মির্জা ফখরুল ও বিএনপির রাখালেরা সব সময় চীৎকার দিয়ে আসছে, "বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে, বাঁচাও, বাঁচাও"; শেখ হাসিনা মনে হয়, এজন্য চুপ করে বসে আছেন।
১৩ নভেম্বর থেকে বেগম জিয়া ( বয়স: ৭৬ বছর) ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আছেন; তাঁর ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না; শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে৷তিনি যখন সরকারী হাসপাতালে ছিলেন, যেই মেডিক্যাল বোর্ড দায়িত্বে ছিলো, তারা উনার স্বাস্হ্যের উপর নজর রাখছে; এ'ছাড়া বিএনপিপন্হী ডাাক্তারদের একটি মেডিক্যাল বোর্ডও উনার চিকিৎসা নিয়ে জড়িত; আরো কিছু দরকার আছে?
৭৬ বছর বয়স্ক রোগীর মুল সমস্যা ডায়বেটিস, বাকীগুলো উহার কারণে ঘটছে; বিদেশে এই ধরণের চিকিৎসা এর থেকে উন্নত মানের আছে? বলা মুশকিল! উনাকে বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দিতে হলে, প্রাইম মিনিষ্টার কিংবা প্রেসিডেন্টের এক্সেকিউটিভ অর্ডারের মাধ্যমে তা করতে হবে; উনারা নিশ্চয় উনার শারীরিক অবস্হা সম্পর্কে ব্রিফিং পাচ্ছেন।
জনতা যা জানছেন, তা মিডিয়া থেকে আসছে; কোন মিডিয়া কোন ভাষ্য বাজারে ছাড়ছে? বাংলাদেশে যার মা করোনার টিকা না'পেয়ে মারা গেছেন, সেও কিন্তু বেগম জিয়া সুচিকিৎসা চাইবে, ইহা বাংগালী জাতির মহত্ব; শেখ হাসিনাও বাংগালী।
আমার ধারণা, শেখ হাসিনা যা জানেন, জনতা সেটা জানেন না; মিডিয়া, মির্জা ফখরুল সাহেব, বিএনপি'র ডাক্তারেরা সঠিক কথা না বলার সম্ভাবনা ১০০ ভাগ; কিন্তু শেখ হাসিনাকে যারা বেগম জিয়ার উপর ব্রিফিং করছে, তারা শেখ হাসিনার সাথে ভুয়াগিরি করবে না ভয়ে।
বেগম জিয়া যে অসুস্হ এতে সন্দেহ নেই; কিন্তু উনার বর্তমান অসুস্হতার জন্য উনাকে বিদেশে পাঠানো কি সঠিক হবে? ৭৬ বছর বয়স্ক মানুষের ডায়বেটিসের জন্য বিদেশে কি আরো উন্নত চিকিৎসা আছে? সর্বোপরি, মিডিয়াতে উনার অবস্হার কথা যা আসছে, উহা কি সঠিক, না শেখ হাসিনা যেই ব্রিফিং পাচ্ছে উহা সঠিক? আসলে, বাংলাদেশের মানুষ ইহাও সঠিকভাবে কখনো জানতে পারবে না কোনদিন; বাংলাদেশের অবস্হা এমন হয়েছে যে, মানুষ নিজের ঘনিষ্ট পরিবারের (স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা ) বাহিরে কাউকে বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৩৬