somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিষ্ময়কর মহাগ্রন্থ আল কুরআন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

’শপথ বিজ্ঞানময় কুরআনের’। আল কুরআনের হৃদপিন্ড হিসেবে বর্ণিত সূরা ইয়াসীনের দ্বিতীয় আয়াত। মহাগ্রন্ধ আল-কুরআনের বিজ্ঞানময়তার উপলব্ধি করতে মানবজাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে সুদীর্ঘ চৌদ্দশ’ বছর। বিজ্ঞানের বিপুল অগ্রগতির ধারাবাহিক পরিক্রমায় কেবলমাত্র বিংশ শতাব্দীতে এসেই মহাগ্রন্থ কুরআনে বিধৃত বিষ্ময়কর বৈশিষ্ট্যের দলিল উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। অজ্ঞতার চরম ঘোর অমানিশায় পরিব্যাপ্ত কুসংস্কার, অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর কুপমন্ডুকতার আবর্তে আরব জাতি যখন নিমজ্জিত ছিল তখন একজন আরবী নিরব নবী বললেন’ (হে মুহাম্মদ) বল কুরআনের মত করে অনুরুপ গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্যে মানব মন্ডলী এবং জ্বীন জাতি সম্মিলিতভাবে পরস্পর সহযোগিতা করেও যদি চেষ্টা চালায়, তবুও তারা তা করতে সক্ষম হবে না।’ (১৭.১৮)। ’বল আমার প্রভুর বাণীসমূহ লিপিবদ্ধ করার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়, তবুও আমার প্রভুর বাণীসমূহ শেষ হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র শেষ হয়ে যাবে, যদিও অনুরপ সমুদ্রকে সাহায্যর জন্য আবারো আনা হয় (তাও শেষ হবে না) (সুরা আল কাহাফ, আয়াত-১০৯)। অথবা ’যদি তাদের (মানুষ ও জ্বীন জাতি) এ বিষয় সন্দেহ থাকে তাহলে গোটা কুরআন তো দূরের কথা কুরআনের অনুরুপ দশটি আয়াতও যদি পারে তা হলে যেন তা রচনা করে দেখায়। চৌদ্দশ বছর পূর্ব হতে অদ্যবধি পৃথিবীতে আগত শত শত কোটি মানুষের নিকট মহান রাব্বুল আলামিনের এই উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ অবারিত রয়েছে। কত অনারব-আরবী, ভাষা জ্ঞানী-গুনী, গুণী, বিজ্ঞানী, বিদুষী-কবি-সাহিত্যিক অতিক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু অব্যহত ব্যর্থতায় তারা সকলেই নিঃক্রান্ত হয়েছেন। কারণ এ যে ২০,০০০ (বিশ হাজার) বিলিয়ন আলোকবর্ষে বিস্তৃত মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, লালন কর্তা মহার আল্লাহর বাণী (প্রতি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশী হাজার মাইল বেগে ধাবিত আলোক রশ্নি এক বছর মেয়াদ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে এবং এক বিলিয়ন হচ্ছে একশত কোটি) এর কোন ব্যত্যয় নেই এর কোন পরিবর্তন নেই। আর এর হেফাজতকারীও তিনিই। আল্লাহ বলেন নিশ্চয়ই এ কুরআন আমি অবর্তীর্ণ করেছি আমিই এর হেফাজত করব’ (সূরা হিজব, আয়াত ৯)।

আল কুরআনের অভ্যন্তরীন বির্নিমাণও অত্যন্ত বিষ্ময়কর। রাসুলে আকরাম (সঃ) এর উপর সুদীর্ঘ তেইশ বছরে বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে, বিভিন্ন ঘটনা ও অবস্থার টুকরো টুকরো তাৎপর্য প্রতিফলিত যে আয়াত, আয়াতগুচ্ছ কিংবা সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, যে আয়াতগুলো নাজিলের জন্য আল্লাহর মহান ফেরেশতা হযরত জিব্রাইল (আঃ) চব্বিশ হাজারবার পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন, বর্ণনাতীত অবিন্যস্ত সেই কুরআন এর শাব্দিক ও সংখ্যার বুনন আপনাকে বিমোহিত না করে পারিবে না। সম্প্রতি সুপারকম্পিউটার লব্ধ গবেষণা থেকে দেখা গেছে বর্তমান বিশ্বের প্রায় পাঁচশ কোটি মানুষ যদি হুবুহু পবিত্র কুরআনের মত করে সমশব্দে সমবাক্যে ও সংখ্যায় সমান সংখ্যক অক্ষরে অনুরুপ তাৎপর্য ও বৈশিষ্ট্যর একখানা কুরআন রচনায় প্রয়াসী হয় তা হলে ৬২৬ x ১০২৪ অর্থাৎ ৬২৬ এরপরে ২৪টি শুন্য বসিয়ে যে অচিন্তনীয় বিরাট সংখ্যা পাওয়া যাবে এই ৫০০ কোটি মানুষের সম্মিলিতভাবে তত বছরের প্রয়োজন হবে। এই অকল্পনীয় বিরাট সময়ের মধ্যে হয়ত একটি বারের মত এ কুরআনের মত একটি গ্রন্থ রচনা হতে পারে যা নিতান্তই অতীব অসম্ভব। এ তথ্যগত আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই মহান রাব্বুল আলামীনের উল্লেখিত চ্যালেঞ্জের সততা প্রতিভাত হচ্ছে। কুরআনের বর্ণিত কয়েকটি ভবিষ্যতবাণী কি ভাবে পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয় এর নিরঙ্কুশ সত্যতাকে প্রতিপন্ন করেছে সেদিকে দিকপাত করা যাক। রসুলে আকরাম (সঃ) এর ইসলাম প্রচারের সময় পৃথিবীতে দু’টি পরাশক্তি বিদ্যামান ছিল। একটি রোমান অপরটি পারসিক। রোমানরা প্রধানতঃ খ্রিষ্টান তথা আহলে কিতাবধারী (যাদের উপর ঐশী কিতাব নাজিল হয়েছে তাদেরকে তাহলে কিতাব বলো, কিন্তু পারসিকরা ছিল পৌত্তলিক তথা অগ্নিপূজক। ৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে এই দুই সপার পাওয়ারের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে রোমান বাহিনী ব্যাপক পরাজয়বরণ করে এবং অগ্নিপূজক পারসিকরা জয়লাভ করে। আহলে কিতাবধারীদের এই পরাজয়ে যেহেতু মুসলমানরাও কিতাবধারী) নবদীক্ষিত মৃসলমানগন দারুণভাবে ভেঙ্গে পড়েন। ননমুসলিমদের মনে সাহস সঞ্চারের উদ্যেশ্যে মহান আল্লাহতায়ালা ভবিষ্যতবাণী সংবলিত ওহী নাজিল করেন ’রোমান বাহিনী নিকটবর্তী ভুমিতে (ইরানে) পরাজয় বরণ করেছে, এবং তাদের এই পরাজয়বরণের পর শ্রীঘ্রই বিজয়ী হবে কয়েক বছরের মধ্যে। পূর্বের ও পরের সিদ্ধান্ত আল্লাহরই আর সেইদিন মুমিনগণ হয়োৎফুল্ল হবে (সুরা আর-রুম আয়াত ২,৩,৪)। History of the Byzantine state- এ উল্লেখিত হয়েছে, যে রোমান বাহিনী ৬১৩ খৃষ্টাব্দে পারসিকদের নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল এবং যুদ্ধের সকল ফ্রন্টে পারসিকদের প্রচন্ড দাপট পরিলক্ষিত হয়েছিল এবং সমসাময়িক মানুষের মধ্যে এই বোধের জাগৃতি ঘটেচিল যে পারসিকরা অপরাজেয়। মাত্র নয় বছরের ব্যবধানে ৬২২ খৃষ্টাব্দে সেই পারসিকরা রোমান বাহিনীর নিকট শোচনীয়ভাবে আরমেনিয়ার যুদ্ধে পরাজয়বরণ করে এবং পারসিকদের সমগ্র বাইজাইনটাইন সা¤্রাজ্যকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় এবং এভাবেই পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ভবিষ্যতবাণী সত্যে পরিণত হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে সুরা মুদ্দাছির-এর ৩০নং আয়াতে বলেন, ইহার উপরে আছে উনিশ। ইসলামের প্রথম যুগে এই উনিশকে উনিশজন বিশেষ ফেরেশতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। কিন্তু সম্প্রতি লেবাননের অধিবাসী ডঃ রশিদ খালিয়া মিশরী সমগ্র কুরআনকে কম্পিউটার এ সেট করে এই উনিশ সংখ্যার বিষ্ময়কর তত্ত্ব উদঘাটন করেছেন। কুরআনের বিন্যাসে, বিভাগে ও কাঠামোয় উনিশ এক অবোধগস্য শৃংখলায় শৃংখলিত। হেরা গুহায় রমজান মাসে ধ্যানমগ্নতায় রাসুলে আকরাম (সঃ)-এর উপর প্রথম যে ওহী নাজিল হয়েছিল তা ছিল সূরা আলাক-এর পথম পাঁচটি আয়াত যা পরবর্তীতে উনিশটি আয়াতে সমাপ্ত হয়। কুরআনের শেষের দিকের অবস্থান থেকে এর অবস্থিতি ১৯-এ। এই সূরার পরে নাজিলকৃত পরিপূর্ণ দ্বিতীয় সূরা ফাতিহা। এর প্রথম আয়াত ’বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’। এই বিখ্যাত আয়াতটির অক্ষর সংখ্যা উনিশ। আবার এই আয়াতের মূল চারটি শব্দ যথা ইসম, আল্লাহ, রাহমান ও রাহীম। এই শব্দগুলি সমগ্র কুরআনে তগবার ব্যবহৃত হয়েছে তা প্রত্যেকেই পৃথকভাবে উনিশ দ্বারা বিভাজ্য। যেমন ইসম শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে উনিশবার যা উনিশ দ্বারা বিভাজ্য। ’আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ২৬৯৮ বার যা উনিশ দ্বারা বিভাজ্য ৯২৬৯৮-১৯= ১৪২) আর রাহমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ৫৭ বার যা উনিশ দ্বারা বিভাজ্য। কুরআনের মোট সুরার সংখ্যা ১১৪টি যা উনিশ দ্বারা বিভাজ্য। ১১৩টি সুরার প্রথমে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বাক্যটি ব্যবহৃদ হয়ে ১৯ দ্বারা অবিভাজ্য হলেও অন্য একটি সুরাতে দুইবার দউক্ত বাক্যটি ব্যবহৃত হয়ে উনিশ দ্বারা বিভাজ্যতাকে প্রতিপন্ন করেছে।
পবিত্র কুরআনে কিছু সুরার শুরুতে কিছু হরফ আছে। যার পৃথক কোন অর্থ নেই। এই অক্ষরগুলোকে হরফে ’মুয়াত্তালাত’ বলে। যেমন আলিফ, হা বা সিন, সোয়াদ, তোয়া. আইন. কাফ,ক্কাফ, লাম, মীম, নুন, হা, ইয়া। এই চৌদ্দটি বর্ণের সাহায্যে আলিফ লা,, মীম, আলিম লাম রা, হা মীম তোয়া সীন, ইয়া সীন, তোয়া হা, সোয়াদ, নূন, ক্কাফ, আলিফ লাম মীম সোয়াদ, আইন সীন ক্কাফ, তোয়া সীন মীম, ক্কাফ হা ইয়া আইন সোয়াদ, আলিফ লাম মীম রা- এই চৌদ্দটি হরফ বা হরফগুচ্ছ মোট ২৯টি সূরায় ব্যবহৃত হয়েছে। এখন পৃথকভাবে অক্ষর বা অক্ষরগুচ্ছ এবং ব্যবহৃত সূরার সংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় (১৪+১৪+১৯)=৫৭ যা উনিশ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য। এই কোড অক্ষর কবা হরফে মুয়াত্তালাত এর অনন্য বৈশিষ্ট হচ্ছে এই যে কোন সূরা যখন এই কোডের অক্ষর বা অক্ষরগুচ্ছ দ্বারা শুরু হয় তখন সেই সূরার মধ্যে কোডে ব্যবহৃত অক্ষর বা অক্ষরগুলো যতবার ব্যবহৃত হয় সেই সংখ্যাটি পৃথকভাবে সকল সময়ই উনিশ দ্বারা বিভাজ্য। এবং সমষ্টিগতভাবেও উনিশ দ্বারা বিভাজ্য। একটি সূরার মর্মবাণী ছন্দ বাক্য বিন্যাস ঠিক রেখে শব্দ সমষ্টির মধ্যে ব্যবহৃত উক্ত কোড অক্ষরগুলো সমষ্টিকে বিষ্ময়কর উনিশ এর বাঁধনে শৃংখলিত করা কতই না অকল্পনীয়।
সূরা কাফ-এ ’কাওমে লুত’ সম্পর্কে ১২টি স্থানে উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু সূরাটির ১৩ নং আয়াতে কওমে লূত এর পরিবর্তে ’ইখওয়ানে লূত’ শব্দটি ব্যত্যয়তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। ১১টি স্থানে কওমে লূত উল্লেখ করলেও শুধুমাত্র একটি স্থানে ইখওয়ানে লূত ব্যবহারের কারণ কিছু সাধারণ নয়। বিষয়টি অসাধারণ এবং বিষ্ময়কর। কাওম শব্দের পরিবর্তে ইখওয়ান শব্দ ব্যবহারের মাধ্যেমে সূরার প্রথমে ব্যবহৃত কোড অক্ষর কোড ’ক্কাফ’ এর সঙখ্যা দাঁড়াত ৫৮,যা উনিশ দ্বারা বিভাজ্য নয়। তাহলে ভেঙ্গে পড়ত কোড অক্ষরের অন্তনির্হিত বিশেষত্ব। একটি স্থানে ইখওয়ান শব্দের উল্লেখের মাধ্যমে ক্কাফ-এর সংখ্যা ৫৭তে নির্দিষ্ট করে ১৯ সংখ্যার সঙ্গে কোড সংখ্যার নিঃসীম অবোধ্য শৃংখলা বজায় রেখেছেন। এরকম বিষ্ময়কর শৃংখল কুরআনের অগণিত স্থানে ছড়িয়ে আছে। এ ব্যাপারে আরো একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা সমীচীন হবে। সূরা আরাফ- এর কোড অক্ষর আলিফ লাম মীম সোয়াদ, সুরা মারইয়াম-এর কোড অক্ষর ক্কাফ হা ইয়া আইন সোয়াদ, সুরা সা’দ এর কোড অক্ষর সোয়াদ। এই তিনটি সুরার মধ্যে কমন ক্ডো অক্ষর সোয়াদ। সুরা আরাফ- এর ৬৯ সং আয়াতটিতে ব্যবহৃত ’বাসতাতান’ শব্দটিতে সোয়াদ অক্ষর ব্যবহার আরবী ব্যাকরণের পরিপন্থী। এই শব্দটির মূল বিশুদ্ধ বানালে সীন অক্ষর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু সুরাটি যখন নাজিল হয় ওহী লেখকগণ গতাণুগতিকভাবে বাসতাতান শব্দটি লিখতে সীন অক্ষর ব্যবহার করতে উদ্যত হন। কিন্তু মহানবী (সঃ) নিরক্ষর হয়েও এই শব্দটি সীন এর পরিবর্তে সোয়াদ লিখতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি আরবী ব্যায়াকরণের রীতিবিরুদ্ধে মর্মে রাসুলুল্লাহ (সঃ)কে অবহিত করলে তিনি বলেন এর ব্যাপারে আমার কোন করণীয় নেই কারণ স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হযরত জিব্রাইল ফেরেশতা পাঠিয়ে এভাবে আমাকে নির্দেশ করেছেন। আশ্চর্য্যরে বিষয় হচ্ছে এই যে, যদি উক্ত বাসতাতান শব্দে সীন এর পরিবর্তে সোয়াদ কোড অক্ষর সংবলিত উল্লেখিত তিনটি সুরায় ব্যবহৃত সোয়াদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫২ যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য। মহা বিষ্ময়কর বৈ কি! কুরআনে যদি সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্জন ঘটতো তবে অশুদ্ধ বানান এর বাসতাতান শব্দটির শুদ্ধতা আনায়ন প্রথমেই ঘটতো। কিন্তু তা হয়নি। বিগত ১৪০০ ভচল ধরে ভুল বানানেই শব্দটি মহাবিশ্বয়কর উপলব্ধি নিশ্চিত করার জন্য অদ্যবধি বিদ্যমান রয়েছে এবং ক্বেয়ামত পর্যন Í বিদ্যমান থাকবে। যেহেতু আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন তিনিই এর হেফাজত করবেন। এর থেকে উত্তম হেফাজতের নমুনা আর কোথাও আছে কি?
অতি সম্প্রতি ডঃ তারিখ আল সুওয়াইদন আল কুরআনের সংখ্যাতাত্বিক একটি বিষ্ময়কর গবেষণা উপস্থাপন করেছেন। অনেক সংখ্যাতাত্ত্বিকতার মধ্যে দু’একটি বিষয়ের উল্লেখ প্রাসঙ্গিক হবে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এ আল শাহ্র (অর্থাৎ মাস) শব্দটি সর্বমোট ব্যবহৃত হয়েছে ১২ বার। বার মাসেই যে এক বছর হয় তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনের মাধ্যেমেই নিশ্চিত করেছেন। আল কুরআনে আল ইয়াওম (দিন) শব্দটি সর্বমোট ব্যবহৃত হয়েছে ৩৬৫ বার। কি বিষ্ময়কর! আবার আল বাহার- (সমুদ্র বা জলভাগ) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ৩২ বার এবং আল বার (ভ’মি বা স্থলভাগ) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ১৩ বার। স্থল এবং জলের বিপরীতে মোট ব্যবহৃত শব্দের সংখ্যা ৩২+১৩= ৪৫বার। এই ৪৫ বারের মধ্যে ১৩ বার স্থল এবং ৩২ বার জল বোধক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যার অনুপাত যথাক্রমে ১৩/৪৫x ১০০%=২৮.৮৮% এবং ৩২/৪৫ x ১০০%=৭১.১১% যা পৃথিবীতে বিদ্যমান স্থলভাগ ও জলভাগের পরিমানকে সঠিকভাবে প্রতিপাদিত করে। এই মহাগ্রন্থ আল কুরআনের পরতে পরতে বিষ্ময়কর অলৌকিকত্ব ছড়িয়ে আছে। আল্লাহ স্বয়ং ঘোষণা করেছেন, ’আকাশ মন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রাত্রির পরিবর্তন যা মানুষের হিত সাধন করে তা সহ সমুদ্রে বিচরনশীল নৌযানসমুহে আল্লাহ আকাশ হতে যে বারিবর্ষণ দ্বারা ধরিত্রীকে তার মৃত্যুর পর পূনজীর্বত করেন তাতে এবং তারমধ্যে যাতীয় জীব জন্তুও বিস্তারনে, বায়ুরদিক পরিবর্তনে, আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে রয়েছে জ্ঞানবানদের জন্য নির্দেশন (সুরা বাকারা, আয়াত ১৬৪)।

রচনাকাল ২০০৬
পুরনো লিখা থেকে

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×