সেদিনের আকাশের বুক খোলা ছিল কোথাও ছিলনা মেঘ
বাতাসের মাঝে খুব তাড়া ছিল দূরে ধেয়ে চলার গতিবেগ।
রমনার বাহারি ঘাসফুল দুলে দুলে কানাকানি করে যায়
চারদিকে জনস্রোত রেসকোর্সে এসে মিশে গেছে নির্দ্বিধায়।
বাংলার ইতিহাসের বড় অর্জন আর সবচেয়ে মহান কাজ
বুকের ভেতরে যত সুপ্ত বাসনা বাস্তব ঘোষিত হবে আজ।
হাজার বছরের নির্যাতন আর নিষ্পাষণের হবে জলাঞ্জলি
সব ছুড়ে ফেলে মুক্তির স্বাদ দেবে এক শাহাদত অঙ্গুলি।
সাতই মার্চের দুপুর গড়িয়ে যায় বিকাল হওয়ার আগে
তিনি আসছেন এই সংবাদে জনতার সমূদ্রে ঢেউ জাগে।
মুক্তিপাগল কোটি মানুষের কণ্ঠে শ্লোগান আর আহবান
দুইটা পয়তাল্লিশে রাজনীতির কবি মঞ্চে দাড়িয়ে যান।
পর্বতের মতো স্থির অবিচল সাহসী কণ্ঠের নিনাদ ধ্বনি
আঠারো মিনিটে ঘোষিত হয় দুঃশাসন ভাঙ্গার জাগরণী।
ভাষণ নয় যেন মহান কবিতা সফল বিপ্লবের সন্ধিক্ষণ
যার ঝংকারে কালান্তরে বাঙালির রক্তে জাগে শিহরণ।
তিনি শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি বাঙালির মুক্তির নাম
তাঁর আঙ্গুলের ঘোষণা ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’
দক্ষিণ কোরিয়া
০৭ মার্চ ২০২০
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১