পবিত্র রমজান মাস এবাদতের মাস। মানুষ এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে বেশী বেশী করে স্মরণ করে নিজের আখেরাতের উন্নতি সাধন করবে, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু মসজিদে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অধিকাংশ মুসল্লিই পুরো ১১ মাস যেভাবে যে পরিমান সালাত আদায় করেন, রোজার মাসেও তাই আদায় করেন। অনেকে জানেনও না যে কখন কোন সালাত আদায় করলে কি ফায়দা আছে। তাই নিম্নে দুটো সালাতের ফজিলত বর্ণনা করা হলো। যদি কেউ নিজের এবাদত বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে অনুসরণ করতে পারেন।
(১) বিতরের নামাজের পর দুই রাকাত সালাত বা হালকি নফল সংক্রান্ত হাদিসঃ
মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাঃ) ...... উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বিতরের পরে বসে দুই রাকাত সালাত সংক্ষেপে আদায় করতেন। ( সুনানু ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১১৯৫)
(২) ৬ রাকাত আওয়াবিন নামাজ সংক্রান্ত হাদিসঃ
আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ) ......... আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরীবের পরে ছয় রাকাত সালাত আদায় করবে এবং এর মাঝে কোন মন্দ কথা বলবে না, তাকে বারো বছরের এবাদতের ছাওয়াব দেয়া হবে।
( সুনানু ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১১৬৭)
আমরা অধিকাংশ মুসল্লিগনই মাগরীব এর সালাত এবং এশার ওয়াক্তে বিতরের সালাত আদায় করেই উর্দ্ধশ্বাসে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাই। এমনকি যারা উপরোক্ত সালাত আদায় করার জন্য নিয়্যেত বাঁধেন, তাদের সামনে দিয়েই অতি বিরক্তিভরে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাই।
ভাইসব! দমটা চলে গেলে আর কিন্তু এসব এবাদতের সুযোগ পাবেন না। তাই সময় থাকতে নিজের আমল বৃদ্ধি করুন। এখন অভ্যাস করলে, পরবর্তিতে আর ছুটবে না। আপনার দেখাদেখি আরো দশজন আমলে উৎসাহি হবে .... যাযাকাল্লাহু খাইরান।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০