আমার জন্য ২০২৪ সালের সবচেয়ে বড় ঘটনা, আমেরিকান এম্বেসীর হাতে শেখ হাসিনার পতন; তিনি এই মহুর্তে সবচেয়ে ধিকৃত বাংগালী রাজনীতিবিদ। কিন্তু তিনি এখনো ৫০ হাজার ( আনুমানিক ) জীবিত মুক্তিযোদ্ধোদের কাছে সবচেয়ে ঘনিষ্ট আপনজন।
মিনিমাম রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়ে শেখ হাসিনা ৪৪ বছর রাজনীতি করে গেছেন দাপটের সাথে! ইহা কি প্রমাণ করে? ইহা প্রমাণ করেছে, এই জাতির গর্দভ রাজনীিতিবিদদের মাঝে তিনি ছিলেন শক্তিশালী গর্দভ। জাতির সৎ ও দরিদ্র অংশ এর জন্য ভয়ানক মুল্য দিয়েছেন ও আরো দেবেন সামনের দিনগুলোতে; জাতির হায়েনারা ( জামাত-শিবির, জে: জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া, ব্যুরোক্রেটরা, সেনা বাহিনীর অফিসারেরা, এস আলম, বসুন্ধরা, যমুনা গ্রুপ, বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও আরো ২০০ পরিবার ) আশাতীতভাবে ডাকাতী করে জাতির সমস্ত সুযোগ ও সম্পদ দখল করে নিয়েছে।
হাসিনা এখন ভারতে; তবে, তিনি ভারতের জন্য গলার কাঁটায় ( কুটনৈতিকভাবে ) পরিণত হয়েছেন; ইন্দিরা না'থাকলেও উনার বদান্যতার কারণে তিনি ভারতে আছেন। উনি ভারতে থাকায়, দেশের '৭১'এর পরাজিত শক্তি এখনো ভীত, তারা প্রচার চালাচ্ছে যে, ভারত উনাকে পুনর্বহাল করতে পারে, যা গর্দভের জ্বর ব্যতিত অন্য কিছু না।
দেশ এখন ভয়ংকরদের হাতে; আমেরিকান এম্বেসী ইহাতে একা নয়, ইহাতে পাকিস্তানের মিলিটারী যুক্ত আছে; তাদের এজেন্ডা ১৯৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ; তারা ইহা করছে তাদের জারজ সংস্কৃতির সন্তানদের কাজে লাগিয়ে। তারা চেষ্টা করছে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে ইহাকে ধ্বংস করে, নিজেদের লেভেলে নিতে। আগামীদিনগুলোতে ইহার ফয়সলা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩