আজ থেকে আরো ২০/৩০ বছর পর, আমাদের দক্ষিণ অন্চল ও বড় বড় নদীর তীরের গ্রামগুলোতে লবন পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা আছে, বড় বড় সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা আছে, অনেক বন্যা হতে পারে, বৃষ্টি হতে পারে, পাহাড়ে আগুন লাগতে পারে, বন্যার পানি দক্ষিণ দিকে না গড়াতে পারে; এগুলো সম্ভাবনা মাত্র; যদি ইউরোপ ও আমেরিকা মিলে এখন থেকে কয়লা কম ব্যবহার করে, খনিজ তেল কম ব্যবহার করে, ইলেট্রিক গাড়ী ব্যবহার করে, এটোমিক এনার্জি ব্যবহার করে, বাতাস থেকে কার্বন চুষে নেয়, ব্রাজিলের জংগল রক্ষা করে, অবস্হা ভালো দিকে যাবে আগামী ২০ বছরে। আমরা গরীব দেশ, অকারণে টাকা পয়সা খরচ করবো, নাকি আল্লাহের নামে দম ধরে বসে অপেক্ষা করে দেখবো কি হয়?
আগে ব্লগে এসব নিয়ে অনেক আলাপ হতো, এখন আলাপ কম হয়; এখন ইউরোপের ও আমেরিকার মানুষ এগুলো নিয়ে চিন্তিত; ফলে, আমরা চিন্তিত না'হলেও চলবে; বিপদে পড়লে সবাই একই সাথে বিপদের পড়বে; অষ্ট্রেলিয়ায় আগুন লাগলে, কিংবা জার্মানীতে বন্যা হলে তারা বাংলাদেশ ও মালাদ্বীপের খবর নিতে বাধ্য হবে।
এখন থেকে ২০ বছর পর, আমাদের উপকুলীয় এলাকায় মানুষ অনেক বাড়বে, ঐদিকে জন্মের হারও বেশী, সবই ভাগ্যের ব্যাপার! লোক বাড়লে, ফরেন কারেন্সীর রিজার্ভও বাড়বে অবশ্য, খরচ করতে গায়ে লাগবে না।
সরকার অবশ্য টাকা খরচের পক্ষ বলে মনে হয় না; ঢাকা ডুবে গেলেও সরকার কিছু করে না, ভোলার কোন চর ডুবলে সরকার অবধি খবর আসতেও অনেক সময় লাগে; ততদিনে পানি নেমে যাবে। আমাদের একজনই জলবায়ু বিজ্ঞানী আছেন, আমি নামটা ভুলে গেছি, বেশ বয়স্ক; ১৯৮৬ সাল থেকে জলবায়ু সন্মেলনগুলোতে যাচ্ছেন। উনার সাক্ষাৎকার দেখলাম; উনি সরকারকে এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উনার পরামর্শ হলো কি করে জলবায়ু ফান্ডের টাকা পাওয়া যেতে পারে সেটার উপর; টাকাই আমাদের তরফ থেকে মুল সমাধান।
জলবায়ু ফান্ডে টাকা জমা হবে; তবে, কবে থেকে দিবে, বুঝা মুশকিল। ওরা বলছে, কয়লা থেকে যারা সরবে, তাাদের টাকা বেশী দিতে হবে; কারণ, কয়লার সাথে অনেকের জীবিকা জড়িত; তেলের বেলায় উহা আরো বেশী সত্য। জমি ডুবলে কি পরিমাণ টাকা দিবে কে জানে! আফ্রিকার কোন দেশের কি পরিমাণ ক্ষতি হবে কে জানে, ওরা টাকা আনার জন্য প্যারিসে গিয়ে হোটেলে বসবাস শুরু করছে ও ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে চটের থলি কেনার জন্য চেষ্টা করছে; আফ্রিকার মরুভুমিতে পানি উঠলে উহা সরানোর জন্য অনেক টাকার দরকার হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯