Tragic News
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত ছিলো, এই ঈদে ঢাকাবাসীকে খাঁচায় রাখা, বুড়িগংগায় পায়খানাকারী ও রাস্তায় আবর্জনা-ফেলানো, অপরিস্কার ঢাকাবাসীকে সারা দেশে ডেংগু ছড়াতে দিয়ে, শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে অপরাধ করেছেন; উনার চিন্তা করার দরকার ছিলো, যেই ঢাকাবাসী নিজেদের বাড়ীঘর, রাস্তাঘাট, পরিবেশকে অপরিস্কার রেখে ডেংগুতে ভুগছে, তাদের কি অধিকার থাকতে পারে গ্রামগুলোতে ডেংগু রোগ ছড়ানোর; তাদের কি অধিকার থাকতে পারে ডেংগু নিয়ে গ্রামে যাবার?
১ সপ্তাহ আগে, ঢাকার এক শিশু (৮ বছরের মেয়ে) হাসপাতালে থেকে ডেংগু থেকে সেরে উঠেছছিল; মা-বাবা ওকে নিয়ে ঈদ করতে রওয়ানা হয়েছিল বরিশাল; বাচ্চা পথে অসুস্হ হয়ে পড়ে, রাতে তাকে বরিশাল হাসপাতালে নেয়া হয়; সকালে বাচ্চার মৃত্যু হয়! মাতাপিতা ইডিয়ট হওয়ার কারণে, শিশুটিকে অকালে প্রাণ হারাতে হলো। ডেংগু থেকে সেরে উঠা বাচ্চার দরকার ছিলো, অবসর, ভালো খাওয়া, ঘুম। বা্চ্চার জ্বর চলে গেলেও বাচ্চাটি আসলে সেরে উঠেনি তখনো। ডেংগুর ফলে রক্তের ঘনত্ব ও উপাধান গুলোর হার কিছুটা বদলে যায়; এই কারণে শরীর বিবিধভাবে দুর্বল থাকে, বাচ্চাটির জন্য ঈদের দরকার ছিলো না; এই ইডিয়ট পরিবারের জন্য কোন ঈদের দরকার ছিলো না।
ঢাকায় সারা দেশের বিলিওনিয়ার, মিলিওনিয়ার, চোর-ডাকাত, আদম বেপারী, ভুমিদস্যু, পিএিচডি, ডাক্তার, জালিয়াত, পতিতালয়ের মালিকেরা একত্রিত হয়েছে; এদের চুরি, ঘুষ, ব্যবসা, জালিয়াতির টাকার অভাব নেই; এদের সর্দি কাশী হলে এরা হাসপাতালে বসবাস করতে পারে। গ্রামের লোক যাবে কোথায়? ওখানে ডাক্তার নেই; যারা আছে, তারা কাজে যায় না, পরিবার থাকে ঢাকায়; কাজের নাম দিয়ে বউকে নিয়ে মলে মলে ঘুরে বেড়ায়। সবচেয়ে বড় কথা, গ্রামের মানুষের হাতে দরকারী পরিমাণ টাকা নেই; যাদের হাতে টাকা আছে, তাদের স্বামী নেই, স্বামী বিদেশে; এসব মানুষের ডেংগু হলে, কে তাদের দেখবে?
শেখ হাসিনার উচিত ছিলো, প্রেসিডেন্টকে অধ্যাদেশ দিতে বলা; প্রেসিডেন্ট নিজেও এই কাজটা করতে পারতেন; তারপর গাড়ীঘোড়া বন্ধ করে দেয়া। মানুষ হয়তো ক্ষুব্ধ হতো; কিন্তু ওরা শেখ হাসিনাকে সমীহ করতো মনের থেকে। এতে উনার জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করারও একটা সুযোগ এসেছিলো, এবং জনপ্রিয়তা বাড়তো; দেখা যেতো কি পরিমাণ মানুষ উনার কথা শোনে, কি পরিমাণ মানুষ উনার কথা না শোনে। উনি দরকারী বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারছেন না, সারাক্ষণ মোহাম্মদ তুগলকের মতো ব্যস্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:০১