আঙুলগুলো আমার, থাক না তোমার আঙুলের ভাঁজ
মিলন হোক তোমার আমার হাতের রেখার
জেনে নিক বাকি জীবনের ঘটনাপ্রবাহ।
ঋতু পরিবর্তনের ঠান্ডা হাওয়ার আজ আমন্ত্রন আমার ঘরে
অসচেতনভাবে আমার জট ছাড়ানো এলোচুলে খেলে যায়
উড়িয়ে নিয়ে তোমার কপোল ছুঁয়ে আসে
অপ্রস্তুত ব্যস্ত হাতে সরিয়ে দিতে দিতে
তোমার কপালের ভাঁজে হালকা বিরক্তির ছাপটা তোমার হাতও বোঝে
একটা দু’টো চুল পাকিয়ে ফেলে নিজেই
অস্পষ্ট ‘উহ’ বের হয়ে যায় আমার মুখ থেকে
তুমি ব্যস্ত হয়ে ওঠো, আদরটুকু স্পষ্ট করতে।
আট ইঞ্চির ব্যবধানটুকু কেমন যেনো লাগে!
মাথার শেষভাগের আর ঘাড়ের কাছের চুলগুলো নেড়ে দেবার ছলে
তোমার মুখটা কাছে নিয়ে আসি
তোমার গাঢ় নিশ্বাসগুলোকে আমার প্রশ্বাসে পরিণত করি
চোখ বুঁজে অনুভব করি নিশ্বাস- প্রশ্বাসের কথোপকথন।
আস্তে আস্তে তোমার মুখটা নেমে আসে আমার কাঁধে
কোমরের কাছে দুইটা হাতের শক্ত বাঁধন টের পাই
ভেঙে যেতে চাই, তবু আঁকড়ে ধরি
টের পেয়ে হাসো তুমি
সোজা হয়ে বুকের সাথে আমার মাথাটা চেপে ধরো তুমি
পৃ্থিবীর সবটুকু সুখ আমার মনে হয়।
চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা হয়,
“বাবুইসোনা, খুব ভালোবাসি তোমাকে।
হাতের এই বাঁধনটা আলগা কোরো না শুধু,
আর কিচ্ছু চাই না আমি তোমার কাছে।”
বলা হয়ে ওঠে না..
গলা ধরে আসে..
তোমাকে আঁকড়ে ধরে কাঁদতে ইচ্ছা করে।
হৃদপিন্ডটা জানান দেয়,
‘সমান্তরালে না হলেও অল্প দূরত্বেই সে আরও এক হৃদপিন্ডের স্পন্দন পাচ্ছে!’
নিঃশব্দে একাকার হতে থাকে তোমার আমার হৃদস্পন্দনের ছন্দ,
মুহূর্তের পর মুহূর্ত... ... ...