আমরা... সবুজ এক ব-দ্বীপে রক্তগল্পকাল পাড়ি দিয়ে আত্মপরিচয় নিয়ে বেড়ে ওঠার চল্লিশ বছর পর... একদিন.. সবুজ সীমান্তের এইসব বিমর্ষ গল্পে দারুণ হয়রান হতে থাকি... সরকারী দিনলিপি, পূর্ণদৈর্ঘ্য দৈনিকগুলো কেবল কতগুলো রক্তরৌদ্রস্নাত রৌমারি-পদুয়ার পাঠ্যতালিকা দিয়ে যায়... বিপুল খেটেখুটে আমরা কেবল অগণিত হাবিবের তালিকা করতে শিখি... নৈমিত্তিক দুঃখপাঠ আর আলস্য নিস্ক্রিয়তা আমাদের মেরুদণ্ড ক্রমাগত কুঁড়ে যেতে থাকলে দক্ষিণ উঠোনের এপিটাফ, বধ্যভূমি, রেসকোর্স, পূর্বপুরুষের ইতিহাস ভুলতে ভুলতে একদিন হঠাৎ সরিসৃপ হয়ে উঠি আমরা... অবিরাম উচ্চশিরের গল্প ভুলে গড়িয়ে যাওয়ার খেলা আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে রাত্রিদিন...
জলপাইবাগানের যত্নে বিছানো হেলিপ্যাডে একদিন তীব্র বাতাস ছড়িয়ে নামে জোড়া জোড়া হিন্দিভাষী বুট... ডাইনিংয়ের মশলাদার সুঘ্রাণ ছিঁড়ে খুড়ে জন্মনেয়া প্রতিশ্রুতিগুলি সুস্বাদু কাবাব হয়ে স্বদেশী উদর-বৃহদান্ত্র হয়ে আফ্রিকান মাগুরের ডিনার হয়ে যায় সহজেই... এইসব শানদার চিত্রনাট্যের পুণরাবৃত্তি সীমান্তের সবুজ ঘাসগুলোকে ক্রমাগত রক্তঘামের সেচ দিয়ে যায়... তারপর একদিন.. গণতন্ত্রকালের নিষ্পাপ বিকেল বেলায়.. চিলমাড়ির চিবুক ছুঁয়ে বিষণ্ন মেঘদলকে ওপার দিগন্তে উড়ে যেতে দেখে আতঙ্কে চেঁচাতে থাকে সীমান্তশিশুরা... আর ট্রিগারের তিতকুটে শব্দ ঢাকতেই বুঝি আমাদের প্রাণপ্রিয় রাজনীতিকরা স্টেরিও হেডফোনে বিরামহীন দেশাত্মবোধক শুনে যান...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০০