ড: ইউনুস সংবিধান নিয়ে লাগেনি, আসলে লেগেছে পাকি জল্লাদগুলো, ওরা মুক্তিযুদ্ধ ও '৭১'এর জেনারেশনের সকল চিহ্ন মুছে দিতে চায়।
ড: কামালের নেতৃত্ব লিখিত আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধানটাকে বদলাতে হবে; কারণ, ইহাতে গরীবদের আশা ও অধিকারের প্রতিফলন নেই। বদলাতে হবে; তবে, জালিয়াৎ ড: ইউনুস ও পাকি জল্লাদদের নৈরাজ্যের সময় নয়; জাতি একটু সুস্হির হলে, দেশের সাধারণ মানুষের আশা ও অধিকার নিয়ে, বিশ্ব পরিস্হিতির সাথে তাল মিলিয়ে, উহাকে আবার লিখতে হবে।
যেই আমেরিকা আমাদের দেশটাকে ৫৪ বছর অস্হিতিশীল করে রেখেছে, সেখানকার ক্যাপিটেলিষ্ট মনোভাবের ড: আলী রিয়াজ আমাদের কেহ নন, উনি যা লিখবেন, সেটা ট্রাম্পের মতোই উলটপালট, হাউকাউ কিছু একটা হবে।
আপনারা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি ও উহার প্রেক্ষাপট সঠিকভাবে বুঝেন না, তাঁদের জন্য আমি বলতে পারি যে, ড: কামালের নেতৃত্ব লিখিত আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধানে "১৯৭১ সালের জেনারেশন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনতার আশা ও অধিকারের প্রতিফলন ঘটেনি"; কারণ, ড: কামাল রাজনীতিবিদ ছিলেন না, উনি তখন "এনট্রি লেভেলের কর্পোরেট ল'ইয়ার"।
বাংলাদেশ চেয়েছিলেন গরীব মানুষেরা; তখন দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ গরীব ছিলেন; ওরাই মওলানার ও শেখের সভায় যেতেন। ৭ই মার্চের ( ১৯৭১ ) সভার ছবিতে দেখবেন কাহারা সেই সভায় উপস্হিত ছিলেন। উহাতে ফজলুল কাদের চৌধুরী, আমাদের ব্লগার জুল ভার্ণ ও সোনাবীজ উপস্হিত ছিলেন না। আমি আমাদের বাড়ী থেকে ৪০ মাইলের দুরত্বের মাঝে মওলানা, মতিয়া কিংবা শেখ সভা করলে যেখানে যেতাম।
ড: কামাল কি গার্বেজ লিখেছেন, উহা নিয়ে আমাদের ব্যুরোক্রটরা চিন্তিত হতো না, ওরা দেশ চালাতো তাদের ঠিকাদারী ফার্মের মতো, আজো সেভাবেই চলছে।
জেনারেল জিয়া, এরশাদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞা, বেগম জিয়া কেন আলী রিয়াজদের ডেকে সংবিধান বদলাননি? কারণ, তারা জানতো যে, দেশ চালাবে ব্যুরোক্রেটরা, সংবিধান নিয়ে ওদের ব্যবসা নয়, ওদের ব্যবসা হলো জনতার টাকা ডাকাতী করা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:০৭