গত জুম্মায় দেখলাম তোমারে
সুর্য ডুবার ক্ষণে
চোখে চোখ
দৃষ্টি বিনিময়
সেই থেকে অবাধ্য মন
বাঁকা থেকে সোজা
একদম কথা আর শুনছে কই!
আজকে আরেক জুম্মা হাজির
এখনো ভুলে নাই মন
তুমি কি ভুলে থাকার মতন কেউ?
এমন করে বহু জুম্মা আসবে যাবে
জীবন ও দাঁড়াবে শেষ প্রান্তে
তুমি!
তুমি ঠিকই গেঁথে রবে
হৃদ মাঝারে
যেন উজান গাংগে উত্তাল ঢেউ।
উফফ!
তোমার সেই হাসি
যেন ফসফরাস
গন্ধকে ঠাসা বারুদ
এফোঁড় ওফোঁড় করে
যত আছে যাতনা মোর।
তোমার ফর্সা গাল আরো লাল
যেন সরোবরে ফোটা পদ্ম
শিশির গলা ভোর।
তোমার চিবুক উন্নত
ঘন দীঘল চুল
যেন মেঘে ঢাকা আসমান
লাজে আঁখি নত।
আহ!
তোমার ধীরলয়ে সেই
বুকের কাপড় ঠিকঠাক করার
নতুন সব কৌশল
ফের দু হাত তুলে খোপা করা
ফের তোমার দৃষ্টিতে
আমার বন্দি হওয়া
এযেন নির্ঘুম পাখির
ডানা ঝাপটা কিচিরমিচির শত।
আমি আসছি রুহি,
এক চিলতে রোদ হাতে
কাচ্চি, বোরহানি,
গরম পিঁয়াজু, রঙ চা সাথে।
আসছি
ঘেমে ঘেমে
সমস্ত গরম
রুমালে, শার্টে, পকেটে ভরে
বিরতিহীন বাসের রডে ঝুলে।
আসছি
মালাই ডাব,
বয়াম ভর্তি কাঠি লজেন্স,
আইসক্রীম
যা দিব্যি যাচ্ছে গলে!
আসছি
শ্রাবণ বর্ষা হতে
তোমার নরম ওষ্ঠে
সমস্ত কষ্ট ঘষতে।
আসছি
নিহত রাতের
প্রাণ বাঁচাতে
তোমার ঘাড়ে সুড়সুড়ি দিতে।
আসছি,
এক থালে দুজন খাব বলে
এক ছাদের নীচে
পাঁচ হাত বাই পাঁচ হাত খাট
দখিনা হাওয়া
চাঁদরে নিত্যনতুন ভাঁজ ফেলতে।
তুমি জলে ভাসা শালুক ফুল
আমিও কম কিসে
দক্ষ ডুবুরি
ভীষণ চটুল।
হ্যালো, রুহি
এসে গেছি
বকশীবাজার
সিগনাল বাতি সকল উপেক্ষা করে
তোমার দুয়ার প্রান্তে
তুমি আসছ তো?
তুমি ঠিক আছ তো!
প্লাবন হোক
আসুক জোয়ার
চল,
শুরু করি
ওষ্ঠে ওষ্ঠে
তুঘলকি কারবার !
১৬ জুলাই ২১ ( শুক্রবার )
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪