১৬ বছরের মেয়ে বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করে কি পেল? এই প্রশ্নযদি তার আত্না এসে জাতীর বিবেককে জিজ্ঞেস করে, জাতি তখন কি উত্তর দিবে?
কোথায় জাতির পিতার কন্যা? যে কিনা বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু, এই নিরাপরাধ ফেলানীর মৃত্যুতে তো তার কোন আক্ষেপ দেখলাম না।
কোথায় মেজর জিয়ার আদর্শে আদর্শিত নেত্রী, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত রন্ধে রন্ধে মিশে আছে যার নাম? যিনি কিনা নিজেকে বাড়ি থেকে উৎখাত করার কারনে হরতাল ডাকলেন? কই কোথাও তো আপনারও বক্তব্য দেখলাম না।
আসলে তারা এসব দেখেও দেখেন না। কিন্তু তারা সবাই সবই দেখতেন যদি ঐ মেয়ে তাদের কোন দলের কর্মি হত। তার মৃত্যতে শোক দিবষও পালন করা হত, হত হরতালের ডাক ও।
আমরা হরতাল চাই না, আমরা খালেদা হাসিনার জবাব চাই না, আমরা চাই বিএসএফের হাতে অন্যায় ভাবে বাংলাদেশীদের খুন করা বন্ধ করতে হবে নয়ত বা ভারতের সাথে সাংস্কৃতির আদান প্রদান, অর্থনীতির চাল চালান বন্ধ করতে হবে। কারণ একদিক দিয়ে তারা আমাদের ভাই বোনকে অন্যায় ভাবে হত্যা করবে আর অন্যদিকে তাদের সাথেই হাত মিলিয়ে সন্ত্রাস দুরকরার নামে মানবাতার গান গাইব, এটা কখনোই হতে পারে না। আমরা এখনো এতটা অন্ধ হইনি।
বিএসএফের গুলিতে বিদ্ধস্থ হয়ে ফেলানী যখন পানি পানি বলে চিৎকার করেছিল, সে মুলত তারদেশের সরকারকেই ডাকছিল, ডাকছিল বিরুধিদলের নেতা নেত্রিদেরকে। সে ডাকছিল জাতির কর্নধারদের যারা এসিরুমে বসে বসে জাতির সেবা করার বিনিময়ের অর্থে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে আর যাদের বাচিয়ে রাখার কথা ছিল তাদের হত্যা করে টাকা উপার্জন করে। সে ডাকছিল কাজি নজরুল ইসলামকে তাকে নিয়ে দু'কলম লিখতে, কারণ সে ঠিকই জানত আজকাল যারা সাহিত্য লিখে লাখোটাকা কামায় তাদের কখনোই তাকে নিয়ে লেখার সময় হবে না। সে ডাকছিল দেশটির মানবতাকে, যারা মানবতার ডাক নামক সংগঠনের নামে কোটি কোটি চাঁদা উঠিয়ে বছরে দু'একটা মিছিল করে। সে ডাকছিল মসজিদের ইমামকে যারা খুৎবায় খুৎবায় ফিলিস্তিন ইরাকের কথা বলেন, সে মুলত বাংলাদেশরই শুধু নয় সারা বিশ্বের বিবেককে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে গেলো কোথায় বাংলাদেশ কোথায় ভারত আর কোথায় বিবেক বা মানবতা।
ফেলানীর মত আর কোন কোন বাংলাদেশি যেন বিএসএফ নামক কুকুরদের হাতে খুন না হয় এই মর্মে সমগ্রজাতীকে সোচ্চার করার লক্ষে সামুর পক্ষ থেকে কোন পরিকল্পনা হাতে নেয়ার অনুরুধ জানাচ্ছি। আমরা অবশ্যই সাথে থাকব।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:৫৬