মূর্তি আর ভাস্কর্য এটা নিয়ে তৈরি হচ্ছে আজকাল বিভেদ, ফেতনা ফাসাদ মিছিল স্লোগান বাংলাদেশেঃ
সাধারন মতে কোরআনের আয়াত পড়ে যতোটুকু বুঝতে পারলাম, আল্লাহর সাথে শিরক করে যদি যেটা হতে পারে সেটাই মূর্তি!
মূর্তি আছে এমন একটি জিনিস, ধর্ম উপাসনালয়ের জন্য ব্যবহার করে, এবং দেব দেবী হিসেবে পূজা করে
তাদের ধর্ম মতে তারা সেটাকে পূজা করে সুষ্ঠু বলে দাবি করে, উদ্দেশ্যমূলক তৈরি করা হয়।
আর ভাস্কর্য এমন একটি জিনিস যেটা মানুষে
ধর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করেন না, কোন একজন ব্যক্তির অতীত স্মৃতি হিসেবে তার কৃতকর্মের উপর। কাকে উজ্জ্বলভাবে সাজিয়ে রাখা হয়। তাকে মানুষ স্মরণ করে সে একজন ভালো মানুষ ছিল।
যেটা মানুষ পূজা করেনা সেটা শিল্প হতে পারে সেটা মূর্তি হতে পারে না! বর্তমান আলেম সমাজ! এটা নিয়ে কি চিন্তা করেন না! যখন এটাকে পূজা করবে তখন আপনারা আন্দোলন করবেন।
একজন ভালো মানুষের কৃতকর্ম জাগিয়ে তুলবে
তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে তার অতীতের কর্ম নিয়ে! ভাস্কর্য হিসাবে সবাই সেটা কে সম্মান করবে। উল্লেখ্য যে দেশে একজন ভালো মানুষ ছিল তাদের মত তোমরাও ভাল মানুষ হও। আদর্শ উত্তম চরিত্রের মানুষ ছিলেন। এটাই হলো একটি ভাস্কর্য উদ্দেশ্য আমার মনে হয়।
ভাস্কর্য মূর্তি কি এক হলো, এবার আপনারাই বলবেন?
মূর্তি ইসলামের অনুসারী মূর্তি বানিয়ে সেটাকে পূজা করাকে আল্লাহর সাথে শরীক করা কে জঘন্য অপরাদ আল্লাহ কোরআনের আয়াতে শিরক-কারী কে বিভিন্ন আয়াতে বলেছেন জঘন্য শাস্তি রয়েছে,
আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা সমতুল্য ভেবে কাউকে পূজা সেটাই শিরক!
শিরক সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন- ‘
আল্লাহর সঙ্গে শরীক করো না। নিশ্চিত জেনে রেখো শিরক হচ্ছে অতি বড় জুলুম।’ (লুকমান ১৩)
আল্লাহ বলছেন আমি শিরক কারী কে কখনো ক্ষমা করবন না কোরআনের আয়াতে উক্ত গণনা অনুসারে বুঝা যায়, আল্লাহ তা'আলা বলেন
‘নিশ্চয় জেনো, আল্লাহর সঙ্গে শরীক বানানোর যে পাপ তা তিনি ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য যে কোন পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেবেন। বস্তুত যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে, সে তো উদ্ভাবন করে নিয়েছে এক গুরুতর মিথ্যা।’ (নিসা ৪৮)।
আল্লাহ বলছেন তার কোনো ইলাহ নেই এবং তিনি এক, এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন
‘আল্লাহ তো একমাত্র ইলাহ। সন্তানাদি থেকে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র। আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে সবই তো তাঁর।’ (নিসা ১৭১)
এছাড়া আল্লাহতালা সূরা যুখরুফ এবং সূরা আনআমের সূরা নিসা বর্ণনা দিয়ে বলেন
‘লোকেরা তাঁর কতিপয় বান্দাকে তাঁর অংশ মনে করে নিয়েছে। প্রকৃত কথা এই যে, মানুষ সুস্পষ্টরূপে অকৃতজ্ঞ।’ (যুখরুফ ১৫)
‘তিনি তো আসমান ও যমিনের উদ্ভাবক। কি করে তাঁর সন্তান হতে পারে অথচ তার তো জীবন সঙ্গিনিই কেউ নেই? তিনি সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।’ (আনআম ১০১)
‘তোমরা কেবলমাত্র আল্লাহরই দাসত্ব ও ইবাদত করো। আর অন্য কোন কিছুকেই তাঁর সঙ্গে শরীক করো না।’ (নিসা ৩৬)
সুরা বাকারার (১৯১) আয়াতে আল্লাহ বলেছেন
কিছু সংক্ষিপ্ত কথা, বললাম, ফেতনা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও জঘন্য।
ধরেন আপনার মোবাইল ফোনে ছবি করছেন
সেই ছবিগুলি প্রতিমুহূর্তের ধারণ করা ছবি
কেউ গুগল ড্রাইভে রাখেন কেউ কম্পিউটারে রাখেন
কেন রাখেন! সেগুলি কি ভাস্কর্য না আপনার চোখে
না সেগুলি জীবন্ত?
তাহলে দেখেন জারা আরো দশ বছর আগে বক্তা
ছবি করে গেছেন! এখন তিনি আর নেই, সেটা কি ভাস্কর্য না! আপনার মোবাইল ফোনের আপনার স্মৃতির!
একটি উদাহরণ দেই, কেউ বিব্রত হবেন না, ধরেন একজন বক্তা মারা গেল আলেম সমাজের, তার অনেক ওয়াজ ইউটিউব এ দেওয়া আছে! সেগুলি কি ভাস্কর্য না, সেগুলি মৃত ব্যাক্তিরা দাঁড়িয়ে আছে ওয়াস করতেসে সবাই দেখতেছে!
এমন সকল ক্ষেত্রেই-
তাহলে এবার বলেন মূর্তি আর ভাস্কর্য এক না!!
মূর্তি হচ্ছে ভিন্ন আর ভাস্কার্য হচ্ছে ভিন্ন!!
এটা মানুষের স্মৃতি!!
এবার বলেন যে মূর্তি আর ভাস্কর্য কি এক হলো?
শেষবার বলি মূর্তি হলো এমন একটি জিনিস যেটাকে পূজা করার জন্য ব্যবহার করে! সেটা হতে পারে আল্লাহর সাথে শিরক করা হতে।
আল্লাহর সাথে যেটা শিরক হয় না তাহলে সেটা ভাঙার জন্য আপনারা মিছিল ফেতনা-ফাসাদ স্লোগান মিছিল তৈরি করছেন কেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫