'রাজনৈতিক কলাম লেখক' কি যেন নাম, গোলাম মাওলা রণি, নাকি ধনী; ছিলেন আওয়ামী লীগে, বাদ পড়েছিলেন বিএনপি'র প্রার্থী হিসেবে; উনি উনার প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন, এখন অপেক্ষা করতে হবে পরাজিত হওয়ার জন্য। উনর আবেদনপত্র অসম্পুর্ণ ছিলো; সাংসদ পদে আবেদনপত্র অসম্পুর্ণ থাকলে উহাকে কোন অবস্হায়ই প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়া উচিত নয়, ইহা ১ম শ্রেণীর ১ম সাময়িক পরীক্ষার ১ম দিন নয়।
আমার স্কুলে যাবার শুরুটা ছিল আনন্দের; মাস তিনেক পর, আমাদের মৌলভী স্যার বললেন যে, আগামী সপ্তাহে ১ম সাময়িক পরীক্ষা; ১ আনা পয়সা পরীক্ষার ফি হিসেবে দিতে হবে; যারা ফি দিবে না, তারা পরীক্ষা দিতে পারবে না; তখন চালের সের ৬ আনা। ৪২ জনের মাঝে ১৫/১৬ জন পরীক্ষায় অনুপস্হিত, ফি দিতে পারেনি পরিবার; পড়ালেখার আনন্দ একটুখানি কমে এলো।
পরীক্ষার শুরুতে, আমাদের সাবের আলী স্যার ব্ল্যাক বোর্ডে লিখলেন:
প্রথম সাময়িক পরীক্ষা
প্রথম শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নাম: কুদরত ই খুদা
রোল নং: ১
ছাগলনাইয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়
তাং ১/৬/১৯৫৮
লেখা শেষে উনি সবাইকে ২ পাতা কাগজ দিলেন, ও প্রথম পাতার মাঝামাঝি অংশে ব্ল্যাকবোর্ড যা আছে, তা লিখতে বললেন; সাথে সাথে ব্যাখ্যা করলেন যে, নাম ও রোল নং'এর স্হানে নিজের নাম ও রোল নং লিখতে হবে, কুদরত ই খুদা ও ১ নং লিখার দরকার নেই। সবার লেখা শেষ হলে, উনি চেক করার শুরু করলেন। ৩/৪ জন নামের যায়গায় 'কুদরত ই খুদা' ও রোল নং ১ লিখেছিলো। স্যার বললেন, আগামীকাল ধারপাত পরীক্ষা; যারা আজকে নাম ও রোল নং সঠিক লিখেনি, তারা আগামীকাল একই ভুল করলে, শাস্তি দেয়া হবে, বেত আনা হবে। পরেরদিন কেহ ভুল করেনি, হাজার হলেও ছাত্র মানুষ।
গোলাম মওলা রণি ১ম শ্রেণীর ছাত্র নয়; মনে হয়, একবার সাংসদ ছিলো, বা দলে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন; বিডি-২৫ ডট কমে, কিসব ম্যাওপ্যাও লিখেন; সামুতে লিখলে হয়তো নুরু সাহেবের ১টা মন্তব্য পেতেন। যাকগে, কোন একদিন নুরু সাহেবের পোস্টে উনার নাম আসতেও পারে। কিন্তু উনাকে এত বড় পদের জন্য এই ভুল মাফ করা ঠিক হয়নি; যদি মাফ করা হয়, কমপক্ষে বেত দিয়ে কয়েকটা ঘা দেয়ার দরকার ছিলো।
আজকে বেগম জিয়ার প্রার্থিতার নিস্পত্তি হওয়ার কথা; উনার আবার প্রার্থিত ১টা নয়, ৩টা; ফলাফল আপনারা সবাই জানেন নিশ্চয়ই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭