থাউজেন্ড ইয়ার্স ধরে বসে আছি আমরা প্রাণ কবে প্রাণের দেখা পাবে তার অপেক্ষায়; তোমাকে বুঝতে গিয়ে মানুষ আমরা মারা যাচ্ছি একটু একটু করে।
হাঁটছি...কোথাও কোন অনুভূতি নেই....
শুধু Knowledge;
হৃদয় নেই তার- ইন্টেলের Old Processor;
আপডেট হয়ে ঘুরে-ফিরে আসে বারবার।
ছায়া নেই, গাছ নেই- অসংখ্য P-N junction -এর সারি সারি স্তর,
FET, BJT, GTO's... বাবুতরঙ্গ- Microwaves-
তাও ডিসক্রিট, অ্যানালগ কন্টিনিউয়াস নয়।
তুমি যখন বল, তুমি ক্লান্ত- Engineer -এসে বলে, "এ হল তার Internal Processor -এর অতিরিক্ত Calculation -এর কারণে উদ্ভূত Increased Temperature -সৃষ্ট এক ধরনের Sound Noise!"
চারিদিকে চাই। পথে পথে পঙ্গপালের মতন চারিপাশে মানুষজন ছুটছে ছুটছে? মানুষ?
আমি মানুষ আর দেখি না...।
ওরা শুধু বলে, ব্যস্ত সময় যাচ্ছে চলে; অথচ সময়কেই কখনোই উপলব্ধি করেনি।
তবে মনসর্বস্ব ভাবুক উদাসী উদভ্রান্ত তুমি কেন যে পড়তে এলে প্রকৃতিবিজ্ঞানের এই কাট্টাখোট্টা বিষয়?
জানোইতো প্রকৌশলবিজ্ঞানে মন নেই, মানুষ নেই, বিস্তৃর্ণ প্রান্তর নেই।
প্রবেশপথটাও বড্ড সংকীর্ণ।
ইটের পর ইট, সিমেন্ট-বালু আর কনক্রিটের প্রাচীর পেরিয়ে সূর্যের স্বাভাবিক আলো প্রবেশ করেনি কখনো। নিত্য-নতুন খেলনার পিছনে ছুটে নিষ্প্রাণ মানুষগুলো, সেইসব খেলনা নিয়ে আত্নরতিমগ্ন মুহূর্ত পার করে ফেইসবুকে কিংবা সস্তা কথোপকথনে নির্ঘুম রাত পার করে। আমাকেও উঠতে হয়। ইউ উইল নেভার নো হাউ ডাজ ইট ফিল....পথে নামতে হয় আবার। কী অর্থ এই অর্থহীন ছোটাছুটির? আরতো পারিনা, ঈশ্বর! একটু অনুগ্রহ করো এবার আমায়। কীসের জন্য কার জন্য কেন? অর্থ, বিত্ত, প্রতিপত্তি, নাম, যশ, খ্যাতি নাকি সার্টিফিকেট?
পৃথিবী নিরুত্তর। প্রতীক্ষার-প্রহর-গুনে বসে-থাকা অভিমানী প্রেমিকার চোখের কোনে আসন্ন ঝড়ের আভাসের মতন আকাশ থমথমে বিষণ্ণ। সৃষ্টির আদিলগ্ন হতে রাত্রির আকাশে ঘুরে-ফিরে ক্লান্ত প্রাচীন মেঘেদের দল একসময় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি হয়ে নামে ফিনিক্সের অশ্রু হয়ে। হয়তো এই ভালো অবশেষে। বৃষ্টি আর অশ্রু মিশে একাকার। যে অশ্রু তুমি দেখবে না কখনো।
থাউজেন্ড ইয়ার্স ধরে বসে আছি আমরা প্রাণ কবে প্রাণের দেখা পাবে তার অপেক্ষায়; তোমাকে বুঝতে গিয়ে মানুষ আমরা মারা যাচ্ছি একটু একটু করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩