তানভীর জোহা একজন বাটপার।
ছাগুরা যে হারে ম্যাৎকার করছে মনে হচ্ছে আকাশ ভেঙে পড়ছে। জোহা আসলে কি? কোথা থেকে এত বড় আইটি স্পেশালিষ্ট ফয়দা হলো।
এই ছেলেটি নিজেকে আইসিটি মন্ত্রনালয়ের একজন ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সার্ভার হ্যাক হওয়া নিয়ে মতামত দিয়ে আসছিল। বিটিভির সাবেক জামায়াতপন্থি উপমহাপরিচালক মাহাবুবুল আলমের এই ভাতিজা এবং তার পুরা পরিবারই জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত। (বাংলা মেইলের শেরিফ আল শায়ারের একটি ফেসবুক পোস্ট এ গিয়ে জনৈক হাসিব হকের মন্তব্যে এই তথ্যটা জানলাম)
এটা তার অপরাধ নয়। তার অপরাধ সে রাষ্ট্রের কোন পদে না থেকে নিজেকে সরকারের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করেছে। স্পর্শ কাতর বিষয়ে সে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে মতামত দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছে। এজন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে পিটানো দরকার। (আমাদের মিডিয়াগুলোও কী??? একজন এসে বলে দিল আমি ভগবান। কোন বাছ বিচার নাই। পূজা শুরু করে দিল? তোমরা কোন যাচাই করবানা লোকটা কে?) নিজেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশ্লেষক পরিচয় দিয়ে টিভিতে দেয়া ইন্টারভিউর লিঙ্ক https://youtu.be/B3hD6RKEYRg
বাংলাট্রিবিউন কে দেয়া ইন্টারভিউতে জোহা নামের ঐ লোক তার কোন পরিচয় দিতে পারেনি। বাংলা ট্রিবিউনে এক অডিওতে জোহাকে বার বার প্রশ্ন করা হচ্ছিল আপনি ঠিক কোন পদে আছে। জোহা অনেক প্যাঁচাপ্যাচি করে উত্তর দিতে পারে নাই। তিনি দাবী করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শনে যাবার সময় তাকে নিয়ে গিয়েছিল। (এ জন্যই সে নিজেকে তদন্ত দলের সদস্য মনে করছে?? শালা একটা খাসী!!) বাংলা ট্রিবিউনে দেয়া ইন্টারভিউর লিঙ্ক
সে সরকারের এসাইন কেউ না। কোন দায়িত্বশীল বা অদায়ীত্বশীল কোন পদেও সে নাই। কোন ভাবেই সে সরকারের, বা কথিত তদন্ত কমিটির পক্ষে কথা বলার নূন্যতম সুযোগ তার নাই। সে স্বেচ্ছায়, অতি উৎসাহী হয়ে, রাষ্ট্রকে বিতর্কিত করতে কাজ করছিল।
কোন তদন্ত দলের সদস্য তদন্ত শেষ হওয়ার আগে মন্তব্য করে না। জোহা নামের এই বাটপার দু মিনিট পরপর ভুয়া পরিচয় দিয়ে মিডিয়ায় মতামত দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করেছিল। তার বক্তব্য রাজনৈতিকও টোনে ছিল।
জোহার ইন্টারভিউ গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। ব্যাংক সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। কোন ধারনা নাই। শুধু তাই নয় সুইফট কিভাবে কাজ করে, ব্যাংক সফটওয়ার কিভাবে কাজ করে সেই ধারনাও নাই (আমাদের অর্থমন্ত্রীরও নাই)। সে নিশ্চয়ই কোন একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এসেছিল। তাই না জেনে না বুঝে গড়পড়তা মানে কথা বলে দিচ্ছিল।
এখন প্রশ্ন হলো ছাগুরা ম্যাতকার করছে কেন? শুধু ছাগুরা নয়। ছাগু পত্রিকা দৈনিক সংগ্রাম প্রধান শিরোনাম করেছে জোহার নিখোজ হওয়া নিয়ে। কোন ব্যক্তি নিখোজ এটা এই প্রথম তারা লিড নিউজ করেছে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছে জোহা গ্রেফতার হয়ে তাকতে পারে। লিঙ্ক : জোহা গ্রেফতার হয়ে থাকতে পারে; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীতবু ছাগুপত্রিকা সেই নিউজ হাইলাইট করেনাই।
তাদের এজেন্ডা ক্লিয়ার। আরেকটি ছাগু পত্রিকা দৈনিক নয়াদিগন্তও ব্যাংকের টাকা চুরিতে তদন্ত কাজে জোহা সংশ্লিষ্ট বলে দাবী করে নিউজ করেছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে, জোহাকে সরকার ঘুম করে কিছু লুকিয়ে ফেলতে চাচ্ছে। আসলেই কি তাই? জোহা নিজেই যেখানে ভন্ড। সেখানে ছাগু সম্প্রদায়ের ম্যাতকারেএ কারন কী? সরকার ৩দিন আগেই ঘোষনা জোহা একজন ভন্ড। সে সরকারের কোন কাজে, নেই।
সে কিছুদিন একটি প্রজেক্টে কাজ করেছিল। প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে তারও বিদায় হয়। তাকে নিয়ে প্রতারিত না হতে সরকার প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে। নিউজ লিঙ্ক >> www.m.banglanews24.com/detailnews2.php?nid=473858&cid=15
যাই হোক, বোধকরি এতক্ষনে তার পশ্চাৎদেশে ডজনখানেক গরম ডিম্ব প্রবেশ করেছে। শুধু ডিমে কাজ হবেনা। বাটপারির জন্য তাকে আরো ভালো কোন থেরাপি দেয়া হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২