ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺮﻫﺔ ﻣﻦ ﺩﻫﺮﻫﻢ ﺛﻢ ﻳﻌﻮﺫ ﺁﺧﺮ ﻓﺈﻥ ﺃﺩﺭﻛﺘﻪ ﻓﻼ ﺗﻐﺰﻭﻧﻪ ﻓﺈﻧﻪ ﺟﻴﺶ
ﺍﻟﺨﺴﻒ
হযরত তাবে’ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন এক দল আশ্রয়প্রাথী আচিরেই মক্কার নিকট আশ্রয় নিবে। কিন্তু তাদেরকে হত্যা করে দেওয়া হবে। অতপর মানুষ তাদের যুগের কিছু কাল অতিবাহিত করবে, (এই বাক্যে "বুরহা" (ﺑﺮﻫﺔ) ইবনে আব্বাস বলছেন এই "বুরহা" হল ৩৩-৪০ বছর সময়কাল) এরপর আরেকজন আশ্রয় চাইবে। যদি তোমরা তাকে পাও তাহলে তোমরা তাকে আক্রমন করিও না। কেননা সে ধসনেওয়ালা সৈন্যদলের একজন বিশেষ সৈন্য। (কিতাবুল ফিতানঃ হাদিস নং ৯৩৫)।

ব্যাখ্যাঃ-এইগুলি সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেঈনদের আছার, হাদীসে মওকুফ, হাদীসে
মকতুহ । কিন্তু এইগুলো গায়েবের সংবাদ হিসাবে কোন না কোন ভাবে তাহারা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট থেকে শুনেছেন বলেই বর্ণনা করিয়াছেন রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর উক্ত হাদিসের ভবিষ্যৎবানী সত্য প্রমানিত হয়ে গেছে আপনারা জানেন ১৯৭৯ সালে এক তরুণ ব্যক্তি(মুহাম্মদ কাহতাহনী) মক্কায় অবস্থান করেছিল। তরুণের নেতৃত্বে অনেক লোক কাবা শরীফে আশ্রয় নিয়াছিল । তার নেতৃত্বে ১৫ দিন ধরে মক্কয় বিশাল বিশাল যুদ্ধ বিদ্রোহ হয়েছিল। পরে তারা সবই মারা গিয়েছিল।
১৯৭৯ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল এখন ২০২০ সাল অর্থাৎ ইংরেজি সালের গননায় ৪০ বছর এবার পুর্ন হয়ে গিয়েছে কিন্তু আরবী সাল ইংরেজি সালের ৪০ বছরে এক থেকে দের বছরের মত বেশী হয় সেই হিসেবে আগামী ২০২১ সালে তা ৪০ বছর পুর্ন হয়ে যায় তাহলে সামনের বছর তা ৪০ বছর পূর্ন হতে চলেছে। তাই এই হাদিস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, ইশাআল্লাহ্ ইমাম মাহদী ২০২০-২১-২২ সালের মধ্যে চলে আসবেন। জোরালো ভাবে বলা যাচ্ছে। সামান্য কিছুদিন কমবেশ হতে পারে। আল্লাহু আ'লাম।
আমরা যে এখন কোন জামানায় অবস্থান করছি তা কিন্তু ঐসব হাদিস না পেয়েও শুধুমাত্র সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকেই বুঝতে পারছে। তারপরও দেশে-বিদেশে কিছু বিশ্বাসী ধার্মীক মানষিকতা সম্পন্ন ব্যাক্তিবর্গ আবার এমন ধরনের স্বপ্ন দেখছে যা সত্যিই ভাববার বিষয় হয়ে দ্বারিয়েছে কারন সহী বুখারীসহ অন্নান্য হাদি্স গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে বিশ্বাসিদের স্বপ্ন আল্লাহর তরফ থেকে হয় এবং তা সত্যে পরিনিত হয় আর কিয়ামতের কাছাকাছি সময়ে আরো সত্যে পরিনিত হবে বলেও সহী হাদিসেই উল্লেখ আছে ।
“গত বছর সিরিয়াতে এক মুসলিম ভাই স্বপ্নে দেখতে পায়- আকাশে একটি উজ্জ্বল চাঁদ উঠল যার আলো কিনা ধীরে ধীরে সারা পৃথিবী আলোকিত করতে লাগল। সে তখন দেখে চাঁদের মাঝে লেখা আছে ১৪৩৬ হিজরী, কিছুক্ষন পর আরো ভালভাবে লক্ষ্য করে দেখল যে আসলে সেখানে লেখা আছে ১৪৩৯ হিজরী”।
ব্যাখ্যাঃ-ঐ ব্যাক্তিটি সিরিয়ান হওয়ায় ভুল করে আই এস এস জংগীদের নেতা বাগদাদীকেই হয়ত হক্বপন্থি ভেবেছিল যার কারনে আই এস এস জংগীরা ১৪৩৬ হিজরীতে তথাকথিত খিলাফা ঘোষনা করে নিজেকে খলিফা দাবী করেছিল এবং জিহাদ শুরু করেছিল কিন্তু সত্যিকারের হক্বপন্থি খলিফা হবেন বিশ্ব খলিফা(ইমাম মাহদী) যার জিহাদী আবির্ভাব(আত্বপ্রকাশ নয়) হবে ১৪৩৯ হিজরীর কোন এক সময় অথবা জিহাদ শুরু করবেন বা জিহাদের প্রস্তুতি নিবেন এমনভাবে যে সে নিজেও জানবে না যে তিনিই হবেন মাহদি আর যেহেতু স্বপ্ন অনুযায়ি চাঁদ ১৪৩৯ হিজরীতে মাত্র উঠবে এবং ধীরে ধীরে সারা পৃথিবী আলোকিত করবে তাই ১৪৩৯ হিজরী বা ২০১৭/২০১৮ সালে তাকে কেউ তেমন চিনবে না এমনকি তার জিহাদী প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ডও সারা পৃথিবীতে তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না বলে তেমন আলোচিত হবে না কিন্তু পরে ঠিকই চেনা যাবে। আর চাঁদ অর্থ মুসলিমদের খলিফা রুপক অর্থে ধরতে হবে কেননা সহী হাদিসে এসেছে যে মা আয়েশা রাঃ নবী সাঃ মৃত্যুর সময় একদিন স্বপ্নে দেখেন যে তার ঘরে ৩টি চাঁদ উঠেছে আর পরবর্তীতে দেখা যায় তার ঘরেই নবী সাঃ এর পাশে আবু বকর এবং উমর রাঃ ক্ববরও রাখা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য আরেকটি খলিফার(ঈসা আঃ) ক্ববর এর জায়গা সেখানে পূর্ব হতেই রাখা আছে যার শেষ জামানায় আসার কথা সকল মুসলিমই জানে। যাইহোক চাঁদের রুপক অর্থে উক্ত খলিফার জিহাদী আবির্ভাব ১৪৩৯ হিজরীতে ঘটবে তিনিই ইমাম মাহদী হবার সম্ভাবনা তবে আত্বপ্রকাশ হবে উপরে উল্লেখিত হাদিস অনুযায়ি ইনশাহ আল্লাহ ২০২১/২২ সালেই বেশী সম্ভাবনা তখনই যখন মধ্য রমজানে জিব্রাইল ফেরেশতা আসমান হতে কয়েকবার চিৎকার দিয়ে বিশ্ববাসিকে জানান দিবেন মাহদী আঃ এর নেতা মানার জন্যে ।
এছারা বাংলাদেশের অনেক ভাইই ইমাম মাহদিকে স্বপ্ন দেখছেন এবং বুঝতে পারছেন যে ইমাম মাহদির জন্ম হয়ে গেছে আর আত্মপ্রকাশও খুবই নিকটে তবে এক ভাই আরেকটি আশ্চর্য্যজনক স্বপ্ন দেখেন প্রায় ২০১৮ সালের রমজানের পূর্বে যেমন –
Shoyon Rhman
ইউটিউব হতে---
“এটি ৬মাস আগে আমি সপ্ন দেখি এক ব্যক্তি আমার এলাকার মসজিদে ঘোষণা করেন যে হযরত ইমাম মেহেদি (আ) ২০১৮ রমজান মাসে আসবেন । ঘোষণা পরে লোকটি দৌড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে আসে । আমি ইমাম সাহেব কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম তিনি চুপ করে রইলেন এবং একটি ফুলের তোরা মিমবরে রেখে দেন । এমন সুন্দর ফুল আমি কখনো দেখিনি।
আল্লাহ পাক ভালো জানেন”।
ব্যাখ্যাঃ--- আপনার এই স্বপ্নের সত্যিকারের ব্যাখ্যা কুরান আর হাদিস অনুযায়ি করতে গেলে যা দ্বারায় তা হল- ইমাম মেহেদি (আ) যেখানেই থাকুক ২০১৮ সালের রমজান মাসেই সত্যিকারের হ্বকের পক্ষে জিহাদ এর মার্চ শুরু করবেন কিন্তু তখনও তিনি হয়ত জানবেন না যে তিনিই মাহদী কারন হাদিসে এমনি এসেছে অর্থাৎ মুসলিম জাতির ইমাম হিসেবে আত্ব্যপ্রকাশ করবেন মহরম মাসে আর তা হবে মক্কায় তাই হাদিসে যেহেতু পূর্বদিক হতে আসার কথা তাই হয়ত ২০১৮ সালে ১মে পূর্ব দিক হতে জিহাদ এর মার্চ করতে করতে এক সময় পুরোদমে কালো পতাকার সাথে জিহাদ শুরু করবেন এরপর যেখানেই থাকুক না কেন সিরিয়াতে ঠিকই যাবেন মনসুরের সাথে কোন এক সালে সম্ভবত ২০২১/২২/২৩ এর মধ্যেই এরপর হাদিস অনুযায়ি সেখান থেকে পালিয়ে যাবেন মদীনায়, এরপর ফিতনার আশংকায় হয়ত ২০২২/২৩ সালের দিকে মদিনা হতে পালিয়ে মক্কায় আসলে ৩১৩ জন ক্বাবার পাশে বাইয়াত হবে তখনই পুরো দুনিয়ার মানুষ জানতে পারবে কিন্তু মানবে শুধুমাত্র মুমিনরা।
আর ঘোষনা করার পর লোকটি দৌড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার অর্থ হল যারা এদেশে ইমাম মাহদির দলে বা হক্বের দলে শরিক হবে তারা সকলেই ২০১৮ সাল হতেই ইমাম মাহদীর সাথে জীহাদের আকাংখা রাখবে কোন এক পর্যায়ে বাংলাদেশ হতে হিজরত করবে এরপূর্বে সাধারন ইমাম ও মুসুল্লিদের হতেও নিজেকে সরিয়ে নিবে এমনকি মসজিদ হতেও আর আপনার ইমাম সাহেবকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেও তিনি চুপ করে রইলেন অর্থ হল বেশিরভাগ মসজিদের ইমামই ইমাম মাহদি এবং সত্য জিহাদের বিরুদ্ধে থাকবে বা চুপ থাকবে অথবা ভয় করবে আর বেশিরভাগ ইমামই মিম্বার হতে হক্বের জিহাদের বিরুদ্ধে বলে সম্পদ অর্জন করবে অথবা কিছু কিছু ইমাম মিম্বার হতে খুতবার মাধ্যমে জিহাদের আহব্বান করে মসজিদকেও যুদ্ধের ক্ষেত্র এবং শহীদ মিনার বানাতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে অর্থাৎ ফুলের তোরা এই অর্থ বহন করছে। আর আপনি এমন সুন্দর ফুল কখনো দেখেননি অর্থ হল আপনি এমনভাবে মসজিদে অনেককেই শহীদ হতে ইতিপূর্বে আর দেখবেন না তাছারা মিম্বরে এই ফুল সত্যিকারের ইমামমতও নির্দেশ করতে পারে যা পূর্বে কখনও দেখা যায়নি।


এছারাও ফিলিস্তিনের মসজিদের ইমাম সাহেব এবং বাংলাদেশসহ আরো অনেক দেশেই এমন ধরনের একই ইংগিতপূর্ন সম্বলিত স্বপ্ন দেখছে বলে জানা যায় তাই বুদ্ধিমান মুমিনদের উচিৎ হবে এই সময়কেই ইমাম মাহদীর সময় মনে করে প্রস্তুতি নেয়া কেননা হাদিসেও এই সময়ের কথাই বলা আছে তবে যদি আল্লাহ সুবঃ একান্তই নাই পাঠান কোন নেতা মুসলিমদের এমন করুন পরিস্থিতিতে তবু এই ধরনের বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে প্রস্তুতি নিলে কিন্তু কোন পাপ তো হবেই না উলটো আরো ইবাদতে বেশী বেশী এডভান্স হওয়া যাবে। কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই এসেই যায় আর আমরা তা অবিশ্বাস করে বসে থাকি তবে কিন্তু হাদিস অনুযায়ি তাদের করুন পরিনতির কথা বলা হয়েছে বিশেষ করে হিন্দ দেশের মানুষের জন্য তাই সবারই খুব দ্রুত সাবধান হওয়া উচিৎ আর কাকুতি মিনতি করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিত।
( চলবে)
এছারাও আমরা আসলেই এখন কোন জামানায় অবস্থান করছি তা নিম্নক্ত হাদিসগুলো হতে নিশ্চিত হওয়া যায়। যেমন— ২য় পর্বের লিংক Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
১৩টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×