শারদীয়া নীলাভ্রের বক্ষ পিঞ্জরভেদে প্রস্ফুটিত অগুনিত নক্ষত্র হীরক দ্যুতি। প্রতিবিম্ব তার নীলাম্বুধির জলে....
শুভ্র জলধির পুঞ্জ ডানায় ভেসে উড়ে যায় এ হৃদয়...... হংস বলাকার ডানায় ডানায় ফেলে যায় গীতিময় বিষাদীয়া দিনের স্মৃতি। ঘনায়মান প্রগাঢ় তমশায় ছলছলিয়া ওঠে কবেকার অর্ঘ্য নীলোৎপল..... অক্ষিপল্লবে দোলে জলমোতীর স্ফোটিকা..... অবিরল....
যার বুঝি নেই শেষ....যেমনই অনিঃশ্বেষ এ ব্যাথার দ্বীপালিকা....
অতঃপর কেঁদেছিলো সেই সন্ধ্যাকাল, কেঁদেছিলো রাত, সঙ্গীবিহীন ভোর। প্রভাতের রাঙ্গা অরুণালোকে জেগেছিলো এক রাতজাগা পাখি।
একাকী নির্জন। সেই একাকীত্বের নেই অবসান। নেই অভিলাস স্বপ্ন বিহ্বল হৃদে। তবু সেই একাকী পাখির চঞ্চুতে আজ, ফোটে অবাক উচ্ছাস! শত কথকথা! ডানা ঝাপটিয়া সুরে গেয়ে যায় গান.....খসে পড়া পালক হতে ঝরে পড়ে তার হাজারও মনিমুকুতার রঙধনু সাত রঙ.....টুং টাং মৃদু সুর, দূর প্রহেলিকা.....
সে রঙ নিয়ে ফোটে স্বর্ণচাঁপার ফুল, দ্বিপ্রহরের দীঘলিয়া বাঁশির সুরে মিশে মিশে যায় সেই ঘ্রাণ। সাঁঝের মায়ায় লাগে লালচে তারার আভা, লুক্কায়িত বিষাদীয়া গীতি ঢাকা পড়ে যায় বা ঢেকে রাখে তারা, অপার মমতায় কিংবা কৃষ্ণ স্নেহের রাতের আঁচল তলে....
কেউ জানে না, কেউ দেখে না......
শ্বেত ময়ুরীর নির্লিপ্ততায় পেখম মেলি পারিজাতের গন্ধ বিভোর নিশীথ ধারার জলে..... যে জলে আগুন জ্বলে......আমি ফোঁটাই সেথায় সহস্র দূর্লভ নীলোৎপলের কুঁড়ি.....
ভাসিয়ে দেই দ্বীপালিকা ......
গভীর নীলাচলের ঐ পারে ....... তরতর বয়ে চলে তরণী আমার.... যেখানে আবাস তোমার ......
কোনো নতুন গন্তব্যে..........অচেনা অজানায়......
লেখাটা আমার প্রিয় কবি, সকলের প্রশ্নবোধক চিহ্ন, মনের আকুল জিজ্ঞাসাকথাকথিকেথিকথন ভাইয়াকে উৎসর্গ করছি। তার মস্তিষ্ক নিংড়ানো 'ধ্যাৎ কচটতপ!'। পড়িয়া আমিও আমার মস্তিস্ক নিংড়াইয়া কিছু কচটতপ বাহির করিবার চেষ্টা করিলাম!
যদিও এই কচটতপে মিশিয়া আছে আমার আঁখিজল......
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০০