আমার এক সহকর্মী, দেশের তরুন সেরা আর্টিস্টদের একজন, বেশ কিছুদিন আগে কলকাতা গিয়েছিলেন। তসলিমা নাসরিন তার বন্ধু মানুষ। তাই একটি শাড়ি ও কিছু উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন। তসলিমার সঙ্গে তার দেখা হলো। আর্টিস্ট ভাই ভেবেছিলেন দীর্ঘদিন পর দেখা হচ্ছে, দেশ, সাহিত্য অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হবে। ভালোমন্দ দুটো কথা বলবেন।
কিন্তু কোথায় বন্ধুত্ব, কোথায় ভালোবাসা, উল্টো তসলিমা বাংলাদেশের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়লেন। দেশের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবা ভালো মানুষ-মন্দ মানুষ সবাইকে যাচ্ছে তাই ভাবে গাল দেওয়া শুরু করলেন। আমার আর্টিস্ট ভাই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি এসেছেন তার সঙ্গে দেখা করতে, খোজ খবর নিতে। গাল শুনতে নয়। এটা বলে তিনি তসলিমার বাসা ত্যাগ করেন।
তসলিমার দেশ ছাড়ার দাবিতে যখন দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়, তখন সাহায্যের জন্য তিনি একবার তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা তাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা তসলিমার পক্ষে দাড়িয়ে প্রগতিশীল হতে চাননি।
তারপরও হায়দ্রাবাদে সম্প্রতি তসলিমার ওপর মৌলবাদীদের হামলা সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না। বরং ভারত সরকারের সমালোচনা করি তসলিমাকে নাগরিকত্ব না দিয়ে রাজনীতি করার জন্য। ভারত সরকার যদি সত্যিই তসলিমার পাশে থাকতে চায়, তবে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত।
আর আমাদের বর্তমান সরকারও তসলিমাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগি হতে পারে।