somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইভটিজিং ; সামহোয়্যারইন...ব্লগ আন্দোলন ; উৎসুক ব্লগার এবং আমার কিছু কথা...

২৪ শে মে, ২০১২ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডিস্ক্লেইমারঃ
ব্লগে নিয়মিত থাকা হয় না। সব ঘটনা জানাও হয় না। যেটুকু চোখের সামনে পড়েছে সেটুকু নিয়েই লিখতে বসলাম, ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

ফ্লাশব্যাকঃ
সম্ভবত ১১ মে ( ১২ মে ও হতে পারে) তারিখে 'সর্বনাশা' নাম্মী এক ব্লগার ঘটনাক্রমে এক ইভটিজিং এর প্রত্যক্ষদর্শী হন এবং সচেতন মনের বিজ্ঞ তাড়নায় ব্লগে বিষয়টি তুলে ধরেন সকলের কাছে। তার একেবারে প্রথম পোস্টটি পড়ে বেশ ভাল লেগেছিল, মনে হয়েছিল সবার বিবেক এখনো পঁচে যায় নি। যাই হোক, ইভটিজিং এর নোংরা ঘটনাটি আর বললাম না, সেই ঘটনা সম্বলিত পোস্ট এবং প্রতিবাদের আহবান সামুর স্টিকি পজিশনে গেল। আজ প্রায় দু সপ্তাহ যাবত সেখানেই পোস্টটি বিদ্যমান। প্রতিবাদের প্রতি 'সহমত' জ্ঞাপনে প্রায় ৫০০০০ বার প্রদর্শিত পোস্টে পরিনতি লাভ এবং 'ফিফা' সহ বেশ নামিদামি ব্লগারদের সম্পৃক্ততা সামহোয়্যারইন...ব্লগ এর এই প্রতিবাদী পোস্টটিকে যথার্থভাবে একটি ব্লগীয় এবং ভার্চুয়াল আন্দোলনের ফ্লেভার দিতে সক্ষম হয়েছে বলে আমার মত। ইতিমধ্যে লেখক আরো একটি মর্মান্তিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছেন এবং সেটিরো বর্ননা পোস্টে উল্লেখ করে এই ভার্চুয়াল আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন কিংবা নিজে বেশ বীতশ্রদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

এটুকু পর্যন্ত সবারই জানা ছিল। এবার আমার নিজের কথাগুলো বলতে চাই।

প্রসঙ্গক্রমে আপাতত দৃষ্টি কিছু অপ্রাসংগিক কথা বলে নেয়া ভাল -
সামহোয়্যারইন...ব্লগ সম্পর্কে আমার মতামতঃ
আর এক মাস পরেই এই ব্লগে আমার নিকের বয়স ২ বছর হবে। ব্লগে পদার্পনের সময় ব্লগের সাথে জড়িত সব মানুষকে সুপিরিয়র লেভেলের ভাবতাম। ধীরে ধীরে সবার চেহারাই উন্মোচন হল। তারপর একটু ভাল করে মডারেশন প্যানেল এর সাথে জড়িত মানুষগুলোকে একটু ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। পর্যবেক্ষণ মানে তাদের এক্টিভিটি, কৌশল ইত্যাদির সাথে তাদের উদ্দেশ্য এবং গোলের যোগসূত্র স্থাপনের চেস্টা। যাইহোক, বেশ কিছুদিন আগেও আমার মতামত ছিল - একটা প্রতিষ্ঠানে থাকতে হলে কিংবা একটা প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করতে গেলে এ ধরনের নানা কিসিমের ট্রিক্স-পলিটিক্স এর আশ্রয় নিতে হয়। প্রতিষ্ঠান, প্লাটফর্ম এর দিকে তাকিয়ে মডারেটরদের বিভিন্ন আচরন স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলাম। দিন যতই গড়াল তাদের আচরন স্বাভাবিকতাকে ছাড়িয়া অস্বাভাবিক এর উচ্চমাত্রা স্পর্শ করল এবং বর্তমানে সামহোয়্যারইন...ব্লগ এর মডারেটর প্যানেলের সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষকে আমার অথর্ব, কূপমণ্ডূক, মোড়লশ্রেনীয় এক প্রকার কলুষিত মানুষ মনে হয়। { একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত, আমার এই মতে কাউকে বিশ্বাসী হতে বলছি না। } যেহেতু এরকম একটি প্রি-কন্সেপ্ট মনের মাঝে কাজ করে তাই তাদের 'আমি ভাত খাই' টাইপ কথা বার্তার মাঝেও আমি এক দুরভিসন্ধির আভাস পাই। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আমার কাছে কলুষিত মনে হয়। এটা আমার মানুষ হিসেবে সীমাবদ্ধতা ধরে নিতে পারেন কিংবা আমি হয়ত অত্যন্ত নিচু মনে মানুষ বলে এভাবে চিন্তা করি।

সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং সামহোয়্যারইন...ব্লগঃ
যতদূর বিশ্বাস করি সর্বনাশা ব্লগার মনের একধরনের তাৎক্ষণিক ক্ষোভ থেকে সেই পোস্টির জন্ম দিয়েছেন। বিষয়টি উপস্থাপনে আমি যতটা না প্রতিবাদের আকাঙ্খা পেয়েছি তার চেয়ে বেশি পেয়েছি ক্ষোভ অথবা অন্তর্দহনের ইঙ্গিত। নিজের সীমাবদ্ধতা ছিল বা কিছু করতে না পারার জন্য অতৃপ্তি ছিল সেটা তিনি ব্লগারদের সাথে শেয়ার করে প্রশমিত করতে চেয়েছেন। আর সেই জায়গা থেকেই আমার মনে ব্লগ কর্তৃপক্ষ পোস্টটিকে লুফে নেয় এবং স্টিকি করে লেখকের উপর অপ্রত্যাশিত বোঝা তুলে দেয়। { উনার পুরো পোস্ট পড়ে এবং ব্লগে উনার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়েছে উনার ব্যক্তিগত এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা এই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য অনুকূলে ছিল না। }

সোশ্যাল মিডিয়া ( ফেসবুক ) এবং সামহোয়্যারইন...ব্লগেও অনেক রিপোস্ট ; আলোচনা পোস্টের কারনে উল্লেখিত ঘটনার ব্যপ্তি স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়ে আর হুজুগে নাচুনে ব্লগারগন 'সহমত' কমেন্টের বন্যায় ভাসিয়ে দেয় সেইসব পোস্ট। সম্ভবত ১৩/১৪ তারিখে একটি ব্লগ মিটিং হবার কথা ছিল রাত ৮ টায় , বিকেলে অনেক ঝক্কি ঝামেলা শেষে বাসায় এসে পোস্ট দেখে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি, একে ওকে ফোন করি। কারো আগ্রহ উল্লেখ করার মত ছিল না বরং উল্লেখ করা যায় প্রত্যেকেই বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বের মাঝে ছিলেন। বেশ কিছু কারনো ছিল এইরকম দ্বিধান্বিত পরিবেশের জন্য।

তারপর থেকে ঘটনার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আর জানা নিকের 'সর্বাধিক প্রচার করুন' সম্বলিত কমেন্ট এবং ইউল্যাবের সাথে চলমান কোল্ড ওয়ার দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে একটা সম্ভাবনাময় আন্দোলন ব্লগ কর্তৃপক্ষের সূক্ষ্ম কর্পোরেট বানিজ্যের হাতে পড়ে তদন্ত কমিটি এবং নানান ধরনের শাখা প্রশাখা এই ঘটনাকে কোন দুর্ঘটনা বা ক্রাইমের পর বাংলাদেশে সাধারনত যে ধরনের গতানুগতিক কার্যক্রম আমাদের চোখে পড়ে তারই রেপ্লিকা উপহার দিল সামহোয়্যারইন...ব্লগ।

পরিবেশ কি এমনই ছিল?ঃ
এর আগেও এই একই ব্লগে ইভটিজিং নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। অনেক পোস্ট এসেছিল। কি একটা পোস্টকে কেন জানি আম-ব্লগারদের জোরালো দাবিতে স্টিকি করা হয় নাই এবং এ কারনে পরে এক ব্লগ আড্ডায় ( সম্ভবত ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১০ ) জানা নিকধারী বলছিলেন টেকনিক্যাল কারনে পোস্ট স্টিকি করা যাচ্ছে না এবং আন্দোলনে ব্লগের সমর্থন রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি { ঘটনার সম্পূর্নটুকু মনে নাই, ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী } । সেইসময় কিন্তু ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর জন্য অনেক ব্লগার জায়গায় জায়গায় পোস্টারিং করেছে এবং এই ইভটিজিং বিরোধী আন্দোলনে প্রচুর সাধারন মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিল যদিও সেই সময়কার ঘটনার এইরকম ভার্চুয়াল ব্যপ্তির সিকিভাগও হয়নি। প্রশ্ন আপনা থেকেই আসে এবার কেন হল না? আমার নিজের মনকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য উত্তরটা আমি এভাবে বানিয়েছি - "অথর্ব এবং কলুষিত একটা ব্লগ কর্তৃপক্ষ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা ঠিক না"। বাংলা ব্লগ প্লাটফর্মে এ ধরনের সামাজিক আন্দোলনের একটা দারুন প্লাটফর্ম তৈরি হচ্ছিল যার এই ক্ষতবিক্ষত অবস্থার জন্য আমি একমাত্র এই ব্লগটিকেই দায়ী করব, উচ্চাভিলাসী আর জটিলতা-কুটিলতাপূর্ন দূরদর্শিতা এই ব্লগকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।

আমার নিজস্ব এক পরিসংখ্যান এ আমি দেখেছি এক্টিভ ব্লগারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছাত্র কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানে বাঁধা নয়। এই বিশাল ( পরিসংখ্যানটি উল্লেখ করলাম না ) অংশ এর মাঝে একটা নৈতিকতা বোধ জাগ্রত করে এই ধরনের সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার একটা দারুন সুযোগ হাতছাড়া হল অবশ্য এও ঠিক এইরকম প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন আন্দোলন সম্ভব কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।

আমার কিছু প্রস্তাবনা ছিল, ঘটনার ক্রম টা হয়ত এরকম হলে কিছু সুফল আসত বলে আমার ধারনা -

ক - ইউল্যাবের সাথে এরকম ঠান্ডা সম্পর্ক তৈরি না করে প্রথমে উচিত ছিল ঘটনাটির একটা নিরপেক্ষ উপস্থাপন। মানে যেখানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এই পরিচয়ের চেয়ে একটি ইভটিজার এই পরিচয় মূখ্য হয়ে থাকবে।

--কারন 'ইভটিজার' একটি অত্যন্ত এবং নিকৃষ্ট পরিচয় এইভাবে বিষয়টির উপস্থাপন এবং প্রচার হলে আন্দোলন সফল হোক না হোক একটি আউটকাম হত যে ইভটিজার একজন ঘৃন্য ব্যক্তি এই মেসেজটি প্রচুর মানুষের কাছে যেত। { আর আমার মনে হয়, এইরকম সুযোগটিই নিয়েছে সামহোয়্যারইন...ব্লগ, কারন এখন সামহোয়্যারইন...ব্লগ অনেকের কাছে পৌঁছুছে। }

খ- এইভাবে গতানুগতিকভাবে আন্দোলন না চালিয়ে প্রথমে একটা ভাল পরিকল্পনা দরকার ছিল । আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিবেন, আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি কেমন হবে, আন্দোলনের কিংবা প্রতিবাদের উদ্দেশ্য কি হবে এইগুলা খুব ভালভাবে ডিফাইন করে নেয়া উচিত ছিল।

-- কারন খাপছাড়া আন্দোলন বেশিদূর যেতে পারে না, সাময়িক সাফল্য এলেও সুদূরপ্রসারী কোন ফল বয়ে আনতে পারে না। আর মনে হয় , আল্টিমেটলি আন্দোলনটা খাপছাড়াভাবেই স্তিমিত হবার পথে।

গ- ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধী এবং ভয়ংকর ব্যাধি। এইটার মূলোতপাটন দরকার এবং দেশে একটা সিস্টেম আছে ( যেটার প্রয়োগ নাই ) একে প্রতিহত করার জন্য। এই ঘটনা দেশব্যাপী ঘটছে। তাই এই একটি ঘটনা কে কেন্দ্র করে গোটা দেশকে জানান দেয়ার একটা সুযোগ ছিল, ব্লগারদের চিন্তা বোধরেও জয় হত।

সেজন্য প্রথমে একটা মামলা দায়ের করা উচিত ছিল। তারপর এইসব তদন্ত কমিটি এবং কর্পোরেট চিন্তাভাবনার বলি না হয়ে সবাই মিলে ঐ মামলার দ্রুত অগ্রগতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিরতিহীনভাবে চাপ দেয়া উচিত ছিল। এর জন্যেই তাদের বেতন দেয়া হয়, তাই আমরা তাদেরকে বিরতিহীনভাবে চাপ দেয়ার অধিকার রাখি। আর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একসময় বাধ্য হলে এই ইভটিজারদের কব্জা করাটা তাদের জন্য যেরকম সহজ হত সেটা সম্মিলিত ব্লগারদের ( সম্মিলিত ব্লগার বলতে আসলে ১২-১৩ জনকেই বোঝায় যদিও নিক আছে লক্ষাধিক ) জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হবে এবং স্তিমিত হয়ে একটা অত্যন্ত বাজে উদাহরন রেখে যাবার ভয় তো থাকছেই যেখানে ইভটিজাররা উলটো আরো সাহস পেয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকছে। এইভাবে যদি ঘটনাটা প্রবাহ করা যেত তাহলে বেশ কয়েকটু আউটকাম থাকত। প্রথমত, অপরাধীরা ভয় পেত যে মানুষের বিবেক মরে যায় নি এবং তারা প্রয়োজনে আইনশৃংখলাবাহিনীকে বাধ্য করাতে পারে তাদেরকে পাকড়াও করার জন্য। দ্বিতীয়ত, আন্দোলন স্তিমিত হবার সুযোগ কম থাকত ( কারন আপনি ব্লগ, পত্রিকা সোস্যাল মিডিয়া দিয়ে অব্যাহত চাপ দেয়ার সুযোগ রাখছেন, এর ব্যররথতার জন্য কাউকে দায়ী করে নতুন করে শুরু করার সুযোগ থাকছে, অপরপক্ষে ব্লগাররা খুব বেশিদিন ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবে না এই ধ্রুব সত্যটাই বের হয়ে আসবে) । তৃতীয়ত ব্লগারদের যথার্থ স্থান এবং তাদের লেখনীর শক্তি ও মানবিক বিচক্ষনতা দেশবাসীকে জানানো যেত যেটা ভবিষ্যতে এইরকম আরো সামাজিক আন্দোলনের জন্য শক্তি যোগাত।

আমি মনে করি, লেখকদের তথা ব্লগারদের কথায় কথায় মানব বন্ধন, রাস্তায় নেমে রঙ ঢং করে প্রতিকী নাটক ইত্যাদি একটা বালখিল্যতা। ব্লগারদের একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত। তাদের লেখনীর মূল্য থাকা উচিত। তাদের প্রতিবাদ বা কোন দুর্ঘটনার উল্লেখ সাধারন মানুষকে সম্পৃক্ত করার শক্তি থাকা উচিত। লেখা যেন মানুষকে বাধ্য করে যেকোন প্রতিবাদে সোচ্চার হবার জন্য , চিন্তা চেতনায় এইরকম স্ফূরন থাকা উচিত ব্লগারদের। তারা কথায় কথায় এইরকম আচরন করলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কিংবা কর্পোরেট শক্তিগুলো লেখকদের তথা ব্লগারদের ব্যবহার করবে এবং আমি মনে করি ইতিমধ্যে সামহোয়্যারইন...ব্লগ কর্তৃপক্ষ সেরকম কিছু করারই চেস্টা করছে। ব্লগাররা যে ব্যবহৃত হয় বা হবে সেটা ব্লগাররা হয়ত বুঝবেও না এবং এইখানেই ব্লগ কর্তৃপক্ষগুলো সুযোগটা নিবে বা নিচ্ছে।

সবশেষে, ইভটিজিং নিয়ে এত আন্দোলন এত কিছু অথচ যে দুটি কথার সর্বোচ্চ ব্যবহার আশা করেছিলাম সেটার সিকিভাগও হয়নি। ইভটিজিং নির্মূল করতে হলে সামাজিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রস্ফূটন অত্যাবশ্যক ( অবশ্য এই ব্লগে এইটা আশা করা বোকামি কারন এইখানে সেইসকল ব্যক্তিকে কোলে এবং মাথায় তুলে নাচা হয় যারা বহু আগেই মা বোনদের ধর্ষন করে এসেছে। মা এবং স্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য নাই এরা এসবই প্রমোট করে। একজন নারীকে যারা সোস্যাল মিডিয়াতে লাখ লাখ লোকের সামনে জঘন্য উপায়ে ইভটিজ করে তাদের বিচার হয় না। তাদের নিকগুলো এখনো বহার তবিয়াতেই আছে কে কিভাবে নিজের প্রোটিন লস করল এবং তারপর এসে মুসলমানদের প্রানপ্রিয় নবীকে কিভাবে অপমান করেছে সেটাই এখানে লিখার অধিকার থাকে। তাদেরকেই প্রমোট করে। এর থেকেই বুঝা যায় কর্তৃপক্ষ ইভটিজিং এর নির্মূল নিয়ে কতটা চিন্তিত। )
শিক্ষা, বিবেক, সমালোচনা এবং সর্বোপরি একটি বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কনসেপ্ট এর এইখানে কোন মূল্য নাই। অশিক্ষিত এবং কূপমুন্ডকদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করাই যেন এই ব্লগের কর্তৃপক্ষের প্রধান লক্ষ।


এই লেখাটাও হয়ত মুছে দেয়া হবে। তাতে কিছু যায় আসে না।

ইভটিজিং কে মুছে দেয়ার জন্য কেউ যদি সত্যিকার অর্থেই চিন্তা করে কিংবা হয়ত আমার কথা মর্মার্থ বুঝতে পারে তাহলে হয়ত সার্থক হবে এ লেখা।

আসুন সবাই মিলে ইভটিজিং রুখে দিই।

সবার জন্য শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৪৯
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×