তবে জামাত-শিবির নামক কুলাঙ্গারগুলো এই 'জারজ' শব্দের তাতপর্য একেবারে যথার্থ উপায়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। এদেশে যদি কাউকে 'জারজ' বলে গালিই দিতে হয় বা কাউকে সম্বোধন করার জন্য কিনবা কাউকে চিহ্নিত করার জন্য কোন উপযুক্ত শব্দ পাওয়া না গেলে এই 'জারজ' শব্দটা একেবারে যথোপযুক্ত হবে।
যে জানোয়ারগুলো আমাদের দেশের জন্মকেই বাধাগ্রস্থ করেছিল, যারা কোনদিন দৃপ্ত কন্ঠে এ দেশের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয় নি, যারা এই দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়ে এই দেশকে নিজের দেশ হিসেবে মানতে পারে না, যারা এখনো এই দেশের মানুষকে এখনো শ্রদ্ধা করতে শিখেনি বরং চাপাতি দিয়ে বলিখেলায় মত্ত থাকে, যারা স্বাধীনতার চার দশক পরেও নিজেদের পরিচয় ঠিক করে বলতে পারে না শুধুমাত্র সেইসব কুলাঙ্গারদের জন্যেই কি এই শব্দটা যথাযথ নয়?
'৭১ এ নিজের ভাইয়ের বুকে বেয়নেট চার্জ করতে যারা দ্বিধা করে নি তারা ২০১৩ সালে এসেও নিজেদের সংশোধন করতে পারেনি , পারবেই বা কিভাবে কুকুরের লেজ তো কোনদিন সোজা হবার নয়। বাংলাদেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করাটাই এই মুহুর্তের এজেন্ডা, ঠিক ১৪ ডিসেম্বরের মত করে, একই ঘটনা পুনারাবৃত্তির অপেক্ষায় আছে। কারন সেই ৭১ এর জামাত এর জানোয়ারগুলোর চেহারা একটুও বদলে যায় নি বরং নৃশংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে শতগুনে।
জামাত-শিবির-রাজাকার আমার দেশের ধর্মকে কলুষিত করেছে, আমার দেশের স্বাধীনতাকে প্রতিনিয়ত অপবিত্র করে গেছে, আমার দেশের সংস্কৃতিকে গলা টিপে হত্যা করে গেছে। পায়জামা পাঞ্জাবী পরে দাড়ি আর টুপির নিচে লালন করে ভয়ংকর সত্ত্বাগুলোকে। এই দেশকে এখনো তারা স্বীকৃতি দিতে পারে নি। তারা জারজ হবে না তো কারা?
একটার পর একটা হত্যাকান্ড হচ্ছে আর আমরা বসে বসে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করতেছি। বিরোধী দল - সরকার পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘটন করার কথা বলে আর আল-বাল কাজ করে জনগনকে বোকা বানাচ্ছে। আমরা সবাই যেন চোখ বন্ধ করে বসে আছি। এভাবে তো চলতে পারে না।
আমার স্বাধীন দেশে এইসব জারজদের এখনই অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন, নিজ নিজ এলাকায় এদেরকে চিহ্নিত করুন এবং এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। বড় কোন সর্বনাশ হয়ে যাবার আগেই এদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের দেশ-ধর্ম-সংস্কৃতি তথা আমাদের সত্ত্বার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে এদেরকে এখনই পায়ের নিচে পিষে ফেলতে হবে।
তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে হামলা করার আর আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি শোক-বার্তা লেখার। এভাবে আমরা শুধু হারিয়েই যাব, প্রাপ্তির খাতাটা শূন্যই থেকে যাবে। জামাত-শিবির-রাজাকার তথা এই জারজগুলোর বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হন, এখনই। এই দেশের পবিত্র মাটি এই অপবিত্র জারজদের চারনভূমি হতে দেয়া যাবে না।
যারা যেই অবস্থান থেকেই যুদ্ধে নেমেছেন তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখুন নিজের প্রতি এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি। আর যারা বসে বসে থ্রিল অনুভব করতে চাচ্ছেন তারাও সতর্ক হয়ে যান - জানোয়ারদের থাবা থেকে আপনারাও রেহাই পাবেন না। সবাই মিলে মাঠে নামলে এইসব জারজ সন্তানদের বিলুপ্ত করতে এক সপ্তাহও লাগবে না।
জামাত-শিবির-রাজাকারকে পথে-ঘাটে সবখানে অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন। ভয় পেয়ে বা নিজেকে সেফ রাখতে যেয়ে নিজের অস্তিত্ত্বকেই বিলুপ্ত করতে না চাইলে যোগ দিন সংগ্রামী জনস্রোতে।
[ যতদূর জানি, আশে পাশের বেশ কয়েকজন মানুষ বেশ কয়েকটি ভাল উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। তাদের প্রতি শুভকামনা। ]
জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৯