somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম ডাকাতিঃ (১)

০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবার জন্য ইহা নয়। শুধু মাত্র চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য।ইহা একান্তই আমার নিজের চিন্তা চেতনা আমার গবেষনার ফল। কাউকে নির্দিষ্ট করে আঘাত দেয়া উদ্দেশ্য নয়। ভাল না লাগলে পড়বেননা। বানান গত ভুল হতে পার ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

কোরান মানুষের জন্য; মানুষ তার নিজেকে চিনবে, জানবে, নতুন সৃষ্টি হবে তার জন্য আগত।কোরানে সব কথাই মানুষকে ঘিরে।


ধর্ম ডাকাতিঃ
গ্রন্থখানির নাম ধর্ম ডাকাতি সহ মোট পাঁচখানি প্রবন্ধ প্রবন্ধ সন্নিবেশিত হয়েছে। কোরান ও হাদিসের যে গূঢ়ার্থ রুপক আবরণে লুক্কায়িত তার ভেদ হকিকত উন্মোচিত করে সৃষ্টি তত্ত্ব রহস্য জ্ঞান-প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ গ্রন্থাকার পাঠকের সামনে নিরপেক্ষ ধর্ম জগতের এক নতুন ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। এ যাবতকাল কুরানসহ সকল ধর্মগ্রন্থের বানীসমুহ আক্ষরিক অর্থেই অনুসরন করা হয়ে আসছে। যাদের দ্বারা ধর্মীয় সমাজ পরিচালিত হয়ে আসছে সেই অজ্ঞ-মূর্খ মোল্লাতন্ত্র কুরান এর রুপক অংশটিকেই আসল মনে করার এবং রুপকের অন্তরালে নিহিত সত্যের অনুসন্ধানের

অনুসরনীয়
আল্লাহমা ইকবাল বলেছেন, মোলবী সাহেবদের আমার সালাম জানিয়ে বল তারা কোরানের যে অর্থ করেছে এতে আল্লাহ ও জীবরীল তাজ্জব বনে গেছেন।
মোলানা রূমী বলেছেন, কোরানের মগজ আমি উঠীয়ে নিলাম হাড্ডি গস্ত কুকুরের জন্য রাখলাম।তিনি আরও বলেছেন যে কোরানের সমুজ্জল অর্থ (established meaning) আছে, কিন্তু মৌলবী সাহেবদের মন গড়া অর্থে কোরানের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়েছে। কাঠামোগত আক্ষরিক অর্থ করে মৌলবী সাহেবরা কোরান বুঝে ফেলার যে গর্ব করে, তাদের গর্বের সাথে এক মাছির গর্ব তুলনা করে রূমি বলেছেন এক মাছি সমুদ্র যাত্রা আর নাবিকগীরীর গর্ব করত; একদিন ঐ মাছি গাধার পেশাবের উপর ভাসমান এক ঘাসের পাতার উপর বসে গর্ব করতে লাগল; এইত সমুদ্র,(গাধার পেশাব), এইত জাহাজ (ঘাসের পাতা) আর আমি ইহার সুদক্ষ নাবিক! গাধার পেশাব যেমন মাছির দৃষ্টিতে সমুদ্র মৌলবীদের দৃষ্টিতে কোরানের আক্ষরিক কাঠামোগত অর্থই মহাজ্ঞান!

জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন, “জিঞ্জির পায়ে বসে টীয়া চানা খায় গায়শেখানো বোল, বন্য-বরাহ-পঙ্ক ছিটাক…; খুজিয়া দেখিনু মুসলিম নাই কেবল কাফের ভরা”। অন্যান্য জ্ঞানী-গুনিজনও মৌলবী মৌলানাদের গুমরাহী তুলে ধরে, একই পন্থায় বক্তব্য রেখেছেন।মৌলবী সাহেবরা জ্ঞানীদের অত্যাচার করলেও এবং কাফের আখ্যা দিলেও সর্ব সাধারন লোক যখন জ্ঞানীদের স্বীকৃতি দিয়েছেন তখন বেগতিক দেখে মৌলবীরাও জ্ঞানীদের স্বীকার করে নিয়েছে।কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা আজও হয়নাই। যে রুমী-গাজ্জালী-হাফেজ-মনসুর-সারমাদ-ইকবাল-নজরুলকে কাফের বলা হল, পরবর্তী কালে আবার তাদেরকে শ্রদ্ধা করতে হল, এ পরাজয় থেকে শিক্ষা গ্রহন করা উচিত ছিল যে, পরবর্তীকালে এমনটি আর না হয়। কিন্তু শিক্ষা তাদের হবার নয়।যখনই জ্ঞানীগন কোরানের হকিকত সত্য প্রকাশ করেন, মৌলবাদীদের অজ্ঞতা-মূর্খতার কারনে তা বুঝতে না পেরে ওয়ারিসী স্বভাব অনুযায়ী তারা বিরোধিতার জন্যে বিরোধিতা করে।এইরুপে মাদ্রাসা পড়ুয়া আরবী বিদ্যানদের দৌরাত্বে জ্ঞান প্রচার বাধা প্রাপ্ত হওয়ায় মুসলিম জাতির অধঃপতন হয়েছে।কাট্টা মৌলবাদীরা এখনো বলে বেরায় যে, চাদে মানুষ গেছে এটা যে বিশ্বাস করবে সে কাফের হবে। হেন অর্বাচীনদের দ্বারা মুসলমানদের ধর্মীয় সমাজ ঠিক মত চলবে এ বিশ্বাস মূসলিম আমীর-বাদশাহ-রাষ্ট্রের কর্নধারগনের থাকে কেমন করে।
এখনো কিছুসংখ্যক বকধার্মিক মাওলানা বলেন, চাঁদে মানুষ গেছে এ কথা বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবে না।এই মুর্দাদের দ্বারা মুসলিম ধর্মীয় সমাজে পরিচালিত। মুসলীম দেশে এরা সরকারী আনুকূল্যে চালিত, সরকারী মদদে পুষ্ট। কোরান জ্ঞানই হচ্ছে সৃষ্টি বিজ্ঞান আর সৃষ্টি বিজ্ঞান হল বস্তু জগতের কর্মশীলতা।সৃষ্টি বিজ্ঞান-কুরান জ্ঞান কেউ তুলে ধরলেই ঐ মুর্খরা মিছিল করে, শ্লোগান দেয়, “আল্লাহর জাত জগতে ঢুকেছে, কাফের হয়েছে”। এদের বিরোধিতার প্রথম সুর হচ্ছে “ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছে”।সরকারী শাসন-প্রশাসন-বিচার জ্ঞানীদেরকেই জেলহাজতেই খাটায়।জ্ঞানের বিরুদ্ধে মুর্খদের হেন তৎপরতা সরকারকেই কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। তখন কোরান জ্ঞান প্রকাশিত হবে। নাহলে মুসলিম জাতি নামে পরিচিত এতো বড় জাতিটা বুঝি আর টিকছে না।

রুপক প্রতীক অলঙ্কারিক কি তা জানতে হবে। সাদৃশ্যপূর্ন রুপক (তাশাবাহা) ব্যবহার যে সত্য বোঝানো হয়েছে সেই সত্য অনুসরন করতে হবে, তাশাবাহা বর্জন করতে হবে। আল্লাহ যখনই বললেন যাদের অন্তরে বক্রতা আছে(মানে যারা কাফির), তারা অনুসরন করে যা তাশাবাহা(রুপক) বিদ্রোহের উদ্দেশ্যে এবং অর্থের অন্বেসনে-(সুরা ইমরান-৭)।তখনই ধর্মের মাওলানা সাহেবরা বলে ফেললেন যে, তারা কোরানের তাশাবাহা অংশ অনুসরন করেননা, আসলটা অনুসরন করেন। যারা “তুর পাহাড়ের গায়ে লেখা”-অর্থে পার্থিব তুর বুঝে আর পার্থিব তুর পাহাড়ের গাত্রে আল্লাহর লেখা কোরান খুজে; মানব-হৃদয়ে সবকিছু লেখা বুঝে না, তারা কোরান অনুসরন করতে আক্ষরিক কাঠামো বুঝেন এটা স্বীকৃত। কাজেই তাদের অন্তরে বক্রতা আছে; তারা তাশাবাহায় লিপ্ত।আমীর-বাদশা-রাষ্ট্র পরিচালক ও শিক্ষিত লোকেরা ঐ বক্র অন্তরের লোকদের কোরান জানাওয়ালা আলেম রুপে মেনে নেওয়ায় তারাও কোরান সম্পর্কে উদাসীন হিসাবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করলেন। এখন অন্ধ ও অজ্ঞদের মুর্খতা অপসারন করতে হবে; দেশ ও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে হবে। অন্ধ ধর্ম ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা বিলোপ করতে হবে।

কোরান দৃষ্টান্ত দেওয়া হল উপমা দেওয়া হল, রুপক-প্রতীক আনা হলো সত্যকে চেনার জন্যে;নামাজ-যাকাত-হজ্ব-কোরবানী অনুষ্ঠনাদী দেওয়া হল সত্যকে জানার জন্য।অথচ সত্য কেউ চায় না, বাহ্যিকটাতেই সবার মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে।অবস্থা এখন এমনই দাড়িয়েছে যে, সত্যের প্রচার বলতে আর কিছুই নাই। আক্ষরিক বিদ্যা শিক্ষার মাদ্রাসা থেকে তাসাহবাহা (রুপক) অনুসরন করায় কুফলে জাতি আজ অধঃপতিত। জনগনের কষ্টার্জিত টাকা ব্যয়ে হেন মাদ্রাসা চালু রাখার যৌক্তিকতা অনুপস্থিত।এ মাদ্রাসা বন্ধে ক্ষতির কিছুই নাই বরং লাভ অনেক।কোরানের কদর্থ-বিকৃত অর্থ প্রচার বন্ধ হবে, কোরানের অভিসম্পাত থেকে জাতি রক্ষা পাবে, মাদ্রাসার পরীক্ষার সময় নকল করার জন্যে কোরানের ছেড়া পাতা পায়খানায় ফেলা হবে না, মুজার ভেতর পায়ের নিচে রেখে কোরানকে বেজ্জতি করা হবেনা।
মানুষ জানাই আল্লাহকে জানা। কুরানের মধ্য দিয়ে যখন আল্লাহকে জানা যাবে, এ কোরান নিঃসন্দেহে মানুষ কোরান তা সুনিশ্চিত। আল্লাহ এক অদ্বিতীয়; মানুষও এক অখন্ড অদ্বিতীয়।যার দ্বিতীয় হয়না তাই অদ্বিতীয়। এক করিম এর দ্বিতীয় এই পৃথিবীতে কোথাও কেউ পাবেনা তথা এই পৃথিবীতে এক করিম একজনই, দ্বিতীয় কোন করিম এর মত ঐ মানুষ আর তার জন্মের পূর্বে ছিলনা, নাই এবং হবেও না। মানুষও নিরাকার ছিল, আকারে এসেছে, আবার নিরাকারে হারিয়ে যাবে।মানুষই আল্লাহর গুনে গুনাম্বিত। মাওলানা রুমী বলেছেনঃ মানুষ আল্লাহ নয় আবার আল্লাহ হতে জুদাও নয়।হযরত রসুল (সঃ) বলেছেন, কোরানের দু’রকম অর্থ আছে-একটা সমুজ্জল অর্থ (established meaning) অপর অংশটি রুপক (allegorical meaning)।তিনি আরও বলেছেন, কোরানের রুপক অর্থে যে বিশ্বাসী নয় সে মুসলমানই নয়। কিন্তু মুসলিম জাহান রুপক প্রতীক সম্পর্কে এওতই বেখেয়াল, যেন মরফিয়া নেশায় সংজ্ঞাহীন।ওহী কালাম সংকলিত কাগজের কোরান কেচ্ছা কাহিনী (সুরা ইউনুস-৩)।কাহিনী মানে রুপক কাহিনী যা সত্য প্রকাশের উছিলা। ওহী কালাম রুপক।আল্লাহমা ইউসুফ বলেছেন-in a sense the whole of the Quran as both established meaning and allegorical meaning. মোট কথা সমস্ত কোরান সমুজ্জল অর্থ এবং রুপক অর্থ রয়েছে। সমুজ্জল অর্থ সম্পর্কে খোদ আল্লাহ বলেছেন আমি সুস্পষ্ট নিদর্শন নাজিল করেছি (বাইয়েনাত আয়াত) যে তোমরা সতর্ক হও(সুরা নুরঃ১)। আমি পরিষ্কার নিদির্শন নাজিল করেছি (মুবাইয়েনাত আয়াত)। যেই আয়াতে রুপক সেই আয়াতেই সমুজ্জল অর্থ লুকায়িত। আয়াত ভাগ হবেনা, বরং উহার ভিতরেই সত্য সমুজ্জল অর্থ খুজে পেতে হবে। অথচ মোল্লারা অর্থকেই ভাগ করে ফেলেছে। সত্যকে বুঝাতেই একটি রুপকের আবরন দেয়া হয়েছে।আয়াত অর্থ কাগজের কোরানের কিছু অংশ বা লাইন নয়। আয়াত এর অর্থ ব্যপক। কোরানের লাইন-কে কালাম বলা হয় আয়াত নয়। তবে পরোক্ষভাবে একে আয়াত বলা যেতে পারে। আয়াত অর্থ নিদর্শন, পরিচয় ইত্যাদি। যেমন- “ছানুরিহিম আয়াতেনা ফিল আফাকে”-অর্থাৎ সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুই স্রষ্টার নিদর্শন।নির্মম সত্য এই যে, ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলানা-পীরগনের মধ্যে একজনও পাওয়া যাবে না যিনি বাইয়েনাত আয়াত বুঝেন। বড় বড় মসজিদের অনেক ইমামগন বাইয়েনাত আয়াত বুঝেননা।অথচ তারা ভান করেন যে তার সব বুঝেন। বাইয়েনাত আয়াত নিজেকে চেনার এমনি আয়াত যে যে কোনো একটি বাইয়েনাত আয়াত (নিজেকে চেনার জন্য) শিক্ষার আলো দ্বারা সমস্ত কোরান শিক্ষা আয়ত্ত করা যাবে। আল্লাহ একই, বিভিন্ন প্রসঙ্গে বারবার বলেছেন (যুমার-২৩)।কাজেই যে কোন প্রসঙ্গে “একটি কথা” জানাই সমস্ত কোরান জানা তথা নিজেকে চেনা জানা।এটাই আরোহ জ্ঞান বৃত্তির দর্শন (inductive philosophy); এবং কোরান আরোহ অবরোহ উভয় দর্শনের ভাণ্ডার। তবেই মানুষকে জানা যাবে।মাদ্রাসায় আরোহ-অবরোহ কোনো দর্শনই নাই; তাই মাদ্রাসায় কোরান শিক্ষা নাই, কোনদিনও ছিলনা।
“তুর পাহাড়ের গায়ে আমি সবকিছু লিখে দিয়েছি”-কোরানের এই কথায় তুর পাহাড় রুপক। পাহাড় দ্বারা বস্তু বুঝায়, পাহাড় দ্বারা পাঁচ বস্তুর দেহে ক্বাল্ব (অন্তঃকরন) বুঝানো হয়েছে।তুর দ্বারা যখনই কালব বুঝানো হল, তুর তখন ক্বালবের সুস্পষ্ট রুপক বাইয়েনাত-মুবাইয়েনাত আয়াত হল; সেই সাথে মানুষকে চেনানো হল।কাগজের কোরানের পথ নির্দেশনা এই পর্যন্তই। এর পর নিজ অন্তঃকরনে লেখা “মোহকামাত আয়াত” শিক্ষা করতঃ মানুষকে চিনতে হবে।মানুষকে চেনাহলে আল্লাহকে চেনা হবে; মানে তুর দ্বারা সবকিছু জানা শোনা হবে।কিন্তু তুর দ্বারা ক্বালব না বুঝে আক্ষরিক অর্থে শুধু পার্থিব পাহাড় বুঝলে তখন হয় রুপক কেচ্ছা অনুসরন, সুস্পষ্ট নিদর্শন ক্বালব হয় না, বাইয়েনাত আয়াত হয়না। রুপক অংশ অনুসরনই তাশাবাহা অনুসরন আর তাশাবাহা অনুসরন হচ্ছে বক্র অন্তঃকরনের কাজ।তখনই বিপথগামী হতে হয়। এই ভুলপথে অনুসরনে মুসলিম জাতি পার্থিব তুর পাহাড়ের গায়ে খোদার লেখা খুজে বের করার জন্য অনেক খোজাখুজি করছে, মুসলিম জাতি মূর্খ জাতি এটাই প্রমান রেখেছে।তুর পাহাড় দ্বারা ক্বলব্চেনা আর ক্বলব্চেনাই অর্থ হল নিজেকে চেনা। এটাই আরোহ দর্শন।

অন্তঃকরনের লেখা পাঠ করা মানে বাইয়েনাত আয়াত থেকে পথ নির্দেশ পেয়ে আক্ষরের কোরান ছেড়ে অক্ষরাতীত দেহ কোরান পাঠ করা। ক্বালবের লেখা অনন্ত অসীম। এখানে বস্তুগুনের(matter and properties)অনন্ত অসীম সৃষ্টি লীলা। ফেরেশতা জগতের হালচাল, বিভিন্ন বস্তুর দেহ-রং-স্বাদ-মোকাম-মঞ্জিল সব কিছু ক্বালবের লেখা আছে।এ লেখার শেষ নাই তাই রুপক আকারে নাজেল করা হয়েছে-তুর পাহাড়ে গায়ে সব কিছু লেখা আছে। বস্তুত এ অসীম লেখার আধার-“মোহকামাতুন আয়াত”।মোহকামাত অর্থ হুকুম আহাকা (আদেশ-আদেশাবলী) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।এ আদেশ আদেশাবলী কথার আদেশ নয়। যেমন-বাতাস বস্তুর আত্না রুহ ইনসানী আর এর গুনাবলী হচ্ছে-হেলা,চলা,ফোলা,কাঁপা,জমহাই বা ক্ষেপন (Oscillation, Motion, Expansion, Vibration, Increment)।এইরুপ অন্যান্য বস্তু আথার প্রত্যেকের পাঁচ পাঁচটা গুনাবলী র্যেছে। এই গুনাবলী জগতই “মোহ-কামাতুন”। ইমাম গাজ্জালী বলেছেন- আত্না আদেশ, সে আদেশ নয় যার নিষেধ আছে।যেমন- বাজারে যাও, এ আদেশের নিষেধ আছে, -বাজারে যেও না।আত্না আদেশ অর্থে এরুপ কথা র আদেশ নয়।একটি চারা গাছ দিন দিন বড় হচ্ছে। কথার আদেশে বড় হইনা, আত্না ও আত্নার গুনাবলীর সে বড় হয়। মোহকামাত অর্থে এরুপ মোশন বুঝতে হবে, যে আদেশ জগত সৃষ্টি চলে।খোদার হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না, এ হুকুম কথা হুকুম নয় বরং মোহকামাতুন আদেশ। মৌলবাদিদের সাধ্য নাই, এটা বুঝবে।
হুকুম মাত্র একটি। কথার হুকুম হলে অসংখ্য হবে আর আল্লাহ কেবলি বলতে থাকবেন আম গাছের পাতা ঝর, কাঠাল গাছের পাতা ঝর, সেগুন গাছের পাতা ঝর, হাজী সাহেব নারী পাচার কর, ইমাম সাহেব ছাত্রীর উপর বলাৎকার কর, আর পাপ কাজের দায়দায়িত্ব খদায় নিবেন। আক্কাহর হুকুমে কারবালায় নবী বংশ শেষ হয়েছে, আমাদের কিছু করার কিছু ছিলনা’-এজিদ ও আলেমগন আল্লাহর হুকুমের স্বরুপ কদার্থ করেছে; এইত ধর্ম ডাকাতি। খোদার হুকুম অর্থে কথার হুকুম-মাদ্রাসার এরুপ শিক্ষায় বিজ্ঞানময় মোশন আদেশ পাথর চাপা পড়েছে।“আত্না আদেহস”-অর্থে মাদ্রাসায় শিক্ষা করা হল চরম মূর্খতাপূর্ন কথার আদেশ আর সমাজকে ধমকান হলো-আল্লায় আত্না সম্পর্কে কিছুই বলেননাই। মূর্খদের কাছে আত্না সম্পর্কে কিছু বলা হয়নাই, এটা ঠিক; কিন্তু জ্ঞানীদের কাছে সবই বলা হয়েছে যে, “আত্না আদেশ”।এখানে উল্লেখ করা যায় শরিয়তের হুকুম বলতে যারা কথার হুকুম বুঝে, তারা অজ্ঞ, মূর্খ, ধর্ম ভ্রষ্ট। মুসলিম জাতি এই মূর্খতার শিকার।মানব-রুপই আল্লাহর রুপের প্রকাশ বা শরীয়ত।এই “রুপ” ঠিক রাখাই শরীয়ত ঠিক রাখা।
পাঁচ বস্তু গুন সহ এক সাথে বিদ্যমান থাকায় প্রত্যেক বস্তুর গুন পরষ্পর অনুপ্রবিষ্ট।কাজেই আত্ন প্রকাশের ক্ষেত্রে গুনে গুনে পূরন (multiplied) হয়ে পাঁচ পাঁচা পঁচিশ গুন হয়।পাঁচ বস্তু আত্না সহ এই গুনাবলীর সংখ্যা দাঁড়ায় ত্রিশ যা মানবের সূক্ষ্ণদেহ তথা অজুদ কোরান। এই ত্রিশ মোহকামাতুন আয়াত-যা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা। এই ত্রিশ-মোশন আদেশ, এই ত্রিশ কুরানের ভিত্তি উম্মুল কেতাব। এখানেই থেকেই পৃথিবীর সৃষ্টি। খোদা বলেছেন—উহাই কেতাবের ভিত্তি যার অপর অংশ মতাশাবেহাতুন মানে প্রতীক (symbolical); যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তারা অনুশরন করে যা তাশাবাহা মানে দ্ব্যর্থক, রুপক বিদ্রোহের উদ্দেশ্যে এবং অর্থের অন্বেষণে। কিন্তু উহার অর্থ কেউ জানেনা আল্লাহ ছাড়া…এবং গভীর জ্ঞানের মানুষেরা উহা জানে ( সুরা আল-ইমরানঃ৭)। যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তাদেরকে কাফের বা মুশরিক বলা হয়েছে। যারা তুর দ্বারা ক্বালব বুঝে না, পার্থিব তুর বুঝে তারা সত্যকে ঢেকে রুপক অংশ তাশাবাহা অনুশরন করে। এই রুপে তারা সত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং পার্থিব ‘তুর’ এর অর্থ অন্বেষণ করতঃ তুর পাহাড়ের গায়ে খোদার লেখা খুজে। উক্ত আয়াতে “অর্থের অন্বেষণে” এ কথাটার মর্মই আজ আলেম মাওলানা, ব্যবসায়ী পীর এবং উচ্চ শিক্ষিত লোকের অনেকে অনুধাবন করতে সক্ষম হন নাই।রুপক প্রতীকের কোন অর্থ নাই, অর্থ আছে উহার- রুপক প্রতীক ব্যবহারে যাকে বুঝানো হয়। যেমন তুর রুপক; এর অর্থ নাই। সব অর্থ ক্বালবে নিহিত কিন্তু কুরান তরজমাকারীগন এতই দ্বায়ীত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে যে, রুপক পাহাড়েরই অর্থ করে ফেলেছেন আর আসল সত্য ক্বালবকে দিয়েছেন পাথর চাপা।তদ্রুপ-,’দুই নদী মিলাইয়া দিয়াছি ( মারাজাল বাহারাইনে…), এ দুই নদী জাত ও সিফাতের গুন শক্তির নিয়ত ঝরনা ধারা-যে ঝরনা ধারায় সমস্ত সৃষ্টি- এ সৃষ্টি বিজ্ঞান বুঝতে না পেরে রুপক হিসাবে ব্যবহৃত “দুই নদী” যার অর্থ নাই, তারই অর্থ করে ফেলেছেন ইউফ্রেতাস-তাইগ্রিস; পদ্মা-মেঘনা। এটা কি রকম অজ্ঞতা, মূর্খতা আর ধর্ম ডাকাতি? একই শক্তি জাত ও সিফাতের সাথে বিপরিত মুখী দুই শক্তিরুপে সৃষ্টি ঘটনায় নিয়ত প্রবাহমান, এ সৃষ্টি বিজ্ঞান জ্ঞানী লোকদের জানার বিষয় বস্তু। কিন্তু অজ্ঞ-মূর্খ লোকেরা ইউফ্রেতাস-তাইগ্রিস দিয়ে পাথর চাপা দিচ্ছে।মাদ্রাসা বিদ্বানদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে আক্ষরিক বিদ্যা। জ্ঞান-বিজ্ঞান-সাহিত্য সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল তারা নন।রুপক প্রতীক কি, তারা না বুঝুক কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা এটা বুঝবে না-এটা দুঃখজনক।তিন মাথার কাছে বুদ্ধি নিও’-রুপক প্রবচনটির অর্থ নিরক্ষর লোকেরাও জানে যে প্রবীন অভিজ্ঞ লোকের কাছে বুদ্ধি নিতে হবে, কেই যদি সত্য সত্যই তিন মাথা ওয়ালা মানুষ খুজে তাকে যদি বে-আকল বলা যায়, তবে তুর অর্থে পার্থিব তুর পাহাড়, দুই নদী অর্থে পার্থিব ইউফ্রেতাস-তাইগ্রিস বুঝনেওয়ালাদের বে-আকল বলা যাবেনা কেন? কোরানে উপদেশ আছে, যা যা বুঝেনা তা যেন সে অনুসরন না করে। রুপক-প্রতীক-আলংকারিক (Allegorical, symbolical, meta pho rical) যারা বুঝে না, কোরান হাদিস প্রচার করার কোন অধিকার তাদের নাই।
কোন গল্প কবিতা রুপক হলে লেখক বলে দেননা যে তার রচনা রুপক। বুদ্ধিমান পাঠক পড়লেই বুঝেন উহা রুপক। কিন্তু-‘কোরান রুপক’-এ কথার দ্বারা আল্লাহ রসুল বলা সত্ত্বেও মাদ্রাসা পড়ুয়া আরবী বিদ্বান ও উচ্চ শিক্ষিত অনেকে তা বুঝলেননা। মুসলিম জাতির দিন মজুর থেকে রাষ্ট্রের কর্নধার আমীর-বাদশা, প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত আক্ষরিক অর্থ-রুপক-তাশাবাহা অনুসরনকারী।পুঁথি-পুস্তক ঈ বেতার-টিভিতে “রুপক কেচ্ছা” কোরান প্রচার নামে চলছে।অথচ রুপকটা আল্লাহর বক্তব্য নয়, রুপক-প্রতীক আল্লাহর বক্তব্যের সাদৃশ্যাত্নক আবরন (illustrated clothing) মাত্র।কুরানের এক চমকপ্রদ শিক্ষা এই যে, ‘তুর’ দ্বারা ক্বালব্(অন্তকরন) বুঝলে ইহা আল্লাহর বানী-বক্তব্য হয়, কোরান হয়। কিন্তু তুর দ্বারা পার্থিব তুর বুঝলে ইহা রুপক তাশাবাহা অনুসরন হয়।রুপক-তাশাবাহা আল্লাহর বক্তব্য বানী বা কোরান নয়।সত্যকে গোপন করার জন্য মুসলিম জাতির অধঃপতন হয়েছে।সত্য তুলে ধরা হল।বেতার-টিভি সর্বত্র ওহীকালামের আক্ষরিক-তাশাবাহা তথা ধর্মভ্রষ্টতার প্রচার চলছে।এটা বন্ধ হোক।
যে সব আয়াতের অর্থ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা, সে’সবই মোহকামাত আয়াত,খোদার নূর জগত।সেসব আয়াত শিক্ষা করাই কোরান শিক্ষা। মোহকামাত আয়াত শিক্ষায় হওয়া যায় আল্লাহর দল তথা হিজবুল্লাহ।কাগজের কোরানের সব চেয়ে বড় আলেম ইবলিস, এটি স্বীকৃত। মোহকামাত আয়াতের অর্থ কিন্তু ইবলিস জানেনা। মাদ্রাসা পড়ুয়া কাট্টা মৌলবাদী মোল্লারা কাগজের কোরান জাননে ওয়ালা।তারা মোহকামাত আয়াত জানেনা।তাদের কথায় তারাই শয়তানের দল-হিজবুস শায়াতিন হয়ে যায়। নিজেকে চেনার আগে যদি নিরাকার কোন উপাসসের উদ্দেশ্যে অনুমানে উপাসনা না করত, তাহলে তাদের এ দূর্গতি হতনা।কোরান নাজিল হয়েছে মানুষের শিক্ষার জন্য যত রকম আয়াত আছে সবই মানুষে জানবে। আলেফ লাম মিম, আলেফ-লাম-রা, হামিম ইত্যাদি বিক্ষিপ্ত অক্ষরগুলোকে যেহেতু অবতীর্ন কেতাব বলা হয়েছে, এসব অক্ষর গুলোর রহস্য অবশ্য অবশ্যই জানতে হবে। কোরান অনুবাদকারী প্রায় সবার অভিমত যে, এ অক্ষরগুলো এমনই দেয়া হয়েছে, এটা আরবী ভাষার রেওয়াজ, অথবা আল্লাহ ছাড়া ইহার অর্থ কেউ জানেনা।অর্থাত তারা অজ্ঞ, গোমরাহ হযরত (সঃ) প্রচলিত আরবী ভাষায় আটাশ অক্ষরের সাথে আরও দুটি অক্ষর (লাম আলেফ ও হামজা) যগ করলেন। একজন নিরক্ষর নবী ভাষার অক্ষর বৃদ্ধি করেন কোন জ্ঞানের আলোকে এবং কোন প্রয়োজনে তা কি জানার বিষয় নয়?ভাষার অক্ষর জ্ঞান নয়। মোহকামাত আয়াত জানলেই দেখা যাবে ভাষার অক্ষরের মধ্যে জ্ঞানের বিষয়বস্তু বিধৃত আছে। একটা কথার মত কথা, বিশেষ চমক লাগানো কথা যে মহকামাত আয়াত আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা।এখানেই চিহ্নিত হয়েছে আল্লাহর দল হিজবুল্লাহ আর শয়তানের দল হিজবুশ শায়াতিন। কোরানিক ধর্ম মানুষকে জানা ছাড়া আর কিছুই নয়। মোহকামাত আয়াত শুধু মানুষ সম্বন্ধীয়।
যাদের জ্ঞান শিক্ষা আরম্ভ হয় উপর থেকে, মানে শুন্য থেকে-তাঁরা প্রথমে শিখবেন মোহকামাত আয়াত, পরে দেখবেন নিজ দেহে উহার প্রতীকী রুপ মোতাশাবেহাত।আর যারা নীচ থেকে আরম্ভ করে জ্ঞান শিখবেন্ম তারা প্রথমে বাইয়েনাত আয়াত, তারপর মোতাশাবেহাত, মোহকামাত এই পন্থায়।ওহীকালামা কাগজের কোরান পাঠ করার সাথে অজুদ কোরান, মতলেক কোরান, নাতিক কোরান, লওহে মাহফুজের কোরান তেলাওয়াত হবে। সুরা ফাতিহা কাগজের ত্রিশ পারা কোরানের মুখবন্ধ। অর্থাৎ ত্রিশ পারা করান খোলা হয়েছে সুরা ফাতিহা দ্বারা (ফাতিহা শব্দের অর্থ খোলা) এ কথা রুপক। এর বাস্তব সত্য হচ্ছে-ত্রিশ মোহকামাত আয়াত দ্বারা গঠিত মানব দেহ খোলা হয়েছে আল্লাহর বিশিষ্ট সাত সিফাত-ছামিউন, বাছিরুন, হাইউন, আলিমুন, কালিমুন, কাদিরুন, মুরিদুন (শ্রবণ শক্তি, দৃষ্টি শক্তি, জীবিত শক্তি, বোধ শক্তি, বাকশক্তি, তাকত শক্তি, সংকল্প শক্তি)দ্বারা।কালেমার জ্ঞান দ্বারা রুপক-প্রতীক ও বাস্তবতা সব জানা যায়। আল্লাহর কালিমুন সিফাত পেয়ে মানুষ হলো নাতিক কোরান (ব্যঙ্গময় কোরান)-যে কোরান কথা বলে। নাতিক করান –‘মানুষকে’ চেনানোর জন্য তেইশ বছর তক ওহী প্রেরীত হয়েছে। মানুষকে চেনানোর ওহী কালাম কাগজে সংকলিত হয়ে বিপথগামী মৌলবাদীদের কাছে আল্লাহর তরফের নজুল কেতাব হয়ে গেল-অথচ আল্লাহর আত্না সহ আল্লাহর খাস মোহকামাত আয়াতের মানুষ কেতাব কোরান নাম থেকেই বাদ পড়ে গেল।মানুষকে কোরান না বললে কাগজের কোরান আর কোরান থাকেনা। কেননা- মানুষকে চেনানোর জন্যই ওহী।
এজিদ মাওলানার মুনাফিকিতে কাগজের কোরানকে সম্মান করা হয়েছে,আল্লাহর নুরে মানুষ-কোরান কে ঘৃনা করা হয়েছে।এর জবাব জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম দিয়েছেন এভাবেঃ “পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল,মুর্খরা সব শোন,মানুষ এনেছে গ্রন্থ;আনেনি মানুষ কোনো;।ওহী কালামকে কেতাব বানানোর কথা আল্লাহ রসুল বলেননি। কেতাব বানানো হলে কাগজের কেতাবকেই আল্লাহর তরফ থেকে একমাত্র নজুল কেতাব বলা হবে, আসল কেতাব নিজেকে ভুলে যাবে, গোম্রাহী এসে যাবে-আল্লাহ-রসুল এটা ভাল করেই জানেন। হলোও তাই। খোদার তরফ থেকে মানবস্বত্তা বিশ্বস্ত আত্না সহ নাজেলই নজুল কেতাব (নাজালা বিহি রুহুল আমীন) এটা ভুলেছে, কাগজের কেতাবকে আল্লাহর তরফের নাজেল করা কেতাব বলেছে। আরে এই কোরানত কাগজে ছাপা হয় কালি দিয়ে, ইহা যদি আল্লাহর তরফ থেকে হত তাহলে আল্লাহ মানুষের সৃষ্টি ছাপা যন্ত্র সাহায্য নিলেন কেন? নিজেইত ছাপা কাগজে ছাপিয়ে আসমান থেকে ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে পারতেন।এ পৃথিবীটা জড় জগত, মুর্দা জগত, অচেতন জগত, আপেক্ষিকতার জগত, ধ্বংশশীল জগত।এ ধ্বংশশীল জগতের ধ্বংশশীল কাগজ-কালিতে আল্লাহর কদিম শাশ্বত কোরান থাকা, আপেক্ষিকতার সলিনে নিরবধিকাল চেতন-কোরান থাকা, ধ্বংশশীল কাগজ কালিতে সমস্ত বিষয়ের মিমাংসা তিনিত্বের ফোরকান থাকা-, এযে কতবড় মুর্খতা, এটা উপলব্ধি করার মানসিকতা রাষ্ট্র পরিচালকগণ ও শিক্ষিত সমাজের মধ্যে কি জাগ্রত হবেনা? মানব সন্তানেরা অজ্ঞ মুর্খদের ধোকাবাজি দ্বারা পিষ্ট হতেই থাকবে?যে কোরান পাহাড়ে নাজেল হলে পাহাড় চুরমার হয়ে যায়, সে কোরান কাগজ ছিড়তে পারেনা। তবুও এটা নুরের কেতাব-, এ কোন মুর্খতা? আল্লাহ চিরঞ্জীব। আল্লাহর সব কিছুই জেন্দা।আল্লাহর কেতাবও জাত সেফাতের গুন বৈশিষ্টে আত্নাসহ চেতন, জীবন্ত, কদিম, অবিনশ্বর, শাশ্বত। আল্লাহর কেতাবও অবিনশ্বর, শ্বাশ্বত। আল্লাহ নুর, আল্লাহর কোরান নুর, কালি নুর, লেখাও নুরের অর্থাৎ ভাষা অক্ষরের অতীত (metaphorical) সমস্ত সৃষ্টি জগত রুহ ইনসানীর মানব কেতাবে লেখা।নজুলের শানে মানবাত্নারুপে পরমাত্নার আত্নপ্রকাশ। নজুল কেতাব মানেই মানুষ কেতাব।কাগজের কেতাবে আত্না নাই, কাগজের কেতাব নুর নয়, লেখা নুরের নয়, অক্ষরও নুরের নয়। ইহার অক্ষর কালির। কাগজের কোরান মৃত, ফানি, ধ্বংশশীল। প্রানহীন কাগজের কেতাবকে আল্লাহর কেতাব বলা মানে আল্লাহকেও প্রানহীন মনে করা। নিজেকে বাদ দিয়ে কাগজের কেতাবকে আল্লাহর নজুল কেতাব বলা গমরাহীর পরিচায়ক। যারা বলে তারা মৃত। খোদা বলেছেন,’কোরান আমার নিকট রয়েছে লওহে মাহফুজে রক্ষিত। আল্লাহর সাত সিফাত মাহফুজী কোরান সয়ং মানুষ। মানুষই জেন্দা কেতাব।ইহাই বিজ্ঞানময়ী।
যাহা আল্লাহর কালাম তাহাই কোরান। আল্লাহর ওহী কালাম বা মেরাজ নব্বই হাজার কালামে শব্দ নাই। যার শব্দ নাই পার্থিব ভাষার অক্ষরও তার নাই। উহা না পুর্ব দেশীয় না পশ্চিম দেশীয়। আল্লাহর ওহী পৃথিবীর যে কোনো দেশের লোকের কাছে পৌছুক, তিনি নিজ ভাষায় উহা বুঝবেন। উহা আরবীও নয়, পারসীয় নয়।অসীম নুরের অক্ষর মানুষের ক্বালবে। আরবী ভাষার অক্ষর উহার রুপক-প্রতীক। এ সম্পর্কে কাজী নজরুল ইসলামের কথা-
‘কেন খুঁজে ফের দেবতা ঠাকুর মৃত পুঁথি কঙ্কালে?
হাসিছেন তিনি আমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালে।
তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান,
সকর শাস্ত্র খুঁজে পাবে সখা, খুলে দেখ নিজ প্রাণ”।
মুনাফিক মোয়াবিয়া কাগজের কেতাবকে আল্লাহর তরফ থেকে নাজেল করা আসমানী কেতাব বলেছে। মোয়াবিয়া মুর্দা। তার অনুসারী কাট্টা মৌলবাদী মোল্লারাও মুর্দা। মানুষই আল্লাহর জেন্দা কোরান-,এ জীবনবাদ ইসলানকে মৃত কাগজ সর্বস্ব ধর্ম বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাক্শক্তির অধিকারী মানুষই নাতিক কোরান’-,এ বাস্তবতা প্রতিষ্টা করার লক্ষে হযরত আলী(কঃ) মোয়াবীয়ার বিরুদ্ধে সিফফিনের যুদ্ধে অবতীর্ন হন।কুচক্রি মুয়াবীয়া ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্যে বর্শার আগায় কোরান ঝুলিয়ে কোরানের প্রতি অনুগত্য প্রদর্শন করায় আলীর সৈন্যরা করানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আলী বলেন, “আমি বাস্তবতা, পবিত্র করানের মূর্ত প্রকাশ, মুয়াবীয়া যা করছে কোরানের হকিকতে সত্য পাথরচাপা দেয়ার কৌশল হিসাবে করেছে”।কিন্তু যুদ্ধ আর হলনা। সেই যে সত্য ধ্বংশ হলো, পুনরুদ্ধারের তাগিদ মুসলিম জাতিতে আর অনুভূত হয়নি।মোয়াবীয়া-ইয়াজিদের মতবাদ চালু হল্ল, তাদের দলই বড় হলো। নশ্বর নামাজ, রোজা, কাগজের কোরান আসল হলো, মুসলিম জাতির মৃত্যু হল।
যারা কাগজের কেতাবের পুজারী, তারা কাগজ ছাড়বেনা যদিও ওহীযোগে কেতাবীদের অনেক ধমকানো হয়েছে। আল্লাহ ওহীযোগে একাধিকার হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে ইব্রাহীমী ধর্ম অনুসরন করতে নির্দেশ এবং মুসলমানদেরকে ইব্রাহীমী ধর্ম আকড়ে ধরে থাকার আদেশ দিয়েছেন (১৬-১২৩)।এরা বুঝেইনা মানবাত্না-মানবসত্বা অসীম, নিরপেক্ষ, কদিম, কুরান অসীম, নিরপেক্ষ কদিম, বিশ্বজনীন, সর্বজনীন তথা অখন্ড কালের সাথে সম্পৃক্ত।তাই বুঝেনা-কাগজের কেতাবকে আল্লাহর নজুল কেতাব (Revealed book) বললে এটা আপেক্ষিকতার এক ধ্বংসশীল বই হয়ে যায়।মুসলিম জাতির পতন হয়েছে গানের অভাবে। তারা কেয়ামত এড়ানো অখন্ড নিরপেক্ষ কালের মানবাত্নার অধিকারী, অধিকারী চিরঞ্জীব নয়, তারা কেয়ামত বরণকারী জীবাত্নার (রুহ হাইওয়ানী) লোক। অর্থাৎ তাদের উপর কেয়ামত হবে। মোল্লা মৌলবীরা তাদের অধঃপতন ঘটিয়েছে, এটা বুঝেনা। রুপক-প্রতীক, বাইয়েনাত, মোহকামাত, বুঝলে নিজেরাই জেন্দা নজুল কেতাব হতো, মৃত কাগজকে আল্লাহর কেতাব বলত না। মোট কথা-আল্লাহর সব কিছুই জেন্দা। আল্লাহর কালাম জেন্দা, আল্লাহর কেতাবও জেন্দা। আল্লাহর জেন্দা কালাম শক্তি মানুষের মধ্যে, কাগজের কেতাবের মধ্যে নয়। ধর্মের বড় একটা ডাকাতি হয়ে গেল-যখন মুর্দা আরবী বিদ্বানেরা নিজেকে না চিনে মুর্দা কাগজের কোরান দেখিয়ে বললো-এটা আসমানী কেতাব, আল্লাহর কালাম।
আলেমদের মধ্য থেকে দজ্জাল দল বের হবে, তারা প্রতি ঘরে ঘরে ঢুকবে, সবার ঈমান নষ্ট করবে-এ হাদীস বাস্তবতা জানতে হলে প্রশ্ন জাগবে-দজ্জালরা যেহেতু আলেম, তারা কোরানের কথা বলবে, তবে ঈমান নষ্ট করবে কি প্রকারে? এ প্রশ্নের জবাবে অতি সহজে হয়ে গেছে- যথাঃ
(ক) কোরান রুপক- এটা দজ্জালরা (আলেমরা) বুঝেনা; যে রুপকের অর্থ নাই গর্দভের মত সেই রুপকটারই অর্থ করেছে আর সেটাতেই কোরান নামে প্রচার করেছে। আমীর বাদশা প্রেসিডেন্টরাও তথাস্থ বলেছেন।
(খ) রুপক অংশ (কাগজে আরবী লেখা অংশ) আল্লাহর বক্তব্য বানী নয়, এটা কোরানও নয়। এটাকেই তারা কোরানের নামে প্রচার করেছে যেটা তাশাবাহা।
(গ) কাগজের কোরানের সীমা বাইয়েনাত আয়াত পর্যন্ত মানে সঠিক পথ নির্দেশনা। বাইয়েনাত থেকে মোহকামাত আয়াতের সন্ধান জানা-, আর মোহকামাত আয়াতের কেতাবই আল্লাহর কেতাব। এ কেতাব মানুষ কেতাব। এ কেতাব চেনা জানা হলে নিজেকেই চেনা জানা হয়, মানে আল্লাহকে চেনা জানা হয়। এটা দজ্জালদের জানা নাই। দজ্জাল আলেমরা ধর্মের নামে যা-ই বলুক, সবই কুফরী কথা। তারা প্রচার করেছে কাগজের কোরানই আসমান থেকে নাজিল করা একমাত্র কোরান কেতাব। সবাই তা বিশ্বাস করেছে। এ রুপেই দজ্জালরা সবার ঈমান নষ্ট করেছে। মোহকামাত আয়াতের কেতাব আল্লাহর কেতাব- এ সত্য অস্বীকৃত হয়ে গেছে, ঈমানও নষ্ট হয়ে গেছে।
(ঘ) কাগজের কোরান রুসমী কোরান। রুসম অর্থ খোসা, বাহ্যিক আবরন (illustrative clothing, allegorical, metaphorical) খোসা কখনো আল্লাহর কেতাব হয়না। খোসার ভিতর আর একটা সমুজ্জল অর্থ আছে (established meaning) সেই অর্থ থেকে যখন মোহকামাত আয়াতের সন্ধান জানা যাবে, তখন আল্লাহর কেতাব ‘মানুষকে’ পাওয়া যাবে। দজ্জাল-আলেম্পমোল্লারা এসবের কিছুই জানেনা। মোহকামাতই ধর্ম তত্ত্ব (theologyu)

এখন সৃষ্টি-তত্ত্ব বিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে। এক মূহুর্তে সৃষ্টি-তত্ত্ব বিজ্ঞান নিয়ে সম্পর্কে চিন্তা করা একশ বছর, হাজার বছর, সত্তর হাজার বছর এবাদতের চেয়ে উত্তম। মুসলিম জাতি এটা উপেক্ষা করেছে, অথচ ধর্ম কাজের অনুশীলনী (অনুষ্ঠান) ধ্বংসশীল নশ্বর নামাজ রোজাকে আসল জেনেছে। রসুলুল্লাহ যদি বলতে পারেন-কোন লোক বেহেশ্তী আর কোন্‌ লোক দোজখী, তাহলে রসুলুল্লাহর জ্ঞান-গরিমায় সর্বগুনে গুনাম্বিত কোনো সৃষ্টি তত্ত্ববিদ যদি বলেন- যারা সৃষ্টি রহস্য জ্ঞানকে উপেক্ষা করে নশ্বর নামাজ রোজাকে অবশ্য পালনীয় কাজ মনে করে তারাও দোজখী-তবে কোনো ভুল হবে কি? কোরান থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি দিয়ে আলোচনা করা যাকঃ-
() তিনি প্রেরণ করেন তাঁহার দয়ার মেঘের পূর্বে বায়ু সমুহকে সুসংবাদ বাহক রুপে; অবশেষে যখন উহারা বহন করে ঘন মেঘ, আমি উহাকে প্রেরন করি কোনো নির্জীব (শুষ্ক) ভূ-খন্ডে, তৎপর উহা হতে বর্ষণ করে বারি, অতঃপর উহা দ্বারা উৎপাদন করি সব রকমের ফল, এই রুপে আমি উত্থিত করিব মৃতদের, হয়তো তোমরা বুঝিতে পারিতেছ(আরাফঃ৫৭)
() খোদাই বায়ু সমুহ প্রেরন করেন এবং তাহারা মেঘ উৎপাদিন কএর (সুরা রুমঃ৪৮)
() খোদাই প্রেরন করেন বায়ু সমুহ যাহারা মেঘ উৎপাদন করে এবং আমি উহাকে চালনা করি কোনো মৃত দেশে, অতঃপর উহার যোগে ভূমিকে করি জীবিত উহার মৃত্যুর পর; এই রুপে পুনরুত্থান ( ফাতিরঃ৯)।
এইরুপ রহস্যপূরর্ন আয়াত আরও আছে। সবখানেই বাতাসের বহুবচন-‘বায়ু সমুহ’ বলা হয়েছে। আলেমদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় ভাই আল্লাহ বাতাসকে আবার বহু বচনে লিখলেন কেন? তখন বিশিষ্ট ব্যকরন জাননে ওয়ালা একটা ভাব নিয়ে বলে থাকেন আরে ভাই বুঝলেন না(?); বাতাস গরম কালে একদিক দিয়ে হয়, শীত কালে আবার অন্য দিক দিয়ে বয়, আবার ধরেন মৌসুমি বায়ু যার জন্য বৃষ্টি হয়, তাই এসব মিলে আল্লাহ বিজ্ঞানময়ী করে বলেছেন বায়ু সমুহ। কিন্তু সে যেদিক দিয়েই বয়ে আসুকনা কেন বায়ুত একটাই, তাই নয়কি? একটা গোজামিল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা। তাহলে বলা যেতে পারে এক করিম সাহেবকে যদি আমরা ঢাকা শহরের চারপাশে ঘুরিয়ে এনে বলতে পারি করিম সাহেব এখন চার জন। এক বায়ু চার দিকদিয়ে বইলে যদি বায়ু সমুহ হয়ে যায় তাহলে এক করিম সাহেব ঢাকা শহরের চারপাশে ঘুরে আসলে করিম সাহেব চারজন হয়ে যায়না?
পাঁচ আত্নার মানব দেহে বাতাস বস্তুর আত্না-মানবাত্না। মানবাত্নার পাঁচ খাসিয়েত (গুন, properties) –হেলা,চলা,ফোলা,কাঁপা জমহাই বা ক্ষেপন (Oscilation, motion, expansion, vibration, increment) এই পাঁচ বেগ দ্বাআরা বাতাস বস্তু গতিময়, কর্মশীল (dynamic) হয়েছে। এই পাঁচ বেগই ‘বায়ু সমুহ’। ইহারা মেঘ উৎপাদন করে-যথাঃ বাতাস বস্তুর ফোলা গুন আগুন বস্তুতে ক্ষুদা, তৃষ্ণা, নিদ্রা, হজম শক্তি, বাতাস বস্তুর কম্পন গুন দ্বারা পানি বস্তুতে অনুপরমানু জীবানু সৃষ্টি করতঃ রক্ত, বীর্জ, প্রস্রাব, ঘাম, থুথু, বাতাস বস্তুর জমহাই বা ক্ষেপন দ্বারা মাটি বস্তুতে হাড়, রগ, গোশত, চামড়া, পশম উৎপন্ন হয়েছে। আগুন, পানি, মাটি বস্তুতে উৎপন্ন গুনাবলী হচ্ছে ‘মেঘ’-যে মেঘ দ্বারা আঠারো হাজার মখলুকাতে নতুন সৃষ্টির পুনরুত্থান চলছে। অর্থাৎ যখনই যে সৃষ্টি ধ্বংস হয়, এই ‘মেঘ’ তথা বস্তুর গুনাবলী দ্বারা সেটাকেই পুনজীবিত করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×