somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জামাত-শিবির- রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়। বাংলার মাটিতে জারজদের স্থান নেই ...

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে 'জারজ' শব্দটা খুব খারাপ একটা গালি। শাব্দিক অর্থে হয়ত 'অবৈধ সন্তান' কিন্তু ব্যবহারিক অর্থটা হয়ত অস্পৃশ্যতার বলয় তৈরি করে দেয় যাকে গালি দেয়া হয় বা তৈরি করার চেস্টা করা হয়। অথচ প্রত্যেকটি মানুষই জন্ম নেয় পবিত্রতা নিয়েই, একটা নিষ্পাপ মানুষ যে হয়ত তার জন্মদাতা আর জন্মদাত্রীর অবৈধ ফসল তাকে কেন এ ধরনের শ্লেষ বয়ে বেড়াতে হবে বা এরকম একটা অযৌক্তিক ধারনার উপর ভিত্তি করে কেন এ ধরনের একটা গালির প্রচলন হবে - এই ব্যাপারটা অনেকদিন যাবত বুঝতাম না।

তবে জামাত-শিবির নামক কুলাঙ্গারগুলো এই 'জারজ' শব্দের তাতপর্য একেবারে যথার্থ উপায়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। এদেশে যদি কাউকে 'জারজ' বলে গালিই দিতে হয় বা কাউকে সম্বোধন করার জন্য কিনবা কাউকে চিহ্নিত করার জন্য কোন উপযুক্ত শব্দ পাওয়া না গেলে এই 'জারজ' শব্দটা একেবারে যথোপযুক্ত হবে।

যে জানোয়ারগুলো আমাদের দেশের জন্মকেই বাধাগ্রস্থ করেছিল, যারা কোনদিন দৃপ্ত কন্ঠে এ দেশের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয় নি, যারা এই দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়ে এই দেশকে নিজের দেশ হিসেবে মানতে পারে না, যারা এখনো এই দেশের মানুষকে এখনো শ্রদ্ধা করতে শিখেনি বরং চাপাতি দিয়ে বলিখেলায় মত্ত থাকে, যারা স্বাধীনতার চার দশক পরেও নিজেদের পরিচয় ঠিক করে বলতে পারে না শুধুমাত্র সেইসব কুলাঙ্গারদের জন্যেই কি এই শব্দটা যথাযথ নয়?

'৭১ এ নিজের ভাইয়ের বুকে বেয়নেট চার্জ করতে যারা দ্বিধা করে নি তারা ২০১৩ সালে এসেও নিজেদের সংশোধন করতে পারেনি , পারবেই বা কিভাবে কুকুরের লেজ তো কোনদিন সোজা হবার নয়। বাংলাদেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করাটাই এই মুহুর্তের এজেন্ডা, ঠিক ১৪ ডিসেম্বরের মত করে, একই ঘটনা পুনারাবৃত্তির অপেক্ষায় আছে। কারন সেই ৭১ এর জামাত এর জানোয়ারগুলোর চেহারা একটুও বদলে যায় নি বরং নৃশংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে শতগুনে।

জামাত-শিবির-রাজাকার আমার দেশের ধর্মকে কলুষিত করেছে, আমার দেশের স্বাধীনতাকে প্রতিনিয়ত অপবিত্র করে গেছে, আমার দেশের সংস্কৃতিকে গলা টিপে হত্যা করে গেছে। পায়জামা পাঞ্জাবী পরে দাড়ি আর টুপির নিচে লালন করে ভয়ংকর সত্ত্বাগুলোকে। এই দেশকে এখনো তারা স্বীকৃতি দিতে পারে নি। তারা জারজ হবে না তো কারা?

একটার পর একটা হত্যাকান্ড হচ্ছে আর আমরা বসে বসে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করতেছি। বিরোধী দল - সরকার পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘটন করার কথা বলে আর আল-বাল কাজ করে জনগনকে বোকা বানাচ্ছে। আমরা সবাই যেন চোখ বন্ধ করে বসে আছি। এভাবে তো চলতে পারে না।

আমার স্বাধীন দেশে এইসব জারজদের এখনই অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন, নিজ নিজ এলাকায় এদেরকে চিহ্নিত করুন এবং এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। বড় কোন সর্বনাশ হয়ে যাবার আগেই এদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের দেশ-ধর্ম-সংস্কৃতি তথা আমাদের সত্ত্বার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে এদেরকে এখনই পায়ের নিচে পিষে ফেলতে হবে।

তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে হামলা করার আর আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি শোক-বার্তা লেখার। এভাবে আমরা শুধু হারিয়েই যাব, প্রাপ্তির খাতাটা শূন্যই থেকে যাবে। জামাত-শিবির-রাজাকার তথা এই জারজগুলোর বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হন, এখনই। এই দেশের পবিত্র মাটি এই অপবিত্র জারজদের চারনভূমি হতে দেয়া যাবে না।



যারা যেই অবস্থান থেকেই যুদ্ধে নেমেছেন তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখুন নিজের প্রতি এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি। আর যারা বসে বসে থ্রিল অনুভব করতে চাচ্ছেন তারাও সতর্ক হয়ে যান - জানোয়ারদের থাবা থেকে আপনারাও রেহাই পাবেন না। সবাই মিলে মাঠে নামলে এইসব জারজ সন্তানদের বিলুপ্ত করতে এক সপ্তাহও লাগবে না।

জামাত-শিবির-রাজাকারকে পথে-ঘাটে সবখানে অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন। ভয় পেয়ে বা নিজেকে সেফ রাখতে যেয়ে নিজের অস্তিত্ত্বকেই বিলুপ্ত করতে না চাইলে যোগ দিন সংগ্রামী জনস্রোতে।

[ যতদূর জানি, আশে পাশের বেশ কয়েকজন মানুষ বেশ কয়েকটি ভাল উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। তাদের প্রতি শুভকামনা। ]


জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×