স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা বিক্রি করে রুহুল
বিদেশী কোন দলের সাথে কিক্রেট ম্যাচ হলে এই পতাকার কাটতি দারুণ। এছাড়া রাষ্ট্রীয় জাতীয় দিবসে মোটামুটি চলে। এছাড়া অন্যসময়ে রিকশা চালায়।
সুপালিশার কার্তিক প্রতিদিন পনের কিলোমিটির যাত্রা করে ঢাকায় আসে
আশুলিয়া গ্রামে বাড়ী। মিরপুর বেড়ি বাঁধ থেকে তুরাগ পেরিয়ে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে গেলে তার বাড়ী। সকাল ৯টায় মিরপুরে তার সুপালিশের জন্য নির্ধারিত স্থানে আসে, ফেরে রাত আটটায়। প্রতিদিন পুলিশকে চাদা দেয় ত্রিশ টাকা।
বালুশ্রমিক রুস্তুমের মজুরী একশ বিশ টাকা
বুড়িগঙ্গার বালুর ট্রলারে কাজ করে। দুপুরে রুটি কলা খায়। চিতই পিঠা আর গুর কোনদিন। ডেইলী মজুরী থেকে ত্রিশ টাকা সঞ্চয় করে। রোগশোকে ভরসা তার সদরঘাটের ক্যানাভাসারের বড়ি।
সাবিনা ও তার ছেলে ফাহাদ ইট ভেঙে দুইশটাকা আয় করে
মিরপুর স্টেডিয়ামে কাজ করে। রাতে মা-ছেলে স্টেডিয়ামের সামনের খোলা মাঠে ঘুমায়। ছেলেকে নিয়ে একদিন শিশুপার্ক ঘুরিয়ে দেখিয়ে এনেছে।
শুক্কুর ও রশিদ শিশু বয়স থেকে হোটেল শ্রমিক
শুক্কুরের কথা হচ্ছে খাওয়ার চিন্তা নাই, এই কাজের চেয়ে আর কোন কাজ ভাল হতেই পারে না। তবে রশিদের বক্তব্য, অসুখ হলেই চাকুরী হারাবার একটা সম্ভাবনা থাকে।
এটিম বুথের সিকিউরিটি গার্ড আক্কাস আলী
কিন্তু সারাবেলা কাশে। ঈদকোরবানীতে যারা টাকা তুলতে আসে তাদের কাছে রোগের কথা বলে দশবিশটাকা উপার্জন করে। মাসিক বেতন আড়াই হাজার।
শীলখোদাইকারী সোলাইমান পাটাপুতার বিলুপ্তিতে আশংকাগ্রস্থ
আগের মত আর নাকি ঘরঘরে পাটাপুতা পাওয়া যায় না। প্যাকেটজাত মশলার আবির্ভাবে তার কর্মসংস্থান হুমকীগ্রস্থ। ভাবছেন, গ্রামে ফিরে যাবেন নয়তো একটা পান-বিড়ির দোকান দিয়ে বসবেন টংগীতে।
কাঠমিস্ত্রি রবিউল তিনহাজার টাকা বেতনে কাজ করে
তবে ঈদকোরবানীর সময় চারপাঁচ হাজারটাকাও আয় হয়। কাজীপাড়ার বড় একটা ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতো।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০০৮ দুপুর ২:২২