একান্তই আমার দৃষ্টিতে কিছু অনুধাবন বলছি বর্তমান ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের প্রেক্ষাপটে। প্রথমত হামাস স্বাধিন ফিলিস্তিনের পক্ষে কাজ করছে এটাই বিশ্বাস করিনা আমি।
হামাসের কি কোন সক্ষমতা আছে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার⁉️না একটুও নেই , তাদেরকে যারা সৃষ্টি করেছে ঠিক তাঁদেরই পারপাস সার্ভ করছে এই জঙ্গি সংগঠনটি।
ইজরায়েলের মত আধুনিক সমরাস্ত্র পৃথিবির কয়টি দেশের আছে। উত্তরটা খুবই সহজ , খুব অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যেই পাবেন ইজরায়েল নামক রাষ্ট্রটিকে।সেই রাষ্ট্রে কেউ আক্রমন করলে তার জবাব দিবেনা এটা কোন নির্বোধও বিশ্বাস করবেনা। খুব পরিকল্পনা করেই ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে সেটলারদের জন্য ভুমি দখল করার সহজ উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে।
ফিলিস্তিন যারা ভ্রমন করেছে তাদের কোন সাক্ষাতকার কখনও দেখেছেন কেউ। সোসাল মিডিয়ার সুবাদে কিছু মানুষের করা ভিডিও দেখেছি আমি। রিতিমত ইচ্ছে করে অপমান অপদস্থ করা হয় যাতে ইচ্ছে করেই আপনি নিজে থেকেই ফিরে যাবেন। কিংবা বিন্দুমাত্র অজুহাত দেখিয়ে আপনি যে ইজরায়েলের জন্য হুমকি সেটা প্রমাণ করার অপচেষ্টা করা হয়। যারা শুধু আল আকসা মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য সেখানে যায় তারা এগুলো মোকাবেলা করে ধৈর্যের পরিক্ষা দিয়েই পাস করেন।
হামাস এত গোলা বারুদ সংগ্রহ করে ফেললো পৃথিবির সর্বশ্রেষ্ঠ দুটো আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে‼️কি বোধগম্য হয় কিছু ? ইজরায়েল যতটুকু চেয়েছে ঠিক ততটুকুই পেরেছে। ইনসাইড জব বলে একটি টার্ম আছে। ঐ যে সাপ মরবে কিন্তু লাঠি ভাঙবেনা আর কি।
নাইন ইলেভেনের কথা মনে আছে আপনাদের? আজ পর্যন্ত আমেরিকা একটিও অকাট্য প্রমাণ হাজির করতে পারে নাই কয়েকজন সন্ত্রাসী সেই হামলা চালিয়েছিলো। সেটা ছিলো আমেরিকার বুকে মুসলিমদের এগিয়ে যাওয়া রুখে দিয়ে সমস্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে কোনঠাসা করে ফেলা। সমগ্র বিশ্বের সমিকরন পাল্টে দিয়েছে সেই ঘটনা । কতগুলো সমৃদ্ধশালি মুসলিম দেশ লুটপাট করার উৎসবে পরিনত করাই ছিলো মুল উদ্দেশ্য । শতভাগ জয়ি হয়েছে তারা / আজকের পৃথিবির আদর্শ হলো শক্তি যার ক্ষমতা তার। সত্য আর অসত্যের লড়াই নেই আজকের পৃথিবীতে । আছে , খল চরিত্রকে নায়করুপে প্রতিষ্ঠিত করা।
এখন আসি বিবেকবান কিছু মানুষের প্রতিবাদ করার বিষয়ে। বিশ্বব্যাপি কিছু মানুষ সবসময় সত্য ন্যায় ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করে তা রোধ করার মত সংখ্যা বা শক্তি কখনই হয়নি এতে। বরং এই প্রতিবাদের উদাহারন টেনে ফায়দা লুটেছে তারাই যারা এগুলো জন্ম দিয়েছে।
বুঝতে পারার জন্য ছোট্ট করে বলি একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যা কি রুখতে পেরেছিলো আমেরিকার সেই স্বল্প সংখ্যক মানবিক মানুষ?
চুয়াত্তরের কৃত্তিম দুর্ভিক্ষের সৃস্টির নায়কদের কি কোন শাস্তি হয়েছিলো? হ্যা আমি তাদের নায়কই বলবো কারন তারা যা চেয়েছিলো তাই ঘটিয়েছিলো । কাজেই তারা তাদের মিশনে সফল।
আমাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছে ত্রিশ বছর। অদম্য বাঙালীকে দমাতে পারেনি আমাদের মৃত্যুন্জয় সংগ্রামের জন্য। আমি বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনের মানুষও একদিন তাদের গৌরবের ইতিহাস সৃষ্টি করে দেখাবে।
পৃথিবির সকল মানুষ তার অধিকার নিয়ে বেচে থাকুক।