আসেন একটু ধর্মে যেভাবে যৌনতার কথা বলা হয়েছে তা জানি যেমন পবিত্র কুরআনে আছে " নারী হলো শস্য ক্ষেত তোমরা যেভাবে খুশি গমন বা বিচরণ কর "! ( সুরা বাকারা ২২৩ আয়াত )
এর উপর হাদিস আছে প্রচুর। যেভাবে খুশী বলতে নানান আসনে। সামনাসামনি, উপুড়, চিত, কাইত, পেছনে কুকুর এর মতন হয়ে করা যাবে।
তবে সেক্ষেত্রে ক্ষেত্র হতে হবে যোনী। অন্যকোন অংগ অর্থাৎ পায়ু পথ নয় এবং অবশ্যই ব্যাপারটা হালাল মানে বৈধ হতে হবে।
নবী করিম সা ঃ হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘কেউ যেন পশুর মতো তার স্ত্রী থেকে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ না করে, বরং তাদের মধ্যে চুম্বন এবং কথাবার্তার দ্বারা শৃঙ্গার হওয়া উচিত।’ (দাইলামি’র মুসনাদ আল-ফিরদাউস, ২/৫৫)
এখন চুম্বন, শৃঙ্গার কি আপনারা জানেন কেউ দুধের বাচ্চা না! এবং কথাবার্তা বলতে সেক্সুয়েল আলাপ এর কথা বলা হয়েছে পান সুপারির প্যাঁচাল নয়।
তা কি দেখছি,ধর্ম যৌনতাকে বেশ খোলাখুলি করে বর্ননা করেছে তবে এর লাগাম ও টেনে রেখেছে। বৈধ অবৈধ নির্দিষ্ট রীতিনীতি দিয়ে।
লেখালেখি বা সাহিত্যে যৌনতার কথা আছে। এর ভিতর বৈধতা ও অবৈধতার ব্যাপার অবশ্য আছে কিন্তু এর ভিতর কতদূর পর্যন্ত ছাড় দেয়া আছে মানে কতটুকু এর সীমা?
এখন একজন পুরুষ সুন্দরী স্বাস্থ্যবতী নারী দেখে প্রেমে পড়তে পারেন অথবা তার ভিতর কামভাব জেগে উঠতে পারে। তাই স্বাভাবিক। কারণ শরীর ধর্ম বুঝে না শরীর বুঝে হরমোনের দৌড়ঝাঁপ।
তা একজন লেখক তার সাহিত্যে বা লেখালেখিতে যৌনতা নিয়ে আসলেন। এতে কি তিনি খারাপ বা অশ্লীল হয়ে যাবে?
ধরেন বাংলা সাহিত্যের কথা যেমন,
একশ চার ডিগ্রী জ্বর কবিতাটি
" বলা নেই কওয়া নেই কোত্থেকে এক সুন্দরী
দাঁড়াল আমার সামনে
তার চুল লাল
চোখ লাল
স্তন লাল
লাল তার ঊরু আর নিতম্ব
অগ্নিশিখা তার বগলের চুল
সেই লালচুল সুন্দরী আমার দুচোখে হৃদ্যতাবশত
সামনে ছুঁড়তে থাকে ত্রন্তার জ্বলন্ত রক্তজবা
দেখতে পেলাম সুন্দরীর শুধু একটিমাত্র স্তন এবং
তার সঙ্গী স্তনটি যে জায়গায় থাকার কথা সেখানে
জমাট হয়ে আছে বৃদ্ধার ফোকলা হাসি
অসহ্য উত্তাপের মধ্য থেকে
আমি বিকশিত হচ্ছি আগুন রঙের ফুলের মত
আমার মাথাটা এখন রবারের বেলুন
চিল বালিহাঁস আর ঈগলকে নিচে রেখে দিব্যি
উঠে যাচ্ছে ক্রমাগত উপরে উঠে যাচ্ছে
বেলুনের সুতাগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার যোগাড়
এক ঝটকায় ঝরে গেছে আমার বয়স
যেমন খসে পড়ে পুরোনো দালানের চুনবালি "
এখন অনেকে স্তন, উরু,নিতম্ব এই শব্দ গুলি পড়ে যদি মন্তব্য করে বসেন কবি শামসুর রাহমান অশ্লীল কিছু লিখেছেন। তাহলে তা কতটা ঠিক হবে?
অথবা কথা সাহিত্যিক শওকত উসমান তাঁর ক্রীত দাসের হাসি কিতাবে বলেছেন " যারা মাগীদের কাছে যায় তারা মাগীবাজ তেমনি যারা মরদের কাছে যায় তারা মরদবাজ! " মানে গে।
অথবা আলমাহমুদ তাঁর কালো নৌকা গল্পে শশুড় এবং ছেলের বউ এর সাথে যে ইনসেস্ট যৌন গল্প বলেছেন। তা পড়ে যদি কেউ গালিগালাজ করেন অথবা শওকত উসমানকে তবে কি বলার আছে?
একজন কবি বা সাহিত্যিক যখন লিখে তখন সে তাঁর আশেপাশের সব কিছু মগজে ধারণ করে একটু গুছিয়ে একটা ভিন্ন রঙ দেয়ার চেষ্টা করেন মাত্র।
পাঠক সেটা নানাভাবে নিতে পারে।সেটা তাদের চিন্তা চেতনার উপর নির্ভর করে তবে আমরা আসলে বেশীরভাগ মুখোশধারী মানে দুই তিন বা আরও বেশী ক্যারেকটার প্লে করি। এতেই সমস্যা দেখা দেয়।
দেখা যায় রাতভর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল বর্নবাদ যারা করে তারা হ্যানত্যান ফলনা দলনা।
অথচ সেই ব্যক্তিটি মার্কেটে যেয়ে খোঁজ করছে ফর্সা হওয়ার ক্রীম! এমন মানুষের সংখ্যা সমাজে প্রচুর তাই সমস্যা প্রচুর।
আমার জীবনের ঘটনা বলি, একবার আমি, আমার এক বন্ধু এবং তার গার্ল ফ্রেন্ড বসে আড্ডা মারছিলাম। কোন এক প্রসংগে আমার বন্ধুটি আমায় জিগ্যেস করল কেমন মেয়ে তোর চাই? মানে দেহ? না, মন? আমার উত্তর ছিল দেহ কারণ সুস্থ দেহে সুস্থ মন!
এ কথা শুনে আমার বন্ধু বলল, " তুই বড্ড অসভ্য! " মেজাজ চ্যাতে গেল। ইজ্জতে লাগল।
আমি বললাম একটু এদিকে আয় কথা আছে প্রাইভেট। ও না করল পরে বললাম আয় না জরুরি কথা।
দূরে নিয়া গিয়া কি কইছি জানেন? কইতাছি। কইছি,
" তুই তোর গার্ল ফ্রেন্ডের সামনে আমারে সরাসরি জিগালি দেহ? না, মন? আমি সত্য বলছি যা আমার ভিতরে ছিল। এহন আমি অসভ্য! যা শালা তোরে চুদলাম না। "
এই বলে সোজা চান খার পুল বাকেরখনি আর রসগোল্লা খেতে চলে গেলাম।
আমিও ইতি টানছি ঘুম পাইছে তয় যাবার আগে আমার কিছু কথা কোন একজন রমনীর উন্নত বক্ষ দেখে লিখেছিলাম
" তোমার ভরাট স্তন
বাঁচিয়ে রাখছে
আমার কচ্ছপ উপুড় যৌবন! "
আর একটা প্রশ্ন সামু কতদূর যৌনতার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে? ভালো থাকবেন সকলে এবং নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৪