রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে বুধবার বিকেলে এক ফটো সাংবাদিককে মারধর করেছেন মুস্তাইন নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট। ওই ফটো সাংবাদিকের নাম নাসির উদ্দিন। তিনি মানবজমিন পত্রিকায় কাজ করেন। এ ঘটনায় সার্জেন্ট মুস্তাইনের বিরুদ্ধে ‘অসৌজন্যমূলক আরচণে’র প্রমাণ পাওয়া তাকে ক্লোজ করেছে ট্রাফিক বিভাগ।
ঘটনা সম্পর্কে ফটো সাংবাদিক নাসির জানান, প্রেসক্লাব থেকে অফিসে যাওয়ার পথে মৎস্য ভবনের সামনে তাকে আটক করে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান সার্জেন্ট মুস্তাইন। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও তার সঙ্গে হেলমেট না থাকায় একটি মামলা দিতে চান সার্জেন্ট। মামলা না দেয়ার অনুরোধ করলেও তিনি শোনেননি এবং মামলা দেন।
এ সময় নাসির ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করার সঙ্গে সঙ্গে তার জামার কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মেরে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান ওই সার্জেন্ট।
নাসির সার্জেন্টকে জানান, তিন-চারদিন আগে তার হেলমেট চুরি হয়েছে। বেতন পেলে কিনবেন। কিন্তু তিনি কোনো কথা না শুনে মামলা দেন।
তিনি বলেন, আমি নাকি হলুদ সাংবাদিক। এ সময় আমি ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করতে চাইলে তিনি আমার হাত থেকে ক্যামেরা নিয়ে আরেক পুলিশ কর্মকর্তাকে দেন এবং আমাকে মারধর করেন। পরে সিনিয়র সাংবাদিকরা এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার নির্দেশনায় ট্রাফিক-দক্ষিণের সহকারী কমিশনার (এসি) ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য যান। প্রাথমিক তদন্তে সার্জেন্ট মুস্তাইনের ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ পাওয়া গেছে। এজন্য তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে
কিন্তু পুলিশের 'ক্লোজ' মানে 'আরামে যাও'। তাহলে এমন ইস্যু তৈরি আর আরামে যাওয়ার ঘটনা কতকাল। পেটাতে যদি হয় জামায়াতকে পেটানো হোক।
অনেকেই বলছে, হরতালের আগে সাংবাদিক পিটুনী দিলে ইস্যু বদল হয়। গণমাধ্যমের নজর যায় নিজেদের কর্মীদের পিটুনীর দিকে। হরতালে নয়। এবারও কী তাই হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৬