জিয়াকে হত্যা করার সুযোগ করে দিয়েছিলো জিয়ার চয়েসের সেনাপ্রধান জে: এরশাদ ( পাকী ফেরত ); ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা জেনারেলকে ডিংগায়ে জিয়া এই কাজ করেছিলো। জিয়া হত্যায় অংশ নেয়া ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার বিবিধ ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছুটি নিয়ে যে চট্টগ্রাম গিয়েছে, ডিজিএফআই এরশাদকে সেই খবর জানায়েছিলো; এরশাদ কিছু বলেনি, কিছু করেনি। এর আগে ১৮টা ক্যু করেছিলো মুক্তিযোদ্ধা অফিসারা, সফল হয়নি জিয়াকে সরাতে; জিয়া দেশ চালানোর ভার ব্যুরোক্রেটদের দিয়ে নিজে ক্যু থেকে বেঁচে থাকার কাজে ব্যস্ত ছিলো।
পাকিস্তান ফেরত জিয়ার সাপোর্টার সিনিয়র অফিসারেরা এরশাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ক্যু-প্রবনতা কমানোর ব্যবস্হা নেয়ার জন্য বলেছিলো; উত্তরে এরশাদ বলেছিলো, "জে: জিয়া ও ওরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা, ওদের সমস্যা ওরা সমাধান করুক, আমরা উহার অংশ নই"।
জিয়ার লাশ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আনার আগেই, বেগম জিয়ার ভাইসহ কয়েকজন সিনিয়র অফিসার (মীর শওকত আলী, ওলি, প্রমুখ ) বেগম জিয়াকে জানায় যে, হত্যার পেছনে এরশাদের হাত আছে। ডোডো ইহা শুনে ভাইস প্রেসিডেন্ট সাত্তারকে ডেকে এনে অর্ডার দেয়, এরশাদকে বের করে দিতে। সাত্তার বেগম জিয়াকে "ইডিয়ট" সম্বোধন করতেন নিজের সার্কেলে; তিনি উহাকে বুঝায়ে বললেন যে, ইহা করা যাবে না, মিলিটারীতে এরশাদের দল ভারী।
এরশাদ জানতো যে, বেগম জিয়া ক্ষেপেছে; তবে, শিয়াল এরশাদ জানতো যে, বেগম জিয়া উনার স্বামীর মৃত্যুতে আসলে খুশী হয়েছ; সে এই ডোডোকে কিনে নিবে সময় মতো।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:৪১