somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

না চাওয়া ও না পাওয়ার গল্প

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
এই গল্পটি আদৌ বানিয়ে বলা ঘটনা নাকি বাস্তব জীবনের না বানানো ঘটনা, নাকি নেহায়েত কয়েকটি সাধারণ ঘটনাপ্রবাহের সমষ্টি- সেটি বিচার করা যাবে তা পর্যায়ক্রমে পড়বার মাধ্যমে। আপাতত এখানে প্রধানত তিনটি প্রধান চরিত্র রয়েছে। তিনের প্রতি দুর্বলতা দেখিয়ে রকিব হাসান যেমন গল্প ফাঁদেন, তেমনি তিনজন মানব মানবী এই গল্পে মাত্র কয়েকটি দিনের ঘটনা রচনা করেছে। এই তিনজন হল- সেজান, চমক এবং সারা। তারা তিন বন্ধু।
তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া (অথবা না ঘটে যাওয়া) কয়েকটি দিনের ঘটনায় প্রবেশের আগে এই তিনজনের মধ্যকার সম্পর্কের পটভূমি বর্ণনা করা প্রয়োজন, কারণ তাদের পারস্পরিক সম্পর্কে চোখে পড়ার মত ভিন্নতা রয়েছে। এই ভিন্নতাই এই গল্পের অন্তর্গত ব্যক্তিসম্পর্কের বিবিধ রসায়নরহস্য কিছুটা উন্মোচন করতে পারে। এই তিনজনের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুতার যে সম্পর্ক, তাতে তিন নদী এসে এক মোহনায় মিশেছে বটে। কিন্তু এই তিন নদী দ্বারা মিলিত ও প্রবাহিত পানির বহরে ভিন্নতা রয়েছে।
প্রথমেই এই ভিন্নতার কথা।
তিনজনের মাঝে সেজান আর সারার বন্ধুতা অপেক্ষাকৃত নবীন বয়সী, অর্থাৎ তারা পরস্পর পৃথক না হলেও তাদের মিলিত নদীর পানির ধারায় রজতরেখা নদীর মতন ক্ষীণ কলতান। কিন্তু সেজান আর সারা দুইজনেই আবার চমকের খুব কাছের বন্ধু। অর্থাৎ চমকের সাথে সারা ও সেজান মিশে যথাক্রমে দুইটি পৃথক কিন্তু বৃহৎ পদ্মা নদী তৈরি করেছে । এর একটা কারণ হতে পারে, অনেক আগে থেকেই চমকের সাথে বাকি দুইজনের পরিচয়। একজন মানুষ (চমক) হল আলাদাভাবে দুইজনের (সারা, সেজান) ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিন্তু সেই দুইজন কেন নিজেরা অনেক পরে বন্ধু হল, সেটা সম্পর্কের গূঢ় কোন তত্ত্ব বিশ্লেষণ করলে হয়তো বোঝা যাবে। যদিও একটি নদী কখন কোন নদীতে মিশবে কিংবা কেমন স্রোতধারা আনবে সেটা ভৌগলিকতত্ত্ব অনুসারে আগে থেকে নির্দেশ করা যায় না। অনেক পরে এসে চমকই একরকম ডেকে এনে সারা ও সেজানের মধ্যে বন্ধুত্ব করিয়েছে, সেই নদীতে এখন জল গড়িয়েছে। আর এভাবেই, তিনজন মিলিয়ে, আড্ডাসমাজে প্রচলিত 'বন্ধুমহল' নামক বিশেষ শ্রেণীতে তাদের এই ছোট গ্রুপ মাত্র জন্ম নিয়েছে। দুইটি পদ্মা নদী ও একটি রজতরেখা নদী মিলিয়ে তাদের এই বন্ধুতার নবনদীতে এখন ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস।
মোটামুটি এরকমই তাদের সম্পর্কের বর্তমান স্থিতি। গল্পের প্রাণেরা এখন তৈরি। এবার গল্পের শরীরে প্রবেশ করা যাক।

২.
কোন এক অতিসাধারণ দিনের কথা।
দিনটি মধ্যবর্তী পরীক্ষার আগমূহুর্ত, যে সময়টিতে বেশ ব্যস্ত সময় কাটে সব পরীক্ষার্থীর।
সেজান, চমক এবং সারা বসে আছে শেষ বেঞ্চে। তারা ক্লাসের সবার সাথে মিশলেও সাম্প্রতিক খাতিরের কারণে এই তাদের তিনজনেরই বেশ হল্লা শোনা যাচ্ছে।
সেজান বলে,
'আগামি সপ্তায় এক্সাম আর এখনো পড়াই শুরু করি নাই! ঐ সারা, তোর কাছে কি নোট আছে দে তো! ফটোকপি করা লাগবে। '
চমক বলে,
'ফটোকপি করতে হবে ক্লাস শেষে, সে অনেক সময় বাকি! তুই বরং এখনি পড়া শুরু কর সারার কাছ থেকে নিয়ে..'
সেজান বলে,
'নাহ, খালি ফাইজলামি করস! আমি এখন সিরিয়াস, সামনে এক্সাম তো! পাস করা লাগবে।'
সারা বলে, 'আরে দিব দিব। কখন লাগবে তোর?'
সাথে সাথে চমক সেজানকে বলে,
'চিন্তা করিস না। সারা খুব ভাল নোট করে। তোরে কি না দিয়া পারে!'
সেজান যেহেতু সারার নতুন বন্ধু, তাই সে কথাটায় সূক্ষ্ম খোঁচা চাইলেই খুঁজে নিতে পারে। কিন্তু সে জবাব না দিয়ে মৃদু হাসল।

৩.
সেইদিনের পর আরেকটি বিস্মৃত দিনের কথা।
পরীক্ষাপর্ব ইতোমধ্যে শেষ। ক্লাশ শেষে তারা তিনজন বেরিয়েছে। বিকেলবেলা।
ক্যাম্পাসে নতুন খাবারের আইটেম এসেছে। কাঁচাকলা ভর্তা। সর্ষে, কাসুন্দি, ধনেপাতা, মরিচ আর তেঁতুল। সব কিছু বেটে এই ভর্তা করা হয়। বেশ মুখরোচক।
কিছুদিন কলাভর্তার ব্যাপক সুনামের পর আজ এই বিস্মৃতদিনে সারা বায়না ধরল। তাকে আজকে কলাভর্তা খাওয়াতে হবে এটা, যেভাবেই হোক।
চমক সারাকে বলে, 'হঠাত তুই কলা খাওয়ার জন্যে পাগল হয়ে গেলি!'
সারা বলে, 'কলা না, কলার ভর্তা!'
সেজান অবশ্য এত তর্কে গেল না, কিনে দিল এটা। সারা বেশ তৃপ্তি ভরে খেল। সেজানের অবশ্য টকঝালে তেমন আগ্রহ নেই। তবু সে একটু নিয়ে খেল। এই পর্বে চমকও বাদ রইল না।

৪.
বিস্মৃতদিনের পর এই তিনজনের মধ্যকার আরেকটি হারিয়ে যাওয়া দিনের কথা।
সেদিন ক্যাম্পাসে সেজান আসেনি। সারা আর চমক ইতস্তত হাঁটছিল। ক্লাস বেশ দেরিতে, তাই কোন তাড়া নেই। তারা বেশ পুরনো বন্ধু, তাই কথাবার্তায় অন্তরঙ্গতা সহজেই চলে আসে।
সেরকমই এক কথায় সারা বলে, 'আচ্ছা এই পৃথিবীতে কারা সবচে সুখী বল তো?'
চমক ভেবে বলে, 'যারা চাইলেই সব কিছু পেয়ে যায়!'
সারা বলে, 'তাই? তাহলে যারা না চাইতেই সব কিছু পেয়ে যায়, তারা তো আরো সুখী!'
চমক বলে, 'হুম তা ঠিক। কিন্তু কয়জনই বা তাদের চাওয়ামত সব পেয়ে যায়, বল!'
সারা বলে, 'আসলে চাইলেই পাওয়া যায়, কিন্তু চাইতে জানতে হয়!'
কথাটায় বেশ গভীরতা আছে। চমক বাসায় ফেরার পথে কেবল এটিই ভাবতে থাকল।
চাইলেই পাওয়া যায়, কিন্তু চাইতে জানতে হয়!

৫.
সেই হারানো দিনের পর আরেকটি অতি নগণ্যদিনের কথা।
চমক সেদিন বুঝল, কেন না চাইতেই পাওয়ার কথা বলেছে সারা। সেজান কিছুদিন আগে সারাকে মাটির একজোড়া সেট গিফট করেছে, সারা না চাইতেই!
আজ এই নগন্যদিন সত্ত্বেও মহা উৎসবের আমেজ নিয়ে সারার গলায় রংবেরঙা একটা হার ঝকমক করছে আর কানে দুলদুটি মধুমালতী ফুলের মতন ঝুলে আছে। চমকের মনে হল, সেজান অন্যদিকে চেয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
চমক এটা বেশ স্বাভাবিকভাবে নিলো। কারণ স্বাভাবিকভাবে না নিলেই বরং বেখাপ্পা মনে হত। তবু কোথায় যেন একটা খটকা চমকের মনে গেঁথে গেল।
সেই খটকা আরো জট পাকালো তিনদিন পর।

৬.
তিনদিন পরের কথা। বসন্ত দিনের প্রথম সকাল।
আজকের দিনটি আর কয়টি সাধারণ বাসন্তী দিনের মতই। আলোকোজ্জ্বল সূর্য তার কথা রেখেছে, আকাশ আগের মতই শামিয়ানা তৈরি করেছে আর মৃদু বাতাস পালন করছে দখিন হাওয়ার ভূমিকা। অবিরল ডেকে চলেছে আজকের যুগে সময় মেনে চলার মাধ্যমে বিরল গুণ দেখানো এক কিংবা একাধিক সময়নিষ্ঠ কোকিল।
চমক চাইছিল সেইদিনের খটকা আজই মিটমাট করে ফেলতে। কারণ সেই এক হারানো দিনে চমক যা শুনেছে তাই আজ বাস্তবে চেয়ে দেখাবে। চাইলেই হবে না, চাইতে জানতে হবে। সে কারণেই আজ তার ব্যাগে একমুঠো পলাশফুল। সে ঠিক করেছে, সে যা চাইবে, তাই করে দেখাবে। তার স্থির প্রত্যয় হয়, বহুদিনের ধুপ দেয়া অনুভূতি আজ নিশ্চয় কথার ঘ্রাণ ছড়াবে।
সবাই আজ হাজির ক্লাসে। সবার পরনে বসন্তের রঙ। সেজান, সারা আর চমক তিনজনই পরে এসেছে লাল রঙের পোশাক। দেখলে যে কেউ ভাববে, তারা তিনজন আগেরদিন প্ল্যান করে এই রঙ বেছে নিয়েছে। আদতে, তাদের বন্ধুত্বের মিল আছে বলেই এরকম হয়েছে।
অন্তত চমক এরকম ভাবে। কিন্তু সেজানের কি খবর। সে কি অনুরূপটি ভাবে? কিংবা সারার? তাদের মনের কথা বলা যাচ্ছে না। কারণ, গল্পের এ পর্যায়ে সারা ও সেজান পার্শ্বচরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফাগুনের প্রথম দিনের দুপুরে এই 'নবীন বন্ধুমহল' মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা আজ কোথাও ভালমন্দ খেতে যাবে।
খাওয়াদাওয়া শেষে সেজান সারার চোখে চোখ রেখে বলে, ‘আজ বসন্তের প্রথম দিনে বেশ ভাল লাগল তোর সাথে সময় কাটাতে পেরে।’ খেয়াল করলে দেখা যাবে, সেজান 'তোদের' পরিবর্তে 'তোর' ব্যবহার করছে। এই ‘তোর’ বুঝাতে আর কেউই নয়, সারাকে উদ্দেশ্য করে বুঝানো হয়েছে।
চমক কি সেজানের ভিন্ন প্রবণতা লক্ষ্য করছে? তাদের এই নতুন বন্ধুত্ব তার কাছে প্রাণবন্ত ঠেকছে কিন্তু শেষতক এটা পয়মন্ত হবে কিনা, অনুমান করা যাচ্ছে না। যথারীতি সেলফিপর্ব, নানবিধ রসালাপ আর হাসিঠাট্টা শেষে চমক বাস্তবিকই চমকিত হল, যখন খাবারের বিল প্রদানের সময় এল।
চমক আর সেজান হাত বাড়িয়ে তাদের বিল দিল সারার হাতে। সারা চমকের টাকা নিল, কিন্ত সেজানের টাকা তার হাতেই রইল। সে বিল দিয়ে বের হয়ে বলল, আজ ফাগুনের দিনে সেজান, তোকে আমার পক্ষ থেকে ট্রিট।
সেজান তো মহাখুশি, তার ওপর সে মজা করার এই মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করল না। চমককে বলল, 'দ্যাখ দ্যাখ, তোর পুরনো বান্ধবী সারা আমাকে ট্রিট দিল অথচ তোকে দিল না!' সারা আশ্চর্যজনকভাবে নিশ্চুপ। আর এই কথাটা শুনে চমক মুখে বলল, 'তো কি হইসে, তুই নতুন মানুষ, তাই দিছে আর কি! সারা তো আমাকে আরো কত ট্রিট দিল।'
কিন্তু চমকের মনে চেপে থাকা সেই অমীমাংসিত খটকা মধ্যে গত কদিনের ঘটনায় আরো জট পাকিয়ে ফেলল। সেই নগণ্যদিনে সারা পরে এসেছিল সেজানের সেই গিফট-একসেট গয়না, আর আজ সারা সেজানকে দিল বাসন্তী ট্রিট। চমক দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাল। আর এভাবেই সে সকালের তুচ্ছ ফুলগুলো উপহার দিয়ে কিছু চাইবার ইচ্ছেটুকু হারিয়ে ফেলল। ধুপে আগুন থাকলেই হয় না, উসকানিরও দরকার হয়। তার পুরনো চাপা অনুভূতি আজ সেই উসকানির অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু সেটার বদলে এসব ঘটনা তার ধূপে যেন একরাশ পানি ঢেলে দিল। এখন কিছু চাইলে সেটা বড্ড বেমানান দেখাবে। সুতরাং তার চাওয়াটুকু আজ আর পাওয়া হয়ে উঠল না। পাওয়া দূরের কথা, সে চাইতেই পারল না। বরং এসবই দেখলো, চেয়ে চেয়ে।
বিকেলবেলা আড্ডা শেষে সবাই ধরল যার যার ঘরে ফেরার পথ। চমক বিষণ্ণ আর ঈষৎ চলন্ত হাতে সকালের সেই পলাশফুল মুঠোয় ধরে রেখেছে। দিনের শেষে ফুলগুলো বেশ নেতিয়ে গেছে কিন্তু ঔজ্জ্বল্য অটুট রয়েছে। আসার পথে চমক দেখল, পশ্চিম আকাশে বসন্তের প্রথম সূর্য ডুবতে বসেছে। সেই সূর্য এতই নরম কমলা আলো ছড়াচ্ছে যে সূর্যালোকের স্নিগ্ধ অনুজ্জ্বলতায় তার পুরো গোল আকারটুকু নিখুঁত হয়ে চোখে ধরা পড়ে।
হঠাতই চমক শতকোটি মাইল দূরে থাকা সেই একলা সূর্যকে তার আপন হাতে আবিষ্কার করে। একদম অবিকল সূর্যের মতন আগুন নেশা ধরানো কমলারঙা পলাশফুল। সূর্যের মতই একলা আর নিঃসঙ্গ একগুচ্ছ ফুল তার হাতের মুঠোয় অনুজ্জ্বল আলো মেখে রেখেছে। এক অচেনা তাপে চমকের হাতদুটো পুড়ে যেতে শুরু করে।
চমক সূর্য ডোবার আগেই সেই অনুজ্বল আলো বিলানো কিংবা অচেনা তাপ ছড়ানো পলাশফুলগুলো আক্রোশে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×