somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থার বিপর্যয়ে দক্ষতা চতুষ্টয় (4 skills) হেত্বাভাসের প্রভাব

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষতা চতুষ্টয়ের স্বরূপ
পাঠ্য বিষয় হিসাবে ইংরেজির নানা রকমফের রয়েছে যেমন-সাক্ষরতা ইংরেজি, ইংরেজি সাহিত্য ও ইংরেজি ভাষা বিজ্ঞান ইত্যাদি। সাক্ষরতা ইংরেজি হলো মূলত শ্রবণ, বাচন, পঠন ও লিখন (Listening, Speaking, Reading and Writing)এই দক্ষতা চতুষ্টয়ের সমষ্টি। প্রথম শ্রেণি থেকে ত্রয়োদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে যে ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে, এগুলো মূলত দক্ষতা চতুষ্টয় (4 skills)-এর সমন্বিতরূপ যা সাক্ষরতা ইংরেজি নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থায় বর্তমানে আলোচিত এই দক্ষতা চতুষ্টয় এক ধরণের হেত্বাভাস (কুটতর্কের জাল)-এর জন্ম দিয়েছে। এই সাক্ষরতা ইংরেজি (Literacy English) যা বাচ্য ইংরেজি (Spoken English) নামে বেশ পরিচিতি, তার উপজাত হিসাবে দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাসের জন্ম হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা চতুষ্টয় অর্জন সম্ভব। সে জন্য সব দেশেই বিদ্যালয় পর্যায়ে মাতৃভাষা, দেশী ভাষা ও বিদেশি ভাষায় দক্ষতা চতুষ্টয়-এর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশেও শিক্ষাব্যবস্থার বিদ্যালয় স্তরে 1st/2nd paper এর মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণগুলো দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু জগদ্বিখ্যাত ফলিত ভাষা বিজ্ঞানী Stephen Krashen গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, এই দক্ষতা চতুষ্টয়ের প্রশিক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে ভাষা আয়ত্ত্বকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ভাষায় উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা অর্জন নির্ভর করে একজন ব্যক্তি আজীবন কী পরিমাণ ও কী ধরণের বিষয়বস্তু ইপ্সিত ভাষায় অধ্যয়ন করে তার উপর। কাজেই দক্ষতা চতুষ্টয় প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় পর্যায়ের বিষয়। এটি উচ্চশিক্ষায় টেনে আনার কোনো মানে হয় না। তবে দক্ষতা চতুষ্টয় প্রশিক্ষণ কীভাবে প্রদান করতে হবে, সেটি অবশ্য উচ্চশিক্ষার বিষয়।

২. ইংরেজি শিক্ষা, ইংরেজি শিক্ষক ও দক্ষতা চতুষ্টয়ের দুষ্টচক্র
ইংরেজি শিক্ষায় এই দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাস এতোটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, ইংরেজি ভাষা দক্ষতা অর্জনের মূল লক্ষ্যের কথা মানুষ মোটামুটি ভুলে বসে আছে। গৃহশিক্ষক থেকে কোচিং-এর প্রশিক্ষক এবং স্কুলের শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সবাই এখন দক্ষতা চতুষ্টদক্ষতা চতুষ্টয় ধারণায় ডুবে আছে। এই হেত্বাভাস ইংরেজি শিক্ষার বাজার অর্থনীতির সৃষ্টি করেছে। কারণ ভাষাকে যখন শুধু সংজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসাবে কল্পনা করা হয় তখন, দক্ষতা চতুষ্টয় ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না। প্রসঙ্গটি সম্পর্কে আলোকপাত করতে একটি প্রশ্ন করা যাক যুক্তরাজ্যের ভূমিপুত্রদের সবার কী ইংরেজিতে দক্ষতা চতুষ্টয় আছে? বাঙ্গলার সব মানুষের কী বাংলায় দক্ষতা চতুষ্টয় আছে? আসলে অধিকাংশ মানুষেরই পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা চতুষ্টয় নেই, না থাকাটাই স্বাভাবিক।
দক্ষতা চতুষ্টয় বিশিষ্ট সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে ইংরেজি শিক্ষা পাঠ্যক্রম ও শেখানোর কৌশল (Teaching methodology) ও ইংরেজি শিক্ষকের সংজ্ঞা বদলাতে হবে। এরূপ ইংরেজি শিক্ষাকে গতিশীল করতে, ইংরেজি শিক্ষা পাঠক্রমের নিম্নস্তরে সাক্ষরতা ইংরেজি ও পর্যায়ক্রমে উপরের স্তরে শাস্ত্রীয় বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। উপরের স্তরের পাঠ্যক্রমে শাস্ত্রীয় বিষয়বস্তু অন্তুর্ভুক্ত করার বিষয়টি ভাষা শিখন সূত্রের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। এই সূত্রের অনুসরণে বর্তমানে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রমে ১ম পত্রে মূলত: কলা, মানবিকী ও সামাজিক বিজ্ঞানের নানা বিষয়বস্তু অন্তুর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। কাজেই সাক্ষরতা ইংরেজির চেয়ে উপরের স্তরের ইংরেজি শেখাতে পাঠ্যক্রমে যে বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তা মূলত শাস্ত্রীয় বা জ্ঞানীয় বিষয়। শাস্ত্রীয় বিষয় পড়াতে হলে কোন না না কোনো ভাষা মাধ্যমে পড়াতে হয়। তদানুসারে একজন উচ্চ শিক্ষা স্তরের ইংরেজি শিক্ষকের শাস্ত্রীয় জ্ঞানও আবশ্যক। কাজেই ইংরেজি পড়াতে শিক্ষক নিয়োগের যে যোগ্যতা শর্ত যুক্ত করা প্রয়োজন- তাহলো কলা/মানবিক/সামাজিক বিজ্ঞান/বিজ্ঞান/কৃষি ইত্যাদি যে কোনো বিষয়ে ডিগ্রী+ TOEFL মানের ইংরেজি দক্ষতা।
উল্লেখ্য যে, ইংরেজি শিক্ষকদের মধ্যে একটি যুক্তি প্রচলিত আছে যে, ইংরেজি সাক্ষরতা কোর্স পড়াতে ভাষাবিজ্ঞান, Education, Language Acquisition process, Language Teaching Methodology ইত্যাদি যোগ্যতা প্রয়োজন। এরূপ অভিমত অনেকাংশে সঠিক। তবে উল্লেখিত উক্ত যোগ্যতা চাকুরিতে শর্তযুক্ত করা হলে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর (MA in English) প্রাপ্তগণ মানবিকে ডিগ্রীধারী হিসাবে চাকুরি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না। আবার অন্যান্য স্নাতক ও স্নতকোত্তরগণও ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা সাপেক্ষে ইংরেজি শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না। সব আলোচনার উপসংহার টানা হলে ফলাফল যা দাঁড়ায় তা হলো-MA in English ডিগ্রীধারীগণ সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষক হিসাবে চাকুরি প্রাপ্তিতে অযোগ্য হবেন না। কিন্তু সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষকের চাকুরি প্রাপ্তিতে তাদের TOEFL মানের ইংরেজি দক্ষতা শর্তযুক্ত হবে। অন্যদিকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর নয় তেমন স্নাতকোত্তররাও এই চাকরিতে ভাগ বসাবে। এখন যুক্তি দেওয়া হতে পারে যে, MA in English-এ স্নাতকোত্তরদের ভাষাবিজ্ঞান, শিক্ষা বিজ্ঞান, ভাষা আয়ত্বকরণ প্রক্রিয়া ও ভাষা শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে, কিন্তু মানবিক/সামাজিক বিজ্ঞানে ডিগ্রীধারীদের সেই জ্ঞান নেই। একথা ঠিক যে, সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষক হিসাবে ইংরেজি পড়াতে উক্ত বিদ্যাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকাটা জরুরি। কিন্তু একথাও মানতে হবে যে, TOEFL মানের দক্ষতা অনেকের পক্ষে আজীবনের চেষ্টায়ও অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্তু ভাষাবিজ্ঞান, শিক্ষা বিজ্ঞান, ভাষা আয়ত্বকরণ প্রক্রিয়া ও ভাষা শিক্ষাদান -এগুলো স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণে আয়ত্ত্ব করা সম্ভব।
এখন অন্য একটি প্রসঙ্গ এখানে টেনে আনছি, সেটি হলো বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর নিয়েও এই অনুষদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর প্রাপ্তগণ সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন না। এখন সংশ্লিষ্ট পদগুলো বাগিয়ে নিচ্ছেন, বাণিজ্য অনুষদ বহির্ভূত অন্যান্য অনুষদের স্নাতকোত্তর প্রাপ্তগণ এবং তারা ব্যংক, বীমা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে বহাল হয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যম, ব্যবসায় প্রশাসন ও বিপণন ইত্যাদি বিষয় আয়ত্ত করে যথারীতি বাণিজ্য অনুষদের স্নাতকোত্তরদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে আছেন। কাজেই সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষক পদে বিভিন্ন অনুষদ থেকে পাশ করা TOEFL মানের দক্ষতা সম্পন্ন স্নাতকোত্তরদেরকে শিক্ষকতার সুযোগ দেওয়া হয়, তারাও ভাষাবিজ্ঞান, শিক্ষা বিজ্ঞান, ভাষা আয়ত্বকরণ প্রক্রিয়া ও ভাষা শিক্ষাদান ইত্যাদি রপ্ত করে নিয়ে ইংরেজি সাক্ষরতা কোর্স পড়াতে MA in English-এর সমান কুশলতা দেখাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। কাজেই সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সবকিছুর আগে TOEFL শর্ত যুক্ত হওয়া প্রয়োজন।

৩. বাংলাদেশে দক্ষতা চতুষ্টয়ের কুফল
দক্ষতা চতুষ্টয় বৈশিষ্টসম্পন্ন সাক্ষরতা ইংরেজি হলো যা বাংলাদেশের মানুষের তেমন কোনো কাজে লাগে না। যে ইংরজি এ দেশের মানুষের কাজে লাগে, তা হলো- দক্ষতা বিশ্লেষণী পঠন (Critical Reading) ও সৃজনশীল লিখন (Creative Writing) দক্ষতা দ্যোতক ইংরেজি। কারণ দেশের অনেক বেসরকারি অফিস ও কর্পোরেট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইংরেজি মাধ্যমে চলছে। সেখানে দাপ্তরিক দলিল দস্তাবেজ তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণে অথবা বিদেশের সাথে বাণিজ্য বিনিময়ে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে যে ইংরেজি ব্যবহার হচ্ছে, সেটি হলো দক্ষতা চতুষ্টয় পর্যয়ের চেয়েও উপরের ধাপের ইংরেজি। এসব ক্ষেত্রে কথ্য ইংরেজি যে কাজে লাগে না, তেমন নয়। কিন্তু সেই ইংরেজির দক্ষতা বিশ্লেষণী পঠন (Critical Reading) ও সৃজনশীল লিখন (Creative Writing)-এর ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে ইংরেজি অধ্যয়ন করলেও, স্বত:স্ফূর্তভাবেই জন্মায়। কাজেই আমাদেরকে দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাসের মায়াজাল থেকে বেরিয়ে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার মূল লক্ষ্যের প্রতি লক্ষ্য নিবিষ্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিদেশি ভাষা শিক্ষার মূল লক্ষ্য হবে- বিশ্লেষণী পঠন ও সৃজনশীল লিখন। তবে বিশ্লেষণী পঠন ও সৃজনশীল লিখন ক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বিষয় স্মর্তব্য যে- সঠিক পরিকল্পনা ও অধ্যবসায় থাকলে যে কেউই দক্ষতা চতুষ্টয় ভিত্তিক বিদেশি ভাষা অর্জনে সক্ষম হবে। কিন্তু জন্মগত ভাষিক ক্ষমতা না থাকলে পরিকল্পনা ও অধ্যবসায় থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণী পঠন ও সৃজনশীল লিখন ক্ষমতা অর্জন সম্ভব নয়। বাস্তবতা হলো- কোন জনগোষ্ঠীর কেবল ১টি মাত্র অংশ প্রাণপণ চেষ্টায় কোনো ভাষায় (মাতৃভাষা সমেত) বিশ্লেষণী পঠন ও সৃজনশীল লিখন-এর ক্ষমতা অর্জনে সফল হয়।
বাংলাদেশের ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাসের কবলে আবর্তিত হচ্ছে, যে কারণে দেশব্যাপী শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে সব মানুষকে দৈনন্দিন সাংজ্ঞাপনিক ইংরেজি শিক্ষাদান করা হচ্ছে, অথচ উচ্চমানের জ্ঞানীয় ও শাস্ত্রীয় কর্মকাণ্ড অংশগ্রহণে সহায়ক ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রমকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এই দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাস থেকে বেরিয়ে, ইংরেজিতে জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক মানব সম্পদ গড়তে ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্হা প্রবর্তন করা প্রয়োজন।

৪. দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাসের নেতিবাচক প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসার উপায়
ইংরেজি ভাষা কেন্দ্রিক দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাসের নেতিবাচক দিক থেকে বেরিয়ে আসতে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন, নিম্নে তার একটি তালিকা প্রণয়ন করা হলো:

১) বিদ্যালয় পর্যায়ে সাক্ষরতা ইংরেজি (১ম ও ২য় পত্র ইংরেজিকে একত্রে সাক্ষরতা ইংরেজি নামে অভিহিত করা হয়) শিক্ষা ৩ বছর মাতৃভাষা বাংলা পাঠের পর অর্থ্যাৎ চতুর্থ শ্রেণি থেকে শুরু করা বাঞ্ছনীয়।
২) সাক্ষরতা ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম ৬-৮ বছরের বেশী কাল হওয়া অবাঞ্ছনীয়।
৩) ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় বাধ্যতাবাধকতা আরোপ অবাঞ্ছনীয়।
৪) ৬-৮ বছর শিক্ষালাভের পর ইংরেজি +বাংলা উভয় ভাষার গড় দক্ষতায় নিম্নোগতি থাকলে ইংরেজি শিক্ষাদান অবাঞ্ছনীয়।
৫) ৬-৮ বছর সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষা লাভের পর, সাক্ষরতা ইংরেজি কোর্স ইংরেজি শিক্ষায় কোনকিছু যোগ হয় না। তাই ইংরেজি শিক্ষাকে ত্বরাণিত করতে হলে, ৬-৮ বছর পর অর্থ্যাৎ নবম শ্রেণি থেকে এক-তৃতীয়াংশ বিষয়ের পাঠ ইংরেজি মাধ্যমে দেয়া শ্রেয়।
৬) দেশের অর্থ অপচয় রোধ করতে, যারা স্কুল পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি এই ভাষায় অদক্ষতা দেখায়, তাদেরকে বাধ্যতামূলক ইরেজি শিক্ষা থেকে অব্যাহতি দেয়া বাঞ্ছনীয়।
৭) SSS, HSC -এগুলো মূলত ইংরেজি (ও অন্যান্য বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স), কাজেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিটে যে ইংরেজি সার্টিফিকেট কোর্স প্রদান করা হয় তা অযৌক্তিক।
৮) বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১০০ নম্বরের ইংরেজি কোর্স প্রদান অযৌক্তিক।
৯) শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরে শিক্ষক নিয়োগে গ্রহণযোগ্য মানদণ্ডের ইংরেজি দক্ষতা শর্তযুক্ত করা বাঞ্ছনীয়।
১০) সাক্ষরতা ইংরজি শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা M.A. in English-এ সীমাবদ্ধ না রেখে, M.A./M.S.S./M.ENG. /M.Sc. + TOEFL মানের ইংরেজি দক্ষতাকে নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়।
১১) ইংরেজি মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে TOEFL মানের ইংরেজি দক্ষতা শর্তযুক্ত করা বাঞ্ছনীয়।
১২) বিভিন্ন বিদেশি ভাষা (আরবি, জার্মান, চীনা, স্পেনীয়, থাই ও কোরীয় ইত্যাদি ভাষা) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা বাঞ্ছনীয়।

উক্ত উপাদানগুলো বোধগম্যরূপে দৃশ্যমান করতে নিম্নের সারণীতে উপস্থাপন করা হলো:



উপসংহার
সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষার দক্ষতা চতুষ্টয় হেত্বাভাসের ফলশ্রুতিতে দেশব্যাপী বাচ্য ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। কিন্তু আশানুরূপ ইংরেজি দক্ষতা বিশিষ্ট জনশক্তি তৈরি হচ্ছে না। কাজেই ইংরেজি দেশের উন্নয়নের চেয়েও, দেশের সমাজ-সংস্কৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব বয়ে আনছে। এ নিবন্ধকার কৃত তালিকায় সন্নিবেশিত প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনায় নিয়ে ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করা হলে, দক্ষতা চতুষ্টয়ের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে।
এ লেখাটি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:২৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×