somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ বিশেষ দিন, আজ দিন কাটুক প্রার্থণায়

১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ একটি বিশেষ দিন ৩৮ বছর পূর্বে এই পবিত্র দিনে জন মানুষের মহান নেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলা মুক্ত করার জন্য, জাতিকে পথ দেখানোর জন্য , মানুষের মুক্তির জন্য দেশে ফেরেন। দেশ যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেইসময় দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এটা জাতির সৌভাগ্য যে ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে থাকলেও সব সময় তার মন পড়েছিল দেশের মধ্যে । জনগণের দুঃখ কষ্টের কথা তিনি সবসময় ভাবছিলেন। ঘাতকরা সব সময়েই সক্রিয় ছিল তাকে হত্যা করার জন্য। দেশের জন্য মন কাঁদলেও বাস্তবতার কারণে দেশে ফিরতে পারছিলেন না, অবস্থান করছিলেন ভ্রাতৃপ্রতিম একটি দেশে। তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হতে পারে এই আশঙ্কায় ঐ দেশের গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে তিনি অন্য নামে অন্য পরিচয়ে অবস্থান করলেও দেশের জন গনের অসহায় অবস্থার কথা ভেবে তাঁর মন ডুকরে কেঁদে উঠতো।
দেশ যখন গনতন্ত্রহীনতার অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলা মুক্ত করার জন্য আওয়ামী লীগের গতিশীল কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মহান এই নেত্রীকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয় ১৯৮১ সালের ১৬ ফেব্রয়ারী । অবশেষে প্রবল জনমত উপেক্ষা করতে না পেরে সামরিকজান্তা তাকে দেশে আসার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৮১ সালের এই দিনে(১৭ই মে) ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিমানে করে তিনি সেই সময়ের কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশে ফেরেন। তাঁকে এক নজর দেখার জন্য বিমানবন্দর এলাকায় লক্ষ কোটি মানুষের ঢল নামে। গণতন্ত্রকামী মানুষের জয় বাংলা স্লোগান ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তায় হতবিহবল হয়ে পড়ে সামরিক জান্তা । ভবিষ্যৎদ্রষ্টা এই নেত্রী বলেছিলেন খুব শীঘ্রই বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে। এর পর তাঁর দেশে ফেরার দুই সপ্তাহের মধ্যে সমরিক সরকার উৎখাত হয়। গনতন্ত্রের পথ খুলে যায়। ক্ষমতায় আসে বর্তমান গনতন্ত্রের সহযোগী দল জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাত জেনারেল হোমো এরশাদ। পরবর্তিতে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে, অনেক ষড়যন্ত্র নস্যাত করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ এবং গনমানুষের এই নেত্রী হন প্রধানমন্ত্রী। গত চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়া মহীয়সী এই নেত্রীকে হত্যার জন্য বহু দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। মানুষের ভালোবাসার কারণে এবং তাঁর বিচক্ষণতার কারণে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। সর্বশেষ বিচারপতি সিনহা বাবুর নেতৃত্বে জুডিশিয়াল ক্যু করার চেষ্টা করা হয় যা জনগণের দোয়ায় তিনি অতিক্রম করতে সক্ষম হন।


(২০০৭এর জুলাইয়ে গ্রেফতারের সময় তাকে ষড়যন্ত্রীরা একবোতল evian পানি ছাড়া কিছু নিতে দেয় নি)


মাদার অফ হিউম্যানিটি এই নেত্রী শুধু মানুষের প্রতিই ভালোবাসা দেখান না, পশু পাখির প্রতি রয়েছে তার অসীম মমতা । ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাবরণের সময় তাঁর পোষা কুকুর গুলোর কাছ থেকে তাকে দূরে থাকতে হয় বলে কুকুর গুলোর জন্য মন সবসময় খারাপ থাকতো। বিদূষী এই নেত্রী এখন পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি বই রচনা করেছেন, অর্জন করেছেন অসংখ্য দেশি ও বিদেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডক্টর অফ ফিলোসফি, ডক্টর অফ ল, ডি লিট, ডক্টর অফ ইউনিভার্সিটি সহ অগনিত ডিগ্রি । অর্জন করেছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সম্মান দেশের ও সংস্থার বিভিন্ন সম্মাননা । দেশের মানুষ তাকে ভালবেসে কওমি জননী, মাদার অফ হিউম্যানিটি সহ অসংখ্য উপাধিতে ভূষিত করেছে। নাইজেরিয়ার সংবাদপত্রে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সাদাসিদা জীবনযাপনকারী নেতাদের মধ্যে একজন বলা হয়েছে।

আজ এই পবিত্র দিনটাকে বিভিন্ন জায়গায় মসজিদে মসজিদে ঘরে ঘরে প্রার্থনা চলছে । বিকেল তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিশেষ অালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা কেউ সেখানে আসলে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।

(মূলত নুরু ভাই এই ধরনের পোস্ট গুলো দিয়ে থাকেন, কিন্তু আজকে উনি এখন পর্যন্ত এ ধরনের পোস্ট দেন নি। কিছু দিন ধরে ব্লগে ও দেখছি না ওনাকে। ওনার খবর কেউ জানলে জানানোর অনুরোধ থাকলো।ছবিগুলো আমার নিজের তোলা না, প্রথমটি ইত্তেকাক থেকে নেয়া, দ্বিতীয়টি গার্ডিয়ান থেকে নেয়া। )

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
২৪টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×