আহ্লাদি আর মিষ্টি মুখের-
মানুষটাকে খুকী খুকীই লাগতো,
অনার্সটনার্স হয়তো পড়ে-
ক্লাশ আছে তাই হয়তো ভোরেই জাগতো।
কন্ঠ শুনেই খটকা জাগে-
কলেজ নাকি স্কুলেতেই পড়তো?
কি নিষ্পাপ আর তুলতুলে সে-
কন্ঠে যেনো মাখন গলেই ঝরতো!
কন্ঠ-ছবি সব ধোকা হ্যায়-
শুভঙ্করের ফাঁকি;
চমকে দেবে থমকে দেবে
কাঁপিয়ে দেবে গা কি!
না কেঁপে কি উপায়-
কেবল পড়বে তারই লেখা;
একাই তিনি অগ্নিশিখা
একাই বিষুব-রেখা!
ভাসিয়ে দেবে ডুবিয়ে দেবে
আটকে দেবে শ্বাসই;
ঘোরের জাদুয় ভুলিয়ে দেবে
হ্যামিলনের বাঁশী!!
শব্দ-সুরে ঝংকারে তার
মন কেমনের ডাক;
পুরান কথা,জানেই পাঠক-
আজ সে কথা থাক।
তারচে' বলি করেন
তিনি কি আর?
এই কবিটাই পেশায় নাকি
নিপাট ইঞ্জিনিয়ার!
ডিগ্রী আরও আধ ডজনের
পিএইচডিটাও সারা;
হয়নি 'সেকেন্ড' হয়নি 'হারা'
এই কবিটার দ্বারা।
ফুলটাইমে ভার্সিটিতে
মাষ্টারিও করেন!
আচ্ছা তিনি লিখেন কখন
কখন তিনি পড়েন?
ট্রাম্প কাকুরই দেশে
তিনি আছেন বীরের বেশে;
ছানা-পোনায় আছেন হেসে
প্রশান্তকূল ঘেঁষে।
গদ্য-শতেক,পদ্য-হাজার
শুনেই বাড়াই ভ্রু'টি;
ওমা, এ যে বিনয় দেবী-
গ্রন্থ মোটে দুটি!!
মানুষটা ঠিক যেমন-তেমন
মোম-মাখনের ঝালাই;
পাশের বাড়ীর মেয়েটিই যেনো
নেই ঠমকির বালাই।
মোটামুটি যেটুক বলা-
শোনাটুনার শেষে;
এই কবিকে এই মেয়েকে
না যায় ভালোবেসে?
ধ্যত্তেরি ছাই বাড়তি কথা
হবেটবে অন্যদিন;
এই যে কবি, প্রিয়মানুষ-
শুভ শুভ জন্মদিন।
কবি তুমি এভাবেই থেকো;
শিখা হয়ে জ্বলো আর ধ্রুপদিই এঁকো।
কবি তুমি খুব থেকো ভালো,
কবিতা ঋদ্ধ হোক, পেয়ে শিখার আলো।
কবি তুমি কবিতায় হেসো;
থেকো ভালোবাসায় আর শুধু ভালোবেসো।
বাজে ঢাক বাজে বীণ
বুকে উঠি রিনরিন;
ভালোবাসা ভালোবাসা
কবি 'শুভ জন্মদিন'।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩