গলির শেষ মাথায় নির্জন কোনে তোমার ঠিকানা,
সাদাটে চার তলা দালানের গায়ে শেষ বিকেলের আনাগোনা,
সেদিন ছিল শীতের চাদরে মোড়া পৌষের আগমন,
তোমার কাজল চোখে দেখেছিলাম আমার অধঃপতন ।
শীতে কাবু কাক, বা ছোট্ট চড়ু্ইয়ের দল,
শেষ বিকেলের বাড়িফেরা মানুষের ঢল,
প্রকৃতি হাসছে সূর্যের আশ্বাসে,
আকাশে বাতাসে শীতের প্রশ্বাসে।
সেদিন ছিল ডিসেম্বরের শেষ দিন,
তোমার মায়াভরা নয়নে দেখেছিলাম আমার নিপতন ৷
সেদিন মৃত ঘাসেরা অভিশাপ দিয়েছিল ধুসর ধরনীকে,
চাঁদ, এক বাক্স পূর্ণিমার জোছনা দিয়েছিল, কোন ঘুমন্ত লক্ষ্মী পেঁচাকে ৷
মনের দরজা জানালা চিরতরে বন্ধ হয়েছিল,
কবরের হাড়গোড় ও আঁধ পচা মাংস জড় হয়ে, শেষ রাত অবধি জেগেছিল ৷
তখন থেকেই কোথাও নেই জীবন,
তাই মৃত আত্মা নিয়েই সহমরণ।
আমবস্যার অন্ধকারে ফিরে আসে সূর্যের জায়া,
খুজে ফিরে হারানো দলিত, বা ছায়া।
প্রনয় হারিয়েছে ধুসর শীতের নিমেষে ,
তোমার যাদু আখিতে, আমার অবুঝ হৃদয়ে।
-----------------------------------------
ডিসেম্বর এসেছে। সবাই এই মাসে ঘুরতে বের হয়, আনন্দ করে, পরিবার পরিজনের সাথে দেখা করতে গ্রামে যায়। এবছর অবশ্য আলাদা।
এ মাসের শেষ দিন যতই কাছে আসে, আমার ততই খারাপ লাগতে থাকে। ... এজন্যই এই কবিতাটি একটু ডার্ক হয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০