somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোবোট নিয়ে তরুণ প্রকৌশলীদের যত চেস্টা ...

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রোবোট – শব্দটা শুনলেই অনেক আগে বিটিভিতে প্রচার হওয়া রোবোকোপ এর কথা মনে হয় অনেকের। মানবাকৃতির স্টিলের তৈরি কাঠামো বিচিত্র ভঙ্গিতে হাঁটা-চলা করছে; সেই রোবোকোপ প্রচার বন্ধ হয়েছে অনেক দিন আগে, কিন্তু নতুন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন যেন বাস্তবেই চোখে পড়ে ছোট-বড় নানা আকারের রোবোট। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে হঠাৎ করে যেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবোট নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে শিক্ষার্থীরা, কিন্তু ব্যাপারটি মোটেও সেরকম নয়। বেশ অনেক বছর আগ থেকেই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদে রোবোটিক্স নিয়ে টুক-টাক কাজ হয়ে আসছে। খুব সম্প্রতি নাসার বার্ষিক রোবোটিক্স কম্পিশনে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিক অংশগ্রহন এবং উত্তোরোত্তর সাফল্যের কারনে প্রকৌশল বিদ্যার এই জটিল ব্যবহারিক দিকটি নতুন করে আগ্রহী করে তুলছে বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের এবং একই সাথে দেশে রোবোটিক্স এর অধ্যায়ের নতুন সূচনা হয়েছে এর মাধ্যমে ।

বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলীদের রোবোটিক্স চর্চার বিভিন্ন দিক নিয়েই আজকের এই লিখাটি ।

নাসার বার্ষিক আয়োজনে বাংলাদেশঃ
২০১০ সাল থেকে নাসার এক্সপ্লোরেশন সিস্টেম এর উদ্যোগে লুনার এক্সপ্লোরেশন নামে এক বার্ষিক প্রতিযোগিতা শুরু হয় যার নাম দেয়া হয় ‘লুনাবোটিক্স মাইনিং কম্পিটিশন’। দ্বিতীয় বছরের আয়োজনেই বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয় একটি টিম – ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চন্দ্রবোট’ । বাংলাদেশেই যে নাসার নির্নায়ক অনুযায়ী একটি রোবোট তৈরি করা সম্ভব সেটি আয়োজকদের বুঝিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়াটাই ছিল মূল চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ ভালভাবে উৎরে যাবার পর ‘চন্দ্রবোট’ টিম দেশে ফিরে এসে ব্যপক প্রশংসিত হয় সংশ্লিষ্ট মহলে। এর পরের বছর মানে তৃতীয় বার্ষিক লুনাবোটিক্স কম্পিটিশনে বাংলাদেশ থেকে তিনটি টিম অংশ নেয় - ব্র্যাক থেকে ‘চন্দ্রবোট-২’; আই ইউ টি থেকে ‘লুনাটিয়ান’ এবং এমআইএসটি থেকে ‘রোবোমিস্ট’ । সেবার মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিশ্বের ৮ টি দেশ থেকে আসা ৫৫ টি দল । নাসার নিয়মানুযায়ী মাত্র ১৩টি দল উত্তীর্ন হতে পারে যার মধ্যে এশিয়ার মধ্যে সেরা এবং সবগুলো দলের মধ্যে ‘চন্দ্রবোট-২’ ১২তম র‍্যাঙ্ক নিয়ে দেশে ফেরত আসে। আগামীবার অর্থাৎ চতুর্থ বার্ষিক লুনাবোটিক্স কম্পিটিশনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছে ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ব্র্যাক, আই ইউ টি, এম আই এস টি এবং প্রথমবারের মত বুয়েট, চুয়েট ও এন এস ইউ) পৃথক দল । হয়ত খুব শীঘ্রই বিশ্বসেরা রোবোটের স্বীকৃতি নিয়ে দেশে ফিরবে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ।



বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোর উদ্যোগঃ

জাপানে পিএইচডি করার সময় প্রফেসর ড এম এম এ হাসেম হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ফুটবল খেলুড়ে রোবোট দেখে অনুপ্রানিত হয়ে দেশে এসে ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ এ ২০০৫ সালে ‘হার্ডওয়্যার এক্সেলেরশন ক্লাব অফ কুয়েট- হ্যাক’ নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ক্লাবের সূত্র ধরেই প্রথমে মাইক্রোকন্ট্রোলারের হাতে খড়ি দেন শিক্ষার্থীদের, তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় রোবোটিক্স নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এবং ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট সাফল্যের মুখ দেখেছে।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের বর্তমান এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মোঃ রোকনুজ্জামান এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় রুয়েট রোবোটিক্স সোসাইটি। উন্নত বিশ্বের রোবোটিক্স চর্চার ব্যপ্তি দেখে উনিও অনুপ্রানিত হয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রোবোটিক্স নিয়ে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। রুয়েট রোবোটিক্স সোসাইটি এর উদ্যোগে এখন শব্দানুভূতিসম্পন্ন রোবোট তৈরির কাজ চলছে, অন্যান্য রোবোটগুলোর মধ্যে স্পাই অফ রুয়েট, কাকড়া-২ উল্লেখযোগ্য।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে রোবো-মেকাট্রনিক্স এসোসিয়েশন। মূলত চুয়েটের শিক্ষার্থীদের মাঝে রোবোটিক্স চর্চাকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এ ক্লাবটি কাজ করে যাচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি সফল রোবোট ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ও প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রোবোটিক্স ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় মূলত চন্দ্রবোট এর সাফল্যের ধারাবাহিক প্রচেস্টার অংশ হিসেবে। চন্দ্রবোটের সাফল্যে এবং রোবোটিক্স চর্চায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন ড. মোঃ খলিলুর রহমান। চন্দ্রবোট ছাড়াও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত রোবোট তৈরি করেছে এ ক্লাবের সদস্যরা।

এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গড়ে উঠছে রোবোটিক্স ক্লাব।


তাক লাগানো রোবোটগুলো...

‘রাফি’

রাফি -১

না, মানুষের নাম না এটি; রোবোটের নাম। তবে নির্মাতাদের দলনেতার নামও রাফি। বুয়েটের তড়িত কৌশল বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর চতুর্থ বর্ষের থিসিস প্রজেক্ট ছিল এটি। বাংলাদেশের বুদ্ধিমান রোবোটগুলোর অন্যতম এ রোবোটটি যেকোন স্থানের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করতে পারে নিজে থেকে, এমনকি কোন বস্তু একবার দেখলে চিনে রাখতে পারে পরে সনাক্ত করার জন্য । রোবোটটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রকৌশলী – আহমেদুল্লাহ আজিজ, মোঃ শাফায়েত হোসেইন, মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান। এ রোবোটটি সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক রোবোটিক্স প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ রাউন্ডে বিজয়ী হয় এবং মার্চের ১৪-১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া আই আই টি কানপুরের গ্লোবাল রোবোটিক্স চ্যালেঞ্জের গ্রান্ড ফিনালাতে অংশগ্রহণ করে ।


রাফি - ২

ই-বট
বুদ্ধিমান রোবোট – আপনার সাথে কথা বলতে পারবে, তাও আবার বাংলায় ! দুর্দান্ত এক রোবোট এই ‘ই-বট’। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন তরুন প্রকৌশলীর তৈরি এই রোবোটটি আপনার সাথে বাংলায় কথা বলতে পারবে। এমনকি আপনার নির্দেশনামত কাজও করতে পারবে এই রোবোট। রোবোটটি সম্পর্কে নির্মাতা প্রোকৌশলীদের দলনেতা আরিয়ান এম কবির বলেন –‘ রোবোটটিকে আরো বেশি বুদ্ধিমান করে তোলা সম্ভব । বাংলা ইন্টিগ্রেট করাটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।'



কোয়াড্রো – ফ্যালকন
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এ আই ইউ বি) এর চার তরুন তড়িত প্রকৌশলী তৈরি করেছে কোয়াড – কপ্টার। তারা এটির নাম দিয়েছে কোয়াড্রো ফ্যালকন। চার পাখা দিয়ে আকাশে উড়তে পারে এবং ঈগল পাখির মত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে আশপাশটা ক্যামেরাবন্দি করে যথাযথ স্থানে প্রেরণ করার সক্ষমতাই এই নামকরনের রহস্য।




বাই-প্যাডাল রোবোট

চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী তৈরি করেছে বাই-প্যাডাল রোবোট। মানুষের দুই পায়ের মত হাঁটতে পারে এই রোবোট। একদম রোবোকোপের যেন বাস্তব সংস্করণ। ৮ ডিগ্রী ফ্রিডম আছে এই রোবোটটিতে এবং হণ্টন প্রকৃতিও একদমই মানুষের মত। এছাড়াও চুয়েটের আরো চার শিক্ষার্থীর তৈরি করা ভয়েস কমান্ড রোবোটিক আর্ম বেশ দারুন একটি প্রকল্প। মানুষের হাতের মত একটি হাত আপনার মুখের নির্দেশমত কাজ করবে। ভবিষ্যতে হয়ত অনেকেরই ‘ডান হাত’ হবে এই রোবোটটি।




স্করপিয়বট

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর তৈরি করা এই রোবোটটি দেখতে অনেকটা ট্যাঙ্কের মত। ভূখণ্ডের বন্ধুর স্থানগুলো এবং সিড়ির মত জায়গাগুলো নিজে থেকে পার হতে পারে এই রোবোট।

স্পাই অফ রুয়েট
রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর তৈরি করা রোবোটটি দূর থেকে মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, এমনকি রোবোটটি তার আশপাশের ছবি তুলে নির্দিষ্ট ঠিকানায় প্রেরন করতে পারে। নির্মাতারা এটিকে পরবর্তী প্রজন্মের রোবোট হিসেবে দাবি করছেন। এছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানাধীন শব্দানুভূতিসম্পন্ন রোবোটটিও বেশ চমকপ্রদ।

অবস্ট্যাকল স্কিপিং রোবোট
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর তৈরি করা এই রোবোটটি যেকোন ধরনের বাধা অতিক্রম করে চলতে পারে এবং এটা হাই ভোল্টেজ লাইন অনুসরন করতে পারে। খুব সম্প্রতি কুয়েটের শিক্ষার্থীরাও একটু উড়ুক্কু রোবোট উড়িয়েছে ।

রোবো-এক্সপোজিশন জোনঃ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২


দেশে রোবোটিক্স এর এই সূচনালগ্নেই প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হল রোবোটের প্রদর্শণী। গেল বছরের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড – ২০১২’ এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল এই রোবোট প্রদর্শণী। দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ১৮ টি রোবোট এই প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। ৬ – ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এই প্রদর্শনীতে বিপুল পরিমানের দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায় এবং রোবোট নিয়ে সবার কৌতূহল শেষ পর্যন্ত তুমুল হাততালিতে পরিনত হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এ প্রদর্শনী দেখে চমতকৃত হন এবং সামনের দিনগুলোর জন্য ভাল আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই রোবোট জোনটির সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিল ‘ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এসাব)’।

দেশেই হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাঃ


বেশ গর্বের সাথেই বলা যায় দক্ষিণ এশিয়াতে রোবোটিক্স এর জগতে বাংলাদেশ খুব নতুন একটি নাম হলেও সব সম্ভাবনার এদেশের তরুন প্রকৌশলীরা ইতিমধ্যে প্রমান করেছে প্রকৌশল বিদ্যার এই জটিল প্রায়োগিক ক্ষেত্রেও তারা কোন অংশে পিছিয়ে নেই, বরং এগিয়ে আছে অন্যান্য দেশগুলো থেকে। সম্প্রতি আই আই টি, মুম্বাই আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল রোবোটিক্স কম্পিটিশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি প্রথম রানার্স আপ হবার গৌরব অর্জন করে এবং প্রথম পাঁচটি টিমের মধ্যে ২ টিই বাংলাদেশের। নাসার লুনাবোটিক্স মাইনিং কম্পিটিশনেও এশিয়ার মধ্যে প্রথম হয় চন্দ্রবোট-২।


আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এ প্রতিযোগিতাগুলোর কান্ট্রি রাউন্ডগুলো এখন নিয়মিত বাংলাদেশে হচ্ছে। কিছুদিন আগেই হল আই আর সি এর বাংলাদেশ রাউন্ড, এর পরে জি আর সি এর বাংলাদেশ রাউন্ড। এছাড়াও এর আগে লাইন ফলোয়ার রোবোট নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা হয় জাতীয় পর্যায়ে, যার আয়োজনে ছিল দেশীয় সংগঠনগুলোই। মূলত এই ধরনের প্রতিযোগিতার নিয়মিত আয়োজনই আজকে রোবোটিক্স কে বাংলাদেশে এভাবে জনপ্রিয় করে তুলছে।

সবচেয়ে বড় রোবোটিক্স প্রতিযোগিতাঃ


‘রবি - প্রথম আলো গ্লোবাল রোবোটিক্স চ্যালেঞ্জ - বাংলাদেশ রাউন্ড’ শিরোনামে একটি রোবোটিক্স প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এসাব) গত ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে । ইন্ডিয়ার আই আই টি কানপুরের বার্ষিক উৎসব টেককৃতি’১৩ এর রোবোগেমস এ বাংলাদেশ রাউন্ড থেকে উত্তীর্ন দুটি দল আগামী ১৪ – ১৭ মার্চ এই প্রতিযোগিতার গ্র্যাণ্ড ফিনালেতে অংশ নিয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সরকারি – বেসরকারি মোট ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩2 টি রোবোট দল, নিবন্ধন করেছিল ৫২ টি টিম। প্রতিযোগিতা হয় দুটি ক্যাটাগোরিতে – ইন্টারন্যাশনাল অটোনোমাস রোবোটিক্স চ্যালেঞ্জ (আই এ আর সি ) এবং ইন্টারন্যাশনাল রোবোটস গট ট্যালেন্ট ( আই আর জি টি ) ।


আই এ আর সি তে বিজয়ী হয় চুয়েটের ডিসেপ্টিকনস টিম এবং আই আর জি টি তে বজয়ী হয় ‘রাফি’। বিজয়ী দল দুটি তাদের রোবোটের আরো উন্নত সংস্করণ নিয়ে মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে । দেশে এর আগেও অটোনোমাস রোবোট নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম ইন্টেলিজেন্ট রোবোট নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিযোগিতা হল এবং প্রথমবারেই দেশের বুদ্ধিমান রোবোট একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরমে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পেয়েছে। টানা ১৪ ঘন্টা ধরে চলে এই ম্যারাথন রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা। রোবোটের এই মহাযুদ্ধ দেখে দর্শক অতিথি এবং আয়োজকরা সবাই বেশ অবাক হয় এবং একইসাথে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এই ইতিবাচক মাইলফলক দেখে অনুপ্রানিত বোধ করেন। সামনে এ ধরনের প্রতিযোগিতা ক্রমান্বয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আয়োজন করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে এসাব। এসাব বিশ্বাস করে বিশ্বসেরা রোবোট বানানোর জন্য যে মেধা এবং দক্ষতা প্রয়োজন তা এ দেশেই আছে এবং দেশের এই মেধাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এসাব নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন করে যাবে।



অর্জনসমূহ
২০০৫ সাল থেকে এ বি ইউ রোবোকনে নিয়মিত অংশগ্রহন করে আমাদের দেশের তরুন প্রকৌশলীরা। প্রথমবারেই একটি সম্মানজনক প্যানাসনিক এওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি। এশিয়া-প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (এবিইউ) ২০০২ সাল থেকে এই রোবোকন আয়োজন করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া দলগুলো উত্তোরোত্তর ভাল করছে। বুয়েটে ড জহুরুল হক এর তত্ত্বাবধানে নিয়মিতই রোবোটিক্স এর চর্চার ফসল হিসেবে বেশ কয়েকটি অর্জন রয়েছে। এছাড়া নাসার লুনাবোটিক্স মাইনিং কম্পিটিশনে চন্দ্রবোট – ২ এর সাফল্য এদেশের রোবোটিক্স চর্চায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আই আই টি মুম্বাই এর আই আর সি তে প্রথম রানার্স আপসহ প্রথম পাঁচটি টিমের মধ্যে দুটি টিমই বাংলাদেশের। শুরুতেই এতসব অর্জন প্রশংসার দাবিদার এবং একই সাথে আশাজাগানিয়া যে প্রকৌশলবিদ্যার নতুন এ দ্বার উন্মোচন আমাদের দেশের অনেক মেধাবী তরুনকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করার জন্য ।

সমন্বিত করার উদ্যোগঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম, সরকারের প্রশাসন ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন একান্ত জরুরি এ রোবোটিক্স চর্চার বিকাশ ঘটানোর জন্য। মূলত সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করার জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারিকুলামে রোবোটিক্স বা মেকাট্রনিক্স এর বিষয়গুলো অধিক গুরুত্ব দিয়ে যোগ করতে হবে। রোবোটিক্স এর বিকাশের মূল সুফলভোগী হবে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিগুলো – তাই তাদের দায়িত্ব আরো বেশি। গবেষণা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ফান্ডিং তাদের পক্ষ থেকে আসা উচিত। এদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন আইসি, সেন্সর,রিলে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলো সহজলভ্য করতে হবে এবং এটি করতে পারলে দেশেই অত্যাধুনিক রোবোট বানানো সম্ভব হবে খুব সহজেই।

আগ্রহীরা কোথা থেকে শুরু করবে ?
বাংলাদেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং প্রকৌশল অনুষদে মাইক্রো প্রসেসর আই/ও সিস্টেম নিয়ে একটি কোর্স রয়েছে যেখানে মূলত মাইক্রোকন্ট্রোলারের হাতে খড়ি দেয়া হয় এবং এই কোর্সেই মূলত এম্বেডেড সিস্টেমের সাথে পরিচিত হয় শিক্ষার্থীরা। রোবোটিক্স শেখার জন্য মূলত মাইক্রোকন্ট্রোলারের উপর দক্ষতা থাকতে হবে। যদিও একাডেমিক কোর্সে তাত্ত্বিক জ্ঞান দেয়া হয়, তারপরেও প্রকৌশল বিদ্যার এই বিশাল ব্যপ্তির অধ্যায়টির জন্য একটি কোর্সই যথেষ্ট নয়। বরং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করতে হবে। রোবোটিক্স নিয়ে আগ্রহীরা প্রথমেই মাইক্রোকন্ট্রোলার এর খুঁটিনাটি শিখে নিজেই রোবোট বানানো শুরু করে দিতে পারে। তবে, রোবোটিক্স হচ্ছে মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কম্পিউটার প্রকৌশলের এক অপূর্ব সমন্বয়ের বিষয়। তাই কাউকে রোবোটিক্স এ দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রকৌশল বিদ্যার এই তিনটি শাখায় পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে।

কেন রোবোট নিয়ে এত মাতামাতি?

সারাবিশ্বে রোবোট নিয়ে এত মাতামাতির মূল কারন, রোবোট মানুষের শ্রম লাঘব করছে এবং একই সাথে মানুষের পক্ষে যে কাজগুলো সুচারূরূপে সম্পন্ন করা দুঃসাধ্য সে কাজগুলো রোবোট খুব দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশনে রোবোটিক্সই বিপ্লব এনেছে। সবমিলিয়ে শিল্পের প্রসারে এবং উৎপাদনে রোবোটিক্স যে সাফল্য এনে দিয়েছে তাতে একই সাথে শিপ্লের বিল্পব ঘটিয়েছে এবং মানুষকে দিয়েছে নিশ্চিত জীবনের হাতছানি। তাই রোবোটিক্স নিয়ে উন্নত বিশ্বের এত মাতামাতি। জাপান, ইউ এস এ, রাশিয়াসহ বিশ্বের সকল উন্নত দেশই রোবোটিক্সের দিকে আলাদা করে নজর দিচ্ছে, কারন রোবোটের যেকোন কাজের সম্পাদনা এত নিখুঁত যে তাকে কাজে লাগিয়ে অনেক অসাধ্যকেই সম্ভব করা গেছে। সমরাঙ্গনেও রোবোট এখন ভূমিকা পালন করছে। সবমিলিয়ে আগামী দিনে মানুষের অনেক কষ্টসাধ্য কাজের স্থানে রোবোট যে নিঃসন্দেহে প্রতিস্থাপিত হবে তা হলফ করে বলা যায়।

প্রয়োজন সাহায্য, মনিটরিং এবং ফান্ডিং

আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যখন কোন প্রজেক্ট তৈরি করতে যায় বিশেষ করে কোন রোবোট বানাতে যায় তখন দুটি সমস্যা দেখা দেয় । একটি হল আর্থিক ও অন্যটি হল যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা। এই দুটি সমস্যার সাথে যোগ হয় উন্নতমানের ল্যাবরেটরির অভাব, শিক্ষকদের যথাযথ মনোযোগের অভাব ইত্যাদি। শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে ঢাকার স্টেডিয়াম মার্কেট, নবাবপুর, পাটুয়াটুলি ঘুরে ইলেক্ট্রনিক্স এর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যোগাড় করে এবং প্রায়ই দেখা যায় প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পার্টসই এখানে পাওয়া যায় না। তখন দ্বারস্থ হতে হয় অনলাইন শপগুলোতে, কিন্তু সেখানেও বিপদ পেপালের অনুমোদন না থাকায় তারা অনলাইনেও বেশিরভাগ সময়েই কেনাকাটা করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের কাছে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ও থাকার কথা না, তাই শেষমেষ অনেক উদ্ভাবনী প্রকল্পই আলোর মুখ দেখে না। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবোটিক্স নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন কারিকুলাম না থাকার কারনে শিক্ষকেরাও এ ব্যাপারে উদাসীন। শিক্ষার্থীদের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য অনেকসময় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরও অভাব দেখা যায়। এইসকল বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সরকারের দৃষ্টিতে এলে এবং তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিলে হয়ত আমাদের দেশেই বিশ্বসেরা রোবোটগুলো তৈরি হবে। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মত বড় বিনিয়োগের শিল্পকারখানা স্থাপিত হবে। সব মিলিয়ে আমরা হয়ত বিশ্বের মাঝে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারব।

‘এসাব’ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে
বাংলাদেশের প্রকৌশল বিদ্যায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একমাত্র সংগঠন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এসাব) এর জন্মই হয়েছিল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফরম তৈরি করার উদ্দেশ্যে। বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি সংযোগ ঘটানোর জন্যে এবং মেধাবী তরুন প্রকৌশলীদের মেধা ও প্রজ্ঞাকে দেশে কল্যানে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্যেই এসাব কাজ করে যাচ্ছে নিরলস। আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরমগুলোতে যাতে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারে সেজন্য এসাব সবসময়ই চেস্টা করে যাচ্ছে । ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে এসাবের চুক্তিও হয়েছে এ লক্ষ্যে ।
তরুন প্রকৌশলীদের সেরা কাজগুলোকে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত করার জন্যে এবং পৌঁছে দেয়ার জন্য এসাব কাজ করে । একই সাথে নিজেদের কল্যাণে নিজেদের কমিউনিটিকে কাজে লাগানোর প্রকৃয়ায় উপকৃত হচ্ছে দেশের প্রকৌশল বিদ্যার শিক্ষার্থীরা । একই সাথে নতুন নতুন টেকনোলজির ডেভলপেমেন্ট এবং রিসার্চে প্রকৌশলীদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যেও এসাব কাজ করে যাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়া এ দুয়ের মাঝে মিলন ঘটানোর জন্যেও কাজ চলছে। প্রকৌশল বিদ্যার বিভিন্ন মজার বিষয় নিয়ে স্কুল কলেজগুলোতে নিয়মিত আয়োজন করছে এসাব।

আমাদের দেশ সব সম্ভাবনার দেশ। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম মেধায়, প্রজ্ঞায় এবং দক্ষতায় বিশ্বের কোন দেশের চেয়ে পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে সীমিত সুযোগ নিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা মেধার যে স্বাক্ষর রেখে আসে তা সত্যিই তাক লাগানোর মত। একই সাথে এই তরুণ প্রজন্ম দেশ মাতৃকার প্রতি অত্যন্ত সচেতন, যার বহিপ্রকাশ ঘটেছে প্রজন্ম চত্বরে। দেশের তরে এই তরুণ প্রকৌশলীরা যাতে কাজ করার একটি যথাযথ প্ল্যাটফরম পায় সে লক্ষ্যে এসাব সদা সচেষ্ট আর তাদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেও এসাব সচেষ্ট।

আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দেশটা এই তরুণ প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী কর্মগুলোর মাধ্যমেই আধুনিক হয়ে উঠবে, বিশ্বের বুকে দ্যুতি ছড়াবে নিজস্ব মহিমায়।

১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×