পানওয়ালা ব্যাচে পান
ধানওয়ালা ব্যাচে ধান
বান্দি চাকর কয় কথা
না দিবো কান।।
দারুন আক্রমণাত্মক একটা প্রবাদ, কারো উপর কেউ সেই পরিমাণ ডিস্টার্ব হলে এইরকম প্রবাদ ভালো শান্তনা কিন্তু!!
তবে আমি মনে করি যুগে যুগে ব্যবহারিত কথাটা, প্রতিটি মানুষ দুনিয়ায় তার কর্মফল ভোগ করে থাকেন।
সেই ক্ষেত্রে বান্দি চাকর যদি উল্টা পাল্টা কথা বলে তার জন্য আছে তিনগুণ বেশি তিক্ত কথা, বিপদ, অপমান ।
কথা হচ্ছে সব কিছুর তো সাইড ইফেক্ট থাকে, ভালোর খারাপের সমস্ত কর্মকান্ডের। আবার যুক্তিযুক্ত কারণ ও থাকে যা আমরা বুঝতে পারিনা, সোনা পুড়ে যেমন খাটি হয় তেমনি মানুষ সংগ্রাম করে বিপদের মোকাবেলা করে শক্তিশালী হয় খাটি হয় ভালো মানুষ হয়, আমি দেখেছি বিপদে মানুষ সব থেকে বেশি বিনয়ী হয়, ভেদাভেদ অহংকার হিংসা ভুলে যায়।
কেউ আপনাকে বিপদে ফেলবে উল্টা পাল্টা অপমান করবে এমনি এমনি না, তার একটা ভালো দিক থাকে, আপত দৃষ্টিতে যা মন্দ যা খারাপ কিন্তু আসলে কিন্তু তা খারাপ না।
একটা গল্প আছে এইরকম, এক অতি রুক্ষ চঞ্চল স্বভাবের লোক গাড়ি চালিয়ে তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পৌঁছানোর জন্য গাড়ির স্পীড বাড়াইয়া দেন কেননা সে যেই লোকেশনে গাড়ি চালাচ্ছিলেন সেই পথ দুর্গম উচু নিচু ভাঙ্গা জনশূন্য, কাজেই সূর্য ডোবার পর সেই পথ যে অতি বিপদজ্জনক হবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না এবং যে করেই হোক তাকে সূর্য ডোবার আগে পৌঁছাতে হবে।
সে তার গাড়ি নিয়ে দ্রুত বেগে ছুটতে ছুটতে পথের এক প্রান্তে এসে চাকা পাংচার হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও গাড়ি ঠিক করতে ব্যর্থ হয়ে কপাল চাপড়ে হাত পা ছুরে হোয়াই মি জাতীয় আফসোস করতে থাকেন।
সে ভাবে তার মত দুর্ভাগা দুনিয়াতে আর একটা ও নাই আর শুধু মাত্র তার সঙ্গেই বিধাতা এই অন্যায়টা করেছেন।দাদাকেমকম এক সময়ে লোকটির বাজে চিন্তার সময় অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটলো, সে যেইখানে বসা এবং তার গাড়িটা রাখা তার দুই গজ সামনে পাশের পাহাড়ের উপর থেকে ধাম করে বিশাল এক পাথর পড়লো, এইখানেই শেষ নয় যেই অংশে পাথর পড়েছে সেই অংশ চুরমার হয়ে নীচে পরে গেলো।
আসলে ঐটা একটা খাদ ছিল, যদি সে তার গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যেতেন খাদের মধ্যে পড়ে তৎক্ষণাৎ পটল তুলে ফেলতেন।
আসলে যে কোনো সমস্যা বিপদ আপদ কটু কথা অপমানের ভালো সাইড ইফেক্ট ও আছে ওকে?! কিন্তু সেই পরিমাণ উচু ধৈর্য প্রত্যেকের থাকা উচিত।
মেঘ দেখে করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে কে লিখেছেন এই মুহূর্তে মনে করতে পারছিনা।
তবে সাহস দেখাতে না পারলে ও ধৈর্য ধারণ তো করা যেতে পারে, প্রতিবাদ করার পথ খোলা নেই, অবজেক্টটিভ প্রশ্নের মতন চারটি উত্তরের অপশন নেই, ভাষা নেই, সাহায্য নেই, তাহলে কি করা যেতে পারে? তাহলে ধৈর্য ধারণ করা যেতে পারে।
যে সহে সেই রহে গো ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৫