শুরুতেই একজন জেনারেল এর তরফ থেকে সবাইকে সালাম এবং পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা !
এই ব্লগ লেখার আগে কিছুক্ষণ ভাবলাম কেন লিখছি? কার জন্য লিখছি ? যেহেতু জেনারেল আছি তাই প্রথম পাতায় এই লেখা আসবে না। নির্বাচিত পাতায় যাবেনা উহা ও নিশ্চিত শ্রদ্ধেয় মডু সাহেবদের সেই ইচ্ছে নেই। যাক এমনি করে দুই চাইর মিনিট ভাইবা শেষমেশ ধুর বইলা শুরু কইরা দিলাম। হা হা হা.....
বিষয় হইলো ব্লগে কেন ধর্ম নিয়া এত প্যাঁচাল আর ক্যাচাল ? বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম নিয়ে। অন্য ধর্ম নিয়া লিখেন দেখবেন অত হাউকাউ নাই ! হয়তো এ দেশে মুসলিম এর সংখ্যা বেশী এইজন্য ! অথবা ধর্মীয় বিশ্বাস প্রচুর গভীরে মানুষের।
এখন ইসলাম নিয়া লিখলে আপনার লিখা বহু লোকে পড়বে। এতে করে হয়তো আপনার মন্তব্যের ঘরে ঢুকা যাবেনা। মাছির মতন ভীড় লেগে যাবে অথবা মহাখালী ব্রিজের নীচের জ্যামের মতন নানান মন্তব্যে আপনার ব্লগ ঠাসা ! অস্থির এক অবস্থা।
এই অস্থিরতা কিন্তু সব ব্লগার চায় যাতে করে তার ব্লগে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর শ্রদ্ধেয় মডুগন উহা আরো চান এতে করে ভিজিটরস বাড়বে যেহেতু প্রতিমাসে চার লাখের একটা হিসেব আছে ! এমনে হিসেব করলে মানে দাঁড়ালো ইসলাম ধর্মকে ব্যবসায়ী বিষয় করে ফেলা হলো! আসলে ইসলাম ধর্ম কি এমন কিছু ?
মাঝে মাঝে দেখি ব্লগে ইসলাম নিয়ে নানান পদের ভালো আলোচনা হচ্ছে আবার সমালোচনা হচ্ছে। ইসলাম নিয়ে অনেকে বাজে মন্তব্য ও করে বসে। যা খুব খারাপ ! মুখ আছে বলেই কারো বিশ্বাসে আঘাত করা কি ঠিক ? আবার এসব দেখে মাঝেমধ্যে হাসি কারণ ইসলাম আছে থাকবে ইন শা আল্লাহ। উহা টিকে থাকবে আন মান শান নিয়া।
কেউ বলে পবিত্র কুরআন পইড়া কি লাভ ? না, চাকরি পামু? না টাকা ? দুনিয়ার কোন ধর্মীয় কিতাব পড়লেই আপনি বি সি এস ক্যাডার বা সরকারি চাকরি পাবেন না। এমন কি অর্থকড়ি ও আসবে না। উহা বলদের মতন চিন্তা ! তবে ধর্মীয় কিতাব বেশী বেশী পড়লে আর সে অনুযায়ী আমল করলে আপনি অনেক কিছু থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে পারবেন। শেষ বিচার এর দিন রক্ষা পেতে পারেন। ধর্মীয় কিতাবের পাশে আমাকে আপনাকে অন্য কিতাবও পড়তে হবে যাতে নিজের থাকা খাওয়ার জন্য একটা কাম কাইজের ব্যবস্থা হয়। পবিত্র কুরআনের প্রথম শব্দই হলো " ইকরা " মানে পড়।
অন্য অর্থে বলতে গেলে জ্ঞ্যান আহরণ কর।ধর্মীয় কিতাব দেয়া হয়েছে যাতে করে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ না হয়। সমাজে শান্তি বিরাজ করে বরং এখন দেখছি উল্টো। ধর্মীয় কিতাব পড়ে কেউ কাউরে ছাড় দেয় না। এমন কি হত্যা পর্যন্ত করে বসে ! যা রীতিমতো ভয়ংকর ব্যাপার স্যাপার।
মানুষ এবং জ্বীন এই দুই জাতিকে আল্লাহ নিজেদের ইচ্ছে শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এখন আমি, আপনি আল্লাহকে মানতে পারি আবার নাও পারি। ইচ্ছে আমার, আপনার। আল্লাহর এতে করে কোন লোকসান নাই। মরার পর মাইর আমি, আপনে খামু। আগুনে পোড়লে আমি, আপনে পুড়মু । আল্লাহ আল্লাহর জায়গায় ঠিকই থাকবে।
এখন আপনি যদি বিশ্বাস করেন কিসের কেয়ামত? কিসের কি! কিসের জান্নাত দোজখ ! কিসের হাশর মিজান পুলসিরাত ! তাইলে এত কনফিডেন্স থাকলে মইরা দেখেন হিসেব পেয়ে যাবেন।
অনেকের চিন্তা ভাবনা আছে এমন যে, মইরা গেলে সব শেষ। আইছি বান্দর থাইকা এহন যা খুশী করি ! না, অত সোজা না। সব কিছুর হিসেব আছে এবং দিতে হবে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাই সতর্ক করে বলেছেন, " মানুষ কি ভাবে তাকে এমনিতেই সৃষ্টি করা হয়েছে ? " প্রতিটি প্রাণীকে মরনের স্বাদ ভোগ করতে হবে " ( ভুল হলে আল্লাহ মাফ কইর।)।
এখন ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি যে বা যারা ইসলাম নিয়ে উল্টো সিধা বলে তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু পরিষ্কার। দেশের ভেতর অরাজকতা সৃষ্টি করা। নয়তো নিজেকে বিশাল জ্ঞ্যানী প্রমাণ করা। যা বলদ কিসিমের লোক করে থাকে। আবার এও হতে পারে শ্রদ্ধেয় মডুদের প্রিয় পাত্র হওয়া ! আবার ধরে নিতে পারি এগুলো লিখছে এজন্য অদুর ভবিষ্যতে অন্য কোন উন্নত দেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আশায়। অনেকেই সামুতে লিখে পরবর্তীতে বহু দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন এবং এগুলো প্রমাণ স্বরুপ হাজির করেছেন।
যাক সেসব কথা শেষমেশ বলছি কারো কথায় পবিত্র কুরআন না পড়ার আমল শুরু কইরেন না। জীবন আপনার। হিসেব ও আপনাকে দিতে হবে। আখেরাত বড়ই কঠিন জায়গা সেখানে নিজের স্ত্রী, সন্তান ও বাঁচাতে আসবে না। আরেকটা কথা বলছি বিশ্বাসে মিলায় মুক্তি তর্কে বহুদূর ! সামনে রোজা আসছে নিজেদের ঠিক করার চেষ্টা করি ইন শা আল্লাহ। আজ আছি কাল হো না হো !
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৩