ব্লগটি যখন লেখছি তখন রাত ৯টা ৩০ মিনিট। তারিখ ০১-০৫-২০২২। সর্বপ্রথম “মে” দিবসের সকল শ্রমিকদের সুভেচ্ছা। তাদের সুভেচ্ছো দিলে তাদের পেট ভরবে না। তাদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে। আর তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করতে হবে।
যাই হউক। আমি সর্বপ্রথম বেশী স্মরণ করেছি আমার স্ত্রি কে। কারণ সে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেছে। চাকরির কারণে এই রমজান মাসে তাকে আনতে পারি নাই। আর ঈদেও ছুটি না পাবার কারণে ঈদেও যেতে পারবো না। আপনারা বিশ্বাস করবেন না, আমি এই ১ মাস যত বার ফোন দিয়েছি ততবার তার মোবাইল বন্ধ পেয়েছি। আমি আমার স্ত্রি কে খুব ভালোবেসেছিলাম। বিয়ের আগে অনেক মেয়ে কে ভালো লাগতো, কিন্তু ভালোবেসেছিলাম একজনকে। সে আমার স্ত্রি। যাই হউক। ঈদের পর বাড়িতে যাবো। দুই পরিবার মিটিং করবো। ওরা তালাক চাইলে তালাক হবে।
এই রমজানে আবহাওয়া মেঘলা থাকায় তেমন কষ্ট হয় নি। আমার ক্ষিধার যন্ত্রণা থেকে পানি পিপাসার কষ্ট খুব বেশী লাগে। পানি পিপাসা তে এত বেশী কষ্ট লাগে যে; কি বলবো! বলার ভাষা নাই।
আমি নিয়মিত আল্লাহর নাম স্মরণ করতাম। এবং সবার মঙ্গল কামনা করতাম। তবে পানি পিপাসা আর বউ কে মিস করার যন্ত্রণা দিয়ে এই রোজা পার করলাম।
যাই হউক। বাপ মা সার্পোট না দিলে হয়তো বউ এর বিরহে আমি পাগল হয়ে যেতাম।
রমজান মাসে আরেকটি নিয়ম হচ্ছে ফেতরা টাকা দান করা। মানে গরিবরা যেন সেমাই, কিসমিস, পোলাও বা গোস্ত খেতে পারে সেজন্য কিছু টাকা দান করা। এই টাকাটা পরিবারের সদস্য প্রতি হিসাব করে দিতে হয়। আর এই টাকা দান করলে বিপদ আপদ তেমন আসে না। আমি এবং আমার স্ত্রি এর ফেরতা টাকা দিয়েছি। কারন হাজার হউক সে আমার বউ। আমি আমার বউ এর জন্য অনেক কিছু করতে পারি। সামান্য এতটুকু করতে পারবো না?
তবে এতটুকু শিক্ষা হয়েছে যে বর্তমানে সংসার ভাঙ্গে মেয়েদের “মা” দের মিথ্যে অহংকারের জন্য। বাকিটুকু বললাম না। আপনারা বুঝে নেন।
বি:দ্র: আপনারা হয়তো আমার সংসার ভাঙ্গা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পারেন। কিন্তু আমি কিন্তু খুব মন খারাপ থেকে এই লেখা টি লেখেছি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২২ রাত ৯:৫৩