somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহমদ ছফা: যার কলমে ছিলো অকমনীয় বিধ্বংসী আগুন

০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যেদিন আহমদ ছফা মারা গেলেন সেদিন দীর্ঘ শীতের পরে বসন্তের গরম স্পর্শ করেছিলো পূঁজিবাদী ইংল্যান্ডের প্রকৃতিতে, যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘সামার’ বলে। তখন ছিলো আষাঢ়ি নদীর মতো টলমলে সেখানের সবকিছুতে, সবকিছুতেই ছিলো যৌবনের লাবণ্য। বরফ মরা-গাছের ডালগুলোতে সবুজপাতারা চিকচিক করে বেরিয়ে এসেছিলো। গাছে গাছে ফূটেছিলো লাল-নীল-হলুদ ফুলেরা। হিমশীতে পালিয়ে যাওয়া পাখিরা ফিরছিলো আপন ঘরে। জীবন সংগ্রামে উত্ত্যক্ত মানুষ রোদমগ্ন হয়ে হঠাৎ পাতাবাহারী হয়েছিলো যেনো। সেদিন আমি গিয়েছিলাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় শহর বার্মিংহাম থেকে রাজধানী শহর লন্ডনে এক সেমিনারে। ফিরতে বেশ রাত হয়ে গিয়েছিলো। লন্ডন থেকে বার্মিংহাম প্রায় দেড়’শ মাইলের পথ। গভীর রাত। চল্লিশ নম্বার মটরওয়ে অতি নিরব-নিস্তব্ধ-নির্জীব অন্ধকার। আমার সাথে কেউ ছিলো না। নিজেই ড্রাইভ করছিলাম। গাড়ি চলছিলো নব্বই মাইল বেগে। ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজছিলো কাজী সব্যসাচীর কণ্ঠে কবি নজরুলের-নম নম নম। বাংলাদেশ নম/ চির মনোরম/ চির মধুর...
তখন আমি হারিয়ে যাচ্ছিলাম কখনো চির সবুজের বাংলাদেশে, আবার কখনো ফিরে আসছিলাম চল্লিশ নম্বার মটরওয়েতে। আবার কখনো কখনো আমি হঠাৎ হকচকিয়ে উঠছিলাম একটি তাজা লাশের ধানফাঁপা উষ্ণতায়। ভুলে গিয়েছিলাম আজিজুল বারী সাহেব যে ইন্টারন্যাট থেকে সদ্য মৃত একটি লাশ আমার মাথায় গলগ্রহ করে দিয়েছিলেন। নির্জীব একাকিত্বে লাশটি আমাকে পুন পুন বিচলিত-উৎকণ্ঠিত করে দিচ্ছিলো। মাঝেমধ্যে কে একজন আমার কানের পাশে এসে ইংরেজ কবি জন জনের ‘দ্যা উইল’ কবিতা থেকে কিছু কথাও বলে যাচ্ছিলো-‘যে কোনো মানুষের মৃত্যু আমাকে ব্যথীত করে জানতে চেয়ো না ওই ঘণ্টা কার জন্য বাজছে/ তোমার জন্যই।’ পৃথিবীর সকল সত্য অনেকের দৃষ্টিতে আপেক্ষিক হলেও সকলের কাছে মৃত্যু মহাসত্য। আমি জীব, তাই আমার মৃত্যু অনিবার্য-এই সত্যকে আজো কেউ অস্বীকার কিংবা উপেক্ষা করতে পারেনি। তাই সেদিন আমি ছফার লাশের ভেতর দেখতে পাই নিজের অভিন্ন প্রতিচ্ছবি, অনেক সময় হই আতংকিত। কবি জন জনের মতো আমিও হই মানুষ ছফার মৃত্যুতে ব্যথিত-মর্মাহত। মানুষের মৃত্যুতে ব্যথার দগ্ধতা সকল ক্ষেত্রে অবশ্য সমান থাকে না। সম্পর্কের যোগসূত্রে তৈরি হয় হৃদয়ে দাহের গাঢ়তা। লন্ডন থেকে ফেরার পথে যে লাশ আমার স্বচ্ছ ড্রাইভিং-এ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছিলো তাঁর সাথে নিজের রক্তমাংসের কোন যোগসূত্র নেই। কোনো দিন দেখাও হয়নি, তবু হৃদয়ে একটা সম্পর্কের সেতু অনুভব করলাম, অনুভূতি নাড়া দিলো-তিনি আমার আত্মার আত্মীয়। শুধু আমার নয়, বাংলাদেশের মাটি-মানুষের সাথে তাঁর হৃদয়ের সম্পর্ক ছিলো। আমরা অনেক তাঁর ভক্তপাঠক।
২৯ জুলাই-০১ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথিতযশা জীবনবাদী লেখক আহমদ ছফা আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৫৮ বছর। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন আহমদ ছফার জন্ম চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার গাছ বাড়িয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট বিজ্ঞানে এম.এ। লেখক হিসেবেই তাঁর মূল পরিচয়। বাংলা সাহিত্যে অল্পসংখ্যক যারা মাটি আর মানুষ নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুধ্যান করেছেন আহমদ ছফা তাদেরই একজন। সাহিত্যের প্রতিটি উপত্যকায় তাঁর প্রতিভার পদচিহ্ন আমরা দেখতে পাই। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গান, ইতিহাস, ভ্রমণ কাহিনী মিলিয়ে তাঁর অনেকগুলো গ্রন্থ-সন্তান রয়েছে। দার্শনিক চিন্তাধারায় আহমদ ছফা কিছুটা বাম প্রভাবিত হলেও তাঁর শরীরে-মানসে কোন দলীয় দুর্বাসা ছিলো না। কোনো সরকারের সাথে ছিলো না তাঁর দলাইমলাই। কোনো জালেম-স্বৈরাচারীর ঘরের চৌকাটে গস্তিদারদের মতো আহমদ ছফার পদধ্বনি শোনা যায়নি। তিনি যা সত্য ভাবতেন তা খুব স্পষ্ট করে হৃদয় থেকে উচ্চারণ করতেন। তাঁর বক্তব্য কোনোদিন অধোমুখ ছিলো না।
আহমদ ছফার সাথে আমার প্রথম দেখা তাঁর ‘বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস’ গ্রন্থে। বইটি একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা সম্পর্কিত একটি প্রবন্ধ সংকলন। একাত্তরে কলকাতায় প্রকাশিত আহমদ ছফার ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ গ্রন্থেরই রূপান্তর ‘বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস’। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের যারা সরকারী ছত্র-ছায়ায় মগজের ব্যবসা করে প্রখ্যাত-বিখ্যাত হয়েছিলেন আহমদ ছফা তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের চারিত্রিক খোলস উন্মোচন করে দিয়েছেন। লেখক তাঁর ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’-এর মতো ‘বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস’ গ্রন্থে কারো নাম প্রকাশ করেননি সত্য কিন্তু আল মাহমুদ সম্পাদিত দৈনিক গণকণ্ঠে এই প্রবন্ধের ধারাবাহিক প্রথম বাংলাদেশে প্রকাশকালে অনেকেরই নাম আমরা খুঁজে পাই। নামগুলো ছেঁটে ফেলা সম্পর্কে স্বয়ং ছফার বক্তব্য, ‘দৈনিক গণকণ্ঠে যখন লেখাটা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছিলো অনেকে প্রশংসা করেছেন, অনেকে নিন্দা করেছেন। নিন্দা প্রশংসার প্রত্যক্ষ কারণ বলে যা মনে করি অসংকোচে আমাদের সংস্কৃতির কতিপয় প্রখ্যাত অমানুষের নাম সাকিন উল্লেখ করতে পেরেছিলাম। কুৎসার প্রতি মানব সাধারণের মমতা তো সুবিদিত। বই আকারে বের করার সময় নামগুলো ছেঁটে দিলাম। সুযোগসন্ধানীরা অল্প বিস্তর চিরকালই থাকে। মোটা বুদ্ধি, ভেঁতা অনুভূতি, পুরু চামড়াই তাদের টিকে থাকার মূলধন।’(লেখকের কথা : বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস-পৃ. ৭)। আহমদ ছফার ‘বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস’ প্রবন্ধে আমরা যে অকমনীয় বিধ্বংসী আগুনের প্রজ্জ্বলন অনুভব করেছিলাম তা পরবর্তীতে অকৃত্রিমভাবে দেখেছি তাঁর ‘সূর্য তুমি সাথী, ওঙ্কার, একজন আলী কেনানের উত্থান-পতন, মরণ বিলাস, অলাতচক্র, গাভী বিত্তান্ত, অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী, বাঙালী মুসলমানের মন, সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস, দুঃখের দিনের দোহা, জল্লাদ সময়, শতবর্ষের ফেরারি-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নজরুলের কাছে আমাদের ঋণ, বাংলা ভাষা : রাজনীতির আলোকে, ফারাক্কা ষড়যন্ত্রের নানান মাত্রা, মাওলানা ভাসানী-ফারাক্কা-গৃহদাহের রাজনীতি ইত্যাদি রচনাসমূহে।
আহমদ ছফা বাংলা সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় বিচরণ করেছেন। আমারা তাঁর বেশির ভাগ রচনাতেই খুঁজে পাই মনীষার গাঢ়তা, সাহিত্যের সৃজনশীলতা। অসুন্দরের বিরুদ্ধে মনস্তাপ এবং সুন্দরকে ধারণের মনস্বিতা। বাংলাদেশের প্রতি-এই দেশের মানুষের প্রতি তাঁর হৃদয়ে যে মমতা, দায়িত্বশীলতা ছিলো তা ফুলের মতো প্রস্ফোটিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রচনায়। তিনি নিন্দা-প্রশংসার তয়োক্কা না করে চিৎকার দিয়ে প্রায় বলতে চেয়েছেন বাংলাদেশের সমস্যাগুলোর কথা। প্রাজ্ঞ ডাক্তারদের মতো অনেক সমস্যার নাভীতে হাত দিয়ে লিখেছেন সমাধানের প্রেসক্রিপশন। একজন দরিদ্র অক্ষরজীবী মানুষের সীমাবদ্ধ ক্ষমতা দিয়ে এথেকে অধিক আর কি করতে পারেন? আহমদ ছফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করেছেন। আত্মরক্ষার্থে যারা ভারতে পালিয়ে ছিলেন অবশ্য তিনিও তাদেরই দলের। তবে তিনি মুনাফেক বা ভণ্ড ছিলেন না বলেই অসংকোচে লিখতে পেরেছেন ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ বা ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’। এই বইগুলোতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জড়তাহীনভাবে জাতির সামনে অনেক স্খলনবাদীদের চরিত্র ফুঁটিয়ে তুলেছেন। খলনায়কেরা কোনো দিনই তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলোনা। এমনকি মৃত্যু দিয়েও আহমদ ছফা ওদের সহানুভূতি অর্জন করতে পারেননি। ঢাকা এবং লন্ডনের বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা গেলো-‘আহমদ ছফার জন্য মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদায় দাফন ও কবরের জমির বরাদ্দের প্রত্যয়ন চেয়েও পাওয়া যায়নি। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালিন মহাসচিব আহাদ চৌধুরী তখন বলেছিলেন-‘আহমদ ছফা বলে কাউকে চিনি না।’ আহমদ ছফার মতো প্রতিভাধর একজন বড় মাপের সাহিত্যিকের সাথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহাদ চৌধুরীর পরিচয় ঘটলো না, তা কার দুর্ভাগ্য-আহমদ ছফার, না আহাদ চৌধুরীর? তবে গোটা জাতির লজ্জা, এমন গোমুখ্যু-মার্কা মানুষকে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে। মজলুম মানবতার কবি ফররুখ আহমদের মতো আহমদ ছফা কিন্তু শুধু কবিতার বিনিময়ে একটু কবরের জায়গা চেতে আসেননি, তিনিতো কলম সৈনিকের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। আওয়ামী লীগের বাকশালী নেতা সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তখন এক বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘আহমদ ছফা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, এজন্যে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হবে না।’ আব্দুর রাজ্জাক সাহেবদের উজবুকী কথায় আমরা বিস্মিত কোনোদিনই হই না, যেহেতু তিনিরা বাকশাল নামক জিনিষের মানস পুত্র। রাজ্জাক সাহেবের মাথায় যা ছিলো তিনি সেদিন তা বলেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তো কোন বিশেষ দল কিংবা কোনো ব্যক্তির আব্বার সম্পত্তি নয়, জাতীয়ভাবে পরিচিত একজন প্রতিভাধর লেখক-মুক্তিযোদ্ধাকে শুধু দলীয় রাজনৈতিক বিদ্ধেষবশত ‘চিনিনা’-বলে উপেক্ষা করা হবে?
একাত্তোরে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে যারা পাকিস্তানী নরঘাতকদের হাত থেকে দেশ স্বাধীন করেছেন, আওয়ামী চকোর আহাদ চৌধুরী কিংবা আব্দুর রাজ্জাকরা কি মনে করেন ওরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক? তাদের উচিৎ দয়ার পরশে হিসেব করে দেখা, আওয়ামী লীগের কতজন যুদ্ধে ছিলেন, আর কতজন কাপুরুষের মতো ভারতে পালিয়ে রিলিফের টাকায় জীবন বিলাস করেছেন? আমরা এই মুহূর্তে পুরাতন হিসাবে যেতে চাই না। শুধু এতটুকু বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কেনো যে বারবার বাকশালী চিন্তায় গিয়ে সব কিছুতে নিজেদের কীর্ত্তনীয়া দেখার আশা করে? তা দেশে কতো যে মারাত্মক দুঃস্বপ্ন, তা তাদের বুঝা উচিৎ। একই ভুল তাদের বারবার করা অনুচিৎ। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে, কিন্তু ভিন্নমতকে কেনো যে সহ্য করতে পারে না?
আমরা জানি, আহমদ ছফা মুক্তিকামী লেখক ছিলেন বলে কারো অন্ধ কীর্ত্তনীয়া হতে পারেননি। একজন মানুষকে, একজন লেখককে, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আঘাত কিংবা উপেক্ষা করার একমাত্র কারণ যদি হয় কোনো দল বা ব্যক্তির আজ্ঞাবাহক না হওয়া, তবে তা লজ্জাজনক। বাংলাদেশের সরকারগুলো কেনো যে বোঝে না, মস্তিষ্কে কালাগ্নি নিয়ে ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী হওয়া যায় না। আহমদ ছফা, ফররুখ আহমদ প্রমূখের মতো যারা শেকড়বাদী জাত লেখক তাদেরকে চাইলেই পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া যায় না। আহমদ ছফা লিখেছেন আজীবন সত্যের জন্য, তিনি ছিলেন নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের জাতীয় চিন্তা-চেতনাকে সর্বপ্রকার লাইগেশন মুক্ত করে আলোর পথে নিয়ে যেতে তিনি অক্লান্ত চেষ্টা করেছেন। আহমদ ছফার অমরত্বের জন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তিনি নিজেও এসবে আগ্রহী ছিলেন না। এমনকি রক্তমাংসের উত্তরসূরী সৃষ্টিতেও এগিয়ে যাননি তিনি। এক্ষেত্রে তিনি অনেকটা তাঁর ভাবগুরু জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে অনুসরণ করেছেন। আহমদ ছফা সমুদ্র সৈকতের ঝিনুক কুড়িয়েদের মতো, কণা কণা মুক্তা দিয়ে বাংলা সাহিত্যের শরীরে যে অলংকার দিযে গেছেন সেগুলোই তাকে অকৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখবে প্রজন্মপরাক্রমে। সাহিত্যের পাঠক-লেখকরা নিজেদের প্রয়োজনে তাকে খুঁজে বের করবেন তাঁর সৃষ্টির উপত্যকা থেকে।
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×