বাংলাদেশ থেকে কিছু ছাগল হিজরতের নামে আফগানিস্থান গেছে তালিবানদের সাথে যোগ দিতে। এরা হচ্ছে সেই শ্রেনীর ছাগল যাদের কারনের সমাজ, দেশ, জাতি বিব্রত হয়, একজন প্রকৃত ধার্মিক লজ্জিত হয় এবং ধর্ম বিদ্বেষীরা এই সকল ছাগলদের রেফারেন্স টেনে পুরো ধর্ম ব্যবস্থাকে দোষারপ করে।
বাংলাদেশে কোন শিক্ষাই উপযুক্তভাবে নেয়ার উপায় নেই সেটা হোক ধর্ম কিংবা সাধারন শিক্ষা। এক শ্রেনীর ধান্দাবাজ ও সুযোগ সন্ধানী মানুষ কিছু অশিক্ষিত মানুষের ব্রেণ ওয়াস করে এই সকল কাজে নিয়োগ করে। আফসোসের বিষয়, বাংলাদেশে হুজুরদের একটা বড় অংশের নৈতিকতা ও প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। এদেরকে কোনভাবেই আলেম বলার উপায় নেই। এরা ধর্মকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করে। আপনি ধর্মের সৌন্দর্য মহত্ব নিয়ে কথা বলতে যদি বলেন এরা পারবে না। এরা যেটা পারবে তা হলো - নারীদের সমালোচনা, নারীদের পোষাকের কারনে তাদের পায়জামা ও লুঙ্গি পরিবর্তনের কঠিন সংগ্রামের কথা, নারীদের পড়াশোনার কারনে দেশে অন্ধকার নেমে আসা সম্পর্কে, স্বামী বললেই কিভাবে নারী বিছানায় চলে আসবে, স্বামীকে সেবা করবে, স্বামীর যৌণ চাহিদা বেশি এই কারনে আরেকটি বিবাহের অনুমুতি প্রদান করা কেন উচিত, স্বামী সন্তুষ্ট না হলে কি হবে এবং হিন্দু সমাজ, দেব দেবী, মন্দির, কে কাকে মুসলমান বানাইছে, কোন হিন্দুকে হারাইছে এই সব অশ্লীল গালগপ্প ছাড়া এই সব হুজুরদের আর কিছু বলার নাই করার নাই।
যদি কেউ ভাষন শুরু করার পর চেষ্টা করে ধর্মের জন্য প্রয়োজনীয় কোন মাসালা নিয়ে কিছু বলবে কিন্তু অভ্যাসের কারনে দুই লাইন পরেই শুরু হয় নারী বিষয়ক মাসালা। এই শ্রেনীর হুজুরদের আসলে কোন মা বোন নেই। এরা তাদের মা বোনকেও দেখে শ্রেফ নারী হিসাবে। আপনি এদেরকে শাস্তি হিসাবে নারী থেকে দুরে রাখবেন? এক সাপ্তাহ রেখে দেখেন- একেকজন লুত (আঃ) এর কওম হয়ে গেছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেপেলেদের উপরে শুরু হবে বিভৎস নির্যাতন।
এই দুই নাম্বার হুজুররা স্বপ্ন দেখে তথাকথিত ইসলামী রাষ্ট্রের। এটা ধর্মের প্রতি ভালোবাসার জন্য নয় শুধু উপরের কারনগুলোকে আরো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগ করার জন্য। ফলে ছাগলদের সর্দার পান চাবাইয়া বলে - বাংলা হবে আফগান- আমরা হবো তালেবান। আর সাধারন মাড়খোর ছাগলরা দল বেঁধে বলে - তালেবান তালেবান!! আফগান আফগান।
ধর্মকে না বুঝে, ধর্মান্ধ গোষ্ঠিকে খুশি করার জন্য যখন ইসলামকে রাষ্ট্রের জন্য ব্যবহার করা হয় তখন রাষ্টের পরিনতি হয় পাকিস্থানের মত। একজন সুস্থ ও বিবেকবান মানুষ তালেবানদের আদর্শকে গ্রহন করতে পারে না। যে চায়না আজকে তালেবানদের সাথে এত দহরম মহরম করছে সেই চায়নাই প্রয়োজনে তালেবানকে ছুড়ে ফেলে দিবে। এইভাবে পরিকল্পিতভাবে একটা ধর্মকে বিতর্কিত করে অশান্তির চুড়ান্ত রাজ্য কায়েম করা হচ্ছে।
আমার কথা নিশ্চয় খুব খারাপ লাগছে, তাই না? কিছু কথা তিক্ত হলেও বাস্তব। এমনটাই চলছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে - অল্প হলেও আমাদের সমাজে কিছু পড়াশোনা করা আলেম দেখা পাওয়া যায়। এদের কথা, ব্যবহার এবং ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান ঈশ্বনীয়। এরা ধর্মের সৌন্দর্য, মানবতা, একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যকে জোর দেন। এরা আছেন বলেই হয়ত এখনও আমরা কিছুটা ধর্ম কর্ম করি, মানসিক শান্তি পাই।
দেশে জঙ্গি তৎরপতা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এবার আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভেতরেও এই ধরনের জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকল প্রকার ধর্মান্ধতা ও ধর্ম বিদ্বেষকারীদের প্রতিরোধ করুন। আপনার আশেপাশে যদি কাউকে দেখেন এই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করছে সরাসরি সিসিটিতে অভিযোগ দায়ের করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬