কোথাও কি ফেটে গ্যালো পাথরের বীজ!
দাঁড়িয়ে পড়েছে দালান পাতার আড়ালে
দুইহাতে আগলে রেখে নগ্ন ও কুমারী শরীর
দূরে দূরে জল, অলকানন্দিতা...
ধুয়ে ফ্যালো উদ্ধৃত পালক, ক্ষতচিহ্ন যতো
ম্রিয়মাণ খুলির প্রান্ত ঘেষে বেড়ে ওঠে দ্বিধার পালক
দ্যাখো
শীতার্ত সৌরদৈর্ঘ্য ক্রমবর্ধিত...
আমরা তো জানি এমন নিম-আলোয়, অন্ধকারে মুছে যায় ঈশ্বরের ছায়া
মৃতসব বন্ধুর মুখ
এই ঘর,সংসার ঘন হয়ে এলে গৌড়খণ্ডে ফেটে যায় হননের গান
০২
বেড়ে উঠেছে পাতার লাবণ্য বৃষ্টির আপেল ছুঁয়ে ছুঁয়ে
এ নগরে বালিকারা আজ আগুনের পালক কুড়াতে যাবে
তোমার কি শীত লাগে পাখি?
মধুবালা
মায়াবতী বৃক্ষের বোন তুমি
বুনো ভেড়ার সম্মুখে পক্ষ বিস্তার করে দাঁড়িয়েছে মাতৃকূল যতো
ডিম ভেঙে সদ্য হাঁটতে শিখেছে অবমুক্ত সারস শাবক
অথচ, পঙ্গপালের ঝাঁক উড়ে আসছে উত্তরের মাঠে
ব
হু
মা
ত্রি
ক
জ্যা
মি
তি
ক
ভাঁজ ভেঙে ভেঙে
গ্রাফাইট সৌরভ মিশে যায় হাওয়ায় হাওয়ায়
এক জন্মে আমিও কি তবে নীলকণ্ঠ ছিলাম!
০৩
ভেঙে যাচ্ছে অন্তঃসলিলা নদী ও নারী
আণবিক দীর্ঘশ্বাস ভেঙে পড়ে মানবিক সম্পর্কের ভাঁজে।আর আমাদের উদ্ধৃত জীবন, যাপনের বৈভব- নোঙর করেছে কবেই প্রতিপক্ষ বন্দরে বন্দরে
অতোটা মোহহীন কখনোতো ছিলাম না আমি
দেখি বন্ধুদের প্রগাঢ় আত্মাহুতি নক্ষত্রের নিষ্করুণ পৃষ্ঠদেশে চুম্বনের মতো দাগ রেখে যায়
স্থিত নই...
দৃশ্যকাব্য জুড়ে থাকে অজস্র কথার বুনন
এমন সান্ধ্য বারোমাসি, চৈতন্যের হাটে হাটে ছায়ার কম্পন
...গ্রহণকালে কী করে নিরাসক্ত হই বলো!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২৫