সোস্যাল মিডিয়া , গনমাধ্যম এবং পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানানো হচ্ছে। উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেনী ঘরে থাকার সকল প্রস্তুতি নিয়ে ঘরেই থাকছে। কিন্ত ঢাকা শহড়ের গৃহহীনেরা কোথায় যাবে? বস্তিতে বাস করা মানুষগুলো যারা দিন এনে দিনে খায় তাদের মুখে খাদ্য তুলে দেবে কে? পত্রিকায় দেখলাম পার্শ্ববর্তী ভারতে ৮ কোটি মানুষকে ৬ মাস ফ্রি চাল দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এছাড়াও কানাডা, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের সরকারদের নানান জনবান্ধব ঘোষনার ভিডিও এখন ফেসবুকে ভাইরাল। কিন্ত আমাদের দেশের সরকারী তরফ থেকে ছুটির ঘোষনা ছাড়া আর কোন জনবান্ধব পদক্ষেপের কথা এখন পর্যন্ত শুনি নাই। কিছু সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে সাহায্য তুলে নিম্নবিত্ত মানূষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে । কিন্ত সরকারী উদ্যোগ ছাড়া এভাবে কি এই দেশের কয়েক কোটি দরিদ্রের অন্ন সংস্থান সম্ভব ?
ছুটির ঘোষনার পর অনেক মানুষকে তীরবেগে শহড় ছেড়ে গ্রামে ছুটে যেতে দেখা যাচ্ছে। সোস্যালমিডিয়ায় এদের নিয়ে ট্রলও করা হচ্ছে। কিন্ত কেউ কি জানতে চেয়েছে কেন এভাবে গ্রামের দিকে ছুটছে মানুষ? নিজের বাসার ঠিকা বুয়া বা রাস্তায় কোন রিকসাওলাকে জিজ্ঞষা করলে উত্তরটা পেয়ে যাবেন। কাজের বুয়াদের বিদায় করে দিচ্ছে মানুষ, রিক্সাওলা সিএঞ্জিঅলাদের কোন পেসেঞ্জার নাই, শপিংমল কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করা মজুরদের এখন কাজ নাই। এরকম আরো শত শত পেশার মানুষ যারা পুরোপুরি দৈনন্দিন আয়ের উপড় নির্ভরশীল , তাদের হাত এখন পুরোপুরি খালি। ফেসবুকে একটা পোস্টে দেখলাম একজন লিখেছে যে '' আপাতত কাজে আসতে বারন করে কাজের বুয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম এখন বাড়ীর দিকে ছুটছে কেন ? সে উত্তর দিল যে এই শহরে এখন কাজ নাই আমাদের। তাহলে এখানে থেকে খাব কি? তবে কি গ্রামে খাবার আছে? প্রত্তুত্তরে জানালো , গ্রামেও খাবার নাই, কিন্ত করোনায় বা না খেয়ে যদি মরতেই হয় তবে নিজ গ্রামের মাটিতে মরাই ভাল!''
সবাই আজ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের জন্য। তীর্থের কাকের মত আশ্বাসবানী শোনার অপেক্ষায় আছে কোটি কোটি মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২