জীবন এখানে নয়তো সহজ , অজস্র কাঁটা বিছানো।
পদে পদে লাঞ্ছনা,কষ্ট আর অপমানে জড়ানো ।।
অল্প বয়সের ধোঁকায় পড়ে এলাম ঘরের বাইরে
বাইরে এসে চেয়ে দেখি আমার যে কেউ নাইরে ।।
সংসারে ছিলো দারুন অভাব নুন আনতে ফুরায় পান্তা
মা ছিলো চির রোগা অসহায় ,বাপ ছিলো সবজান্তা ।
ভাইবোনগুলো পেটে শুধু ক্ষুধা আর ছিলো দারিদ্রের জ্বালা
বেশির ভাগ দিন ই না খেয়েই তাদের কাটতো কষ্টের বেলা ।।
ক্ষুধার জ্বালায় বাহির পানে একদিন , দিলাম হাত বাড়িয়ে
বড়লোকে বখাটে ছেলেটি সাগ্রহে নিলো প্রেমে জড়িয়ে ।।
রুপ যে আমার অনেক দামি তখন থেকে বুঝলাম ,
ধোকায় পড়ে বোকা বনে আবার একদিন সব হারালাম ।।
যথারীতি নেশা কাটতেই ছেলেটি দিলো হাত ছেড়ে ,
তখন থেকে একলা আমি ,আত্মীয়রা গেল সব সরে দূরে ।।
আশা দিলে বিধাতা তুমি যা পূরণ হবার নয় ,
চিরদিন সাধের দুনিয়া আমার কাছে অচেনা ই হয়ে রয় ।
গড়িলা বিধি তুমি আমায় করিয়া অসামান্য অপরূপ
রূপের আগুনে মরলাম পুড়ে আর তুমি দেখলে ঠায় নিশ্চুপ ।।
এমন রূপ তো চাইনি আমি যা আমায় দেবে জ্বালা ,
জীবনজুড়ে বয়ে ই গেলাম অজস্র কাঁটার মালা ।
আমি নইতো আমার নিজের , হাজার দুয়ারী ঘর
প্রতিদিনই হয় নতুন মিলন, প্রতিটি মিলন ই দুঃখ ভরা বাসর ।।
কত সুখে আমায় রেখেছো দেখলেনা একবার ফিরে
পাপ কলঙ্কে জীবন কলসি কানায় কানায় গেছে আজ ভরে ।।
পতিতা আমি , পরিচয়ে মানুষ ,আমারও আছে মন
কে ভাবে আর বেশ্যার কথা। ভেবেছে কেউ কি কখন?
এখনো আমি রাস্তায় দাড়িয়ে লোক লজ্জার নেই ভয়
মুক্তি কবে আসবে জানিনা ,প্রতীক্ষার প্রহর কেন এত দীর্ঘ হয় ?