ঝলমল দুপুরে, মেঘের ভেলায় চড়ে যাও-
ঐ দুরে, উড়ে- বক হয়ে।
তোমাকে উপহার দিয়েছিলাম এক সমুদ্র চোখের জল,
হাওড় - বিলের মত।
যত দুরে দেখা যায়, তোমার মনের সিমানা,
দেখা যায় দিগন্তে সরল রেখা আর পাহাড়ের সারি।
তেমনি বিরল, অচীন ঠিকানা তোমার।
দিশা নেই,
জানা নেই তার খোঁজ।
স্তব্ধ থেমে থাকা দুপুরে,
মনে পরে, ফেলে আসা অপূর্ণ কথা।
জীবন থেমে ছিল এভাবেই,
ঠিক আজকের পড়ন্ত বেলার মত।
অথচ সময় চলছে টপ-টপ করে গড়িয়ে,
তোমার দেশে -
সূর্য ডুবে যাবে, হবে অন্ধকার।
আকাশের তারারা হাসবে -
নক্ষত্রের স্ত্রীর মত।
রাতের বাসে ফিরতে ফিরতে,
নিজের অজান্তেই ভাববে,
থেমে থাকা এই সোনালী দুপুরের কথা।
মনে পরে এমনি এক বসন্তের দুপুরে
পলাশ শিমুলের বনে,
দুচোখে চোখ রেখে
বলেছিলে-
বাধঁবে - রঙীন বাসর
মেঘের দেশে,
ভালবেসে ও- প্রিয়তমা।
ইচ্ছে হত-
তোমার মত ডানা মেলে উড়ে যেতে,
অজানায়-
মন পবনের দেশে।
মনের যোগ বিয়োগ মেলে না,
খুজে পায় না ঠিকানা।
রোদেলা ও গভীর লোনা জলের প্রান্তরে,
সে কেবলি ডুবছে,
থই থই বিষাদে।
ছবি: আমারই তোলা, কোন এক অলস দুপুরে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৪০