somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ সভ্যতা'র আঁচলে লাগেনি মেহেদী'র রঙ!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দাদী তার দুই নাতনী নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে! তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল কোথাও পাওয়া গেলনা। সারা গ্রামময় খবর ছড়িয়ে পড়ল কিন্তু কারো চোখেই পড়েনি। আসগর আলী'র মেজাজ খুবই খারাপ, হাতের কাছে পেলে মেয়ে দুটোকে বটি দিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে এমনটাই সে গজগজ করে বলছিল! রহিমা স্বামীকে প্রবোধ দেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু উল্টো সে বারবার আজগর আলী ধমক খেয়ে চুপসে গেল। তাদের দুটি মেয়ে, বড়টির নাম রুপালী ও ছোটটির নাম শিউলি। বড় মেয়ের বয়স চৌদ্দ আর ছোটটির বয়স তের। গায়ের রং কালো বলে বলে রুপালি জন্য বিয়ের ঘর তেমন একটা আসেনা, আর আসলেও হয় বউ মারা যাওয়া বা বউয়ের বাচ্চা হয়না এমন সকল পাত্র। রুপালী'র মনের মাঝে প্রশ্নটি বারে বারে মোচড় দিয়ে ওঠে--পাতিলের তলার মত কালো এমন একটা মেয়ের নাম কেন রুপালি রাখা হল! সময় পেলেই দাদীকে জিজ্ঞাসা করে, “দাদী আমি এত কালা একটা মাইয়া আমার নাম রুপালি ক্যান? রুপার মত গায়ের রঙতো আমার না!”

দাদী মানেই তার ধ্যান, দাদী মানেই তার জ্ঞান। জন্মের পর থেকেই দাদী'র কোলে পিঠেই মানুষ। পিঠেপিঠি দু'বোন হওয়ায় রহিমা দুটো বাচ্চা নিয়েই হিমসিম খাচ্ছিল তাই দাদী শরীফা বানু নাতনীকে কোলে তুলে নেন। ষাট বছরের শরীফা বানু এক ফোঁটা অবহেলা করেননি নিজ দায়িত্বে। বাবা মায়ের অবহেলা, পাড়া প্রতিবেশী'র অবহেলা এগুলো রুপালী'র নিত্যসঙ্গী। মাঝে মাঝেই মন খারাপ হলে দাদী সে জায়গায় ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

পাশের বাড়ির কলিম শেখের বড় ছেলে ওবায়দুল মাঝে মাঝেই রুপালীদের বাড়ি আসে। কলিম শেখ আর আজগর আলী দুজনই বন্ধু মানুষ এবং একসাথে দুজনের কারবার। সেই থেকেই আজগর আলী'র মনে বেশ খায়েশ জন্মেছে যে বন্ধু'র সাথে একটা আত্মীয়তা হোক। কলিম শেখের কাছে কথাটা বলবে বলবে করেও বলা হচ্ছেনা। এদিকে মাঝে মধ্যেই ওবায়দুলকে বাড়িতে আসতে বলে, মাঝে মধ্যে ভাল-মন্দ কিছু রান্না হলে খেয়ে যেতে বলে। ওবায়দুল খুশি মনেই তা লুফে নেয়। বয়স তার চব্বিশ হলো গত মাসে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ে আর পড়েনি। জড়িয়ে পড়েছে কালোবাজারী ও অসৎসঙ্গে। প্রায়ই বাজারে মন্টু মিয়া'র চায়ের দোকানে তাসের আড্ডা আর রাত বাড়লে চলে রমরমা নীলছবি। দিনের বেলায় চায়ের দোকানে হাইভলিউমে বাজতে থাকে হিন্দী গান “মুন্নী বদনাম হুয়া ডার্লিং তেরে লিয়ে” অথবা “চিকনী চামেলী” নয়ত “ওলা লা ওলা লা তুহি মেরি ফ্যান্টাসি”, আর নয়ত “সুন্দরী চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে”-----।

গ্রামের বাজার পেরিয়েই হাইস্কুল। তাই স্কুলগামী মেয়েগুলোকে বাজারে মন্টু মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে দিয়েই আসা যাওয়া করতে হয়। প্রতিদিনই ওবায়দুল বসে থাকে তার চামচাগুলোকে নিয়ে। মেয়ে দেখলেই শুরু হয়ে যায় বেসুরো গলায় সেই আইটেম গানগুলো। আসগর আলী'র বড় মেয়ে রুপালীও সেই স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে এবং তাকেও হেঁটে যেতে হয় বাজারের দোকানগুলোর সামনে দিয়ে কিন্তু তাকে খুব একটা জ্বালাতন কেউ করেনা। তাই রুপালী বেশ খুশি নিজের চেহারা নিয়ে, মনে মনে বলে ভাগ্যিস কালো হইছিলাম, নইলে পাজি ছোঁড়াগুলো বড়ই যন্ত্রণা দিত! কিন্তু রুপালী'র বেশ খারাপ লাগে যখন দেখে তার বান্ধবীদের স্কুলে আসা যাওয়ার পথে টিজ শুনতে হয়। কেউ কিছু ওবায়দুলদের বলেনা ভয়ে, কারন ওদের দ্বারা সবই সম্ভব।

এক বছর আগের ঘটনাটি এখনও এলাকার লোকজনের মন থেকে মুছে যায়নি। প্রতিদিনের মত স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিল রুপালী'র বান্ধবী শিরিন কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি। একসপ্তাহ ধরে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলনা। শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল রুপালীদের বাড়ির বাইরে টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর। সারাবাড়িময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল তাই বাধ্য হয়েই ট্যাংকির ঢাকনা খুলতে বাধ্য হয়। খুলে দেখে একটা বস্তাবন্দী লাশ কিন্তু সেটা যে নিজের মেয়ের লাশই হবে তা ভাবতে পারেননি শিরিনের বাবা মা। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে অর্ধগলিত লাশ নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য। খবরের কাগজে শিরোনাম হয় শিরিন কিন্তু আজও তার খুনীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। রুপালী জানে ওবায়দুল শিরিনকে অনেক বিরক্ত করত। তার চেলাগুলো সারাক্ষণ খবর রাখত যে শিরিন কখন কোথায় যায়, কি করে! শিরিন পাত্তা দিতনা কিন্তু সেটার মাশুল এভাবেই তাকে দিতে হল! রুপালী ভাবে পুলিশকে সব বলে দিবে কিন্তু পারেনা সে।

দাদী নাতনী'র মনের হাবভাব সবই বুঝতে পারেন। তাই জিজ্ঞাসা না করে সরাসরিই বললেন, ঘটনা কি? রুপালী জানে সে দাদী'র কাছে কিছুই লুকাতে পারবেনা তাই সে শিরিনের ব্যপারটা দাদীকে খুলে বলে। সেই কথা শুনে দাদী রওনা হয় থানায় কিন্তু আজগর আলী'র কানে সে কথা চলে যায়। নিজের মা'কে এসে ইচ্ছামত বকাবকি করে এবং বলে, “মা নিজের কথা ভাবোনা ভাল কথা কিন্তু আমার মাইয়াগুলার জীবন নিয়া তুমি খেলতাছ ক্যান? তুমি জান এর পরিণাম কি হইব? শরীফা বানু কিছুই বলতে পারেনা নিজের ছেলেকে কিন্তু তার আজ আপসোস হয় নিজের গর্ভের সন্তানকে নিয়ে। টাকার কাছে মানুষ এত সহজে বিকে যায়! টাকা আর ক্ষমতার জোরে মানুষের সাত খুন মাফ হয়ে যায়! দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন সেদিনের মত।

ইদানিং ঘন ঘন ওবায়দুল এ'বাড়িতে যাতায়াত করছে। শরীফা বানু রুপালীকে ঘর থেকে বেরুতে দেননা ওই সময়টা। রুপালীও নিজেকে বেশ গুটিয়ে রাখে। কিন্তু শিউলি ওবায়দুলকে দেখলেই খুশিতে পাগল হয়ে যায় কারন ওবায়দুল যতবারই আসে ওদের দু'বোনের জন্য কিছুনা কিছু নিয়ে আসে। আর শিউলি সেগুলোকে লুফে নেয়। এনিয়ে আজগর আলী ও রহিমার কোন মাথা ব্যথা নাই। কিন্তু শরীফা বানু এনিয়ে ছেলে ও ছেলে বৌকে বললেন, “তোমরা নিজের হাতেই নিজের মৃত্যুর কাফন কিনতাছ।এমন সেয়ানা দুইডা মাইয়া ঘরে অথচ তোমাগো কোন চিন্তাই নাই! ওবায়দুল প্রায়ই বাড়িতে আসে, তারে তোমরা যত্ন কইরা খাওয়াও। তোমরা জাননা হের স্বভাব চরিত্র?”
আজগর আলী বলে, “ মা বেডা মানুষের আবার স্বভাব চরিত্র কি! আর আমিও চাই ওবায়দুল রুপালীরে পছন্দ করুক। এখনও প্রস্তাব দেই নাই ভাবছি সময় কইরা ওবায়দুলের বাপের কাছে প্রস্তাব দিমু।”
শরীফা বানু তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠলেন বললেন, “পাগল হইছস? গায়ের রং কালা বইল্যা মাইয়াডারে আগুনে ফেলবি? তোদের কোন মায়া নাই কিন্তু আমি ওরে বড় করছি আমি ওর জীবনডা নষ্ট হইতে দিমুনা।” আজগর আলী মা'কে ধমক দিয়ে বললেন, “যেইডা বোঝনা হেইডা নিয়া চিল্লাও ক্যান? যাও ঘরে গিয়া ঘুমাও ম্যালা রাইত হইছে।”

আজগর আলী'র বাড়ির উঠোনটি বেশ বড়। পশ্চিম পাশে আজগর আলী'র বড় একটি টিনের ঘর আর পূর্ব পাশে ছোট একটি টিনের ঘর। ছোটটিতে শরীফা বানু রুপালীকে নিয়ে থাকে। আর তার পেছেনেই খড়ের একটি গাদা। শরীফা বানু ছেলের ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন হঠাৎই খড়ের গাদা'র ওদিক থেকে ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পেলেন। কাছে যেতেই দেখলেন আবছা আলোয় দুটো ছায়া মূর্তি। গলা পরিষ্কার করে ডাক দিলেন, কেডা ওখানে? গলার আওয়াজ পেয়েই মনে হল কেউ দৌড়ে পালাল। আর অন্যজন পালাবার সময় পেলনা। শরীফা বানু হাতে থাকা হারিকেনটাকে উঁচু করে ধরলেন, দেখলেন পুরাই বিবস্ত্র অবস্থায় শিউলী নিজেরে লুকাবার চেষ্টা করছে। এই দেখে শরীফা বানু কি করবেন কিছুই বুঝতে পারলেননা। তাড়াতাড়ি ছোট নাতনীকে কাপড় পড়িয়ে নিজের ঘরে নিয়ে এলেন। রুপালী'র সামনে কিছু জিজ্ঞাসা করলেননা শুধু বললেন শিউলি আজ আমার কাছে শুইব তুই আজ ওই ঘরে ঘুমা রুপালি। কিন্তু রুপালি কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই বললেন, শিউলি আজ খুব ডরাইছে। তার নিজের রুমে একা শুইতে ভয় পাইতাছে।বাইরে নাকি কি দেখছে!
রুপালি বলল, “দিলাত আমার ভিতরেও ডর ঢুকাইয়া! আমরা দুজনই বরং তোমার কাছে থাকি!” শরীফা বানু আর আপত্তি করতে পারলনা। সকাল হবার অপেক্ষায় রইলেন কিন্তু সকাল হল, বিকেল হল কিন্তু শিউলি আজ আর ধরা দেয়না। শিউলির সাথে কথা বলা বড় প্রয়োজন কিন্তু সে লাপাত্তা। রহিমাকে জিজ্ঞাসা করতেই সে বলল, “শিউলিত ওর নানা বাড়ি গেছে। অনেক দিন যায়না তাই সকালে আবদার করল আমি আর না করি নাই। ওর বাপেইত নিয়া গেল।” শরীফা বানু কিছু বলতে পারলনা কারন সে জানে কারো কাছে বলে লাভ নাই, সবাই তাকেই উল্টা পাল্টা বলবে বা বকবে। ভাবছে যদি শিউলি'র কাছে ওই ছেলের নামডা জানতে পারত! আর শিউলিরে একটু ভাল করে বুঝাইতে পারত!

না প্রায় পনেরদিন হয়ে গেল শিউলি ফিরে আসেনি। এদিকে আজগর আলী রুপালি'র বিয়ে ঠিক করেছে ওবায়দুলের সাথে। রুপালি অনেক আপত্তি করেছিল, দাদীকে দিয়ে বাপকে বুঝিয়েছে কোন লাভ হয়নি। সামনের শুক্রবার বিয়ে মাত্র সাত দিন বাকি। গ্রামের সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়ে গেছে। বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে শিউলি বাড়ি এল কিন্তু এই পনের বিশ দিনে মেয়ের কি হাল হয়েছে! চোখের নীচে কালি পড়ে গেছে, কিছু খেতে পারছেনা। দাদী খুব দ্রুতই টের পেয়ে গেল। এবার শিউলিকে ডেকে নিকে জিজ্ঞাসা করলেন—শিউলি বলল, দাদী আমারে মাফ কইরা দেও। আমি এখন কি করুম? আমার খালি বমি আসে কিচ্ছু খাইতে পারিনা। আর ওবায়দুল ভাই আমারে কইছিল বিয়া করব কিন্তু এখন সে আমারে রাইখ্যা বুবুরে বিয়া করতাছে। দাদী তুমি কিছু কর!”
শরীফা বানু নাতনী'র দু'গাল কষে দুটো চড় দিয়ে বললেন, “কাউরে ভাল পাইলেই তার লগে শুইয়া যাইতে হইব? এখন যে অঘটন ঘটাইছস কেমনে কি করুম এখন!” রুপালিও শেষ পর্যন্ত জেনে গেল ছোট বোনের ঘটনা। দাদীকে পাঠাল ওবায়দুলের কাছে কিন্তু ওবায়দুল সাফ অস্বীকার করল এবং এসব কিছুই জানেনা বলে দাদীকে ফিরিয়ে দিল। দাদী ওবায়দুলকে পুলিশের ভয় দেখালেন কিন্তু এতে হীতে বিপরীত হল। ওবায়দুল শিউলিকে খুন করার হুমকি দিল।

শুক্রবার সকাল থেকেই দাদী শরীফা বানু ও দুই নাতনীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আজ রুপালির বিয়ে কিন্তু বিয়ের আসরে সকল মেহমান এসে গেছেন কিন্তু তাদের কোন সন্ধান পাওয়া গেলনা। সন্ধ্যা সাত'টার দিকে ওবায়দুলের লোকজন ওদের তিনজনকেই জোড় করে ধরে নিয়ে এল।বলল, ওবায়দুল ভাই বড় রাস্তার মোড়ে শহরের বাসের জন্য অপেক্ষা করতাছিল ওখান থাইকা ধইরা আনছি।” ওবায়দুল এবার শরীফা বানু'র দিকে চোখ কটকট করে তাকাল। আজগর আলীকে বললেন, “চাচা যা হইবার হইছে এবার বিয়া পড়ান।” শরীফা বানু নিজের ছেলেকে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু ওবায়দুলের জন্য পারলেননা।

রাতে বিয়ে হয়ে গেল রুপালি'র। শিউলী কাউকে কিছু বললনা। ভোররাত তিনটা'র দিকে দাদী টয়লেটে যাবেন বলে শিউলিকে বললেন কুপিটা ধরিয়ে দিতে। শিউলি কুপি ধরিয়ে দিয়ে দাদী'র বিছানায় ঝিম মেরে বসে রইল। কতক্ষণ কেটে গেছে সে টের পায়নি কিন্তু দাদী এতক্ষণ কি করছে! এই ভেবে সে দেখতে গেল কিন্তু দেখল টয়লেটের বাইরে কুপি জ্বলছে। সামনে এগিয়ে যেতেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল শরিফা বানুকে জ্বিনেরা মেরে ফেলেছে। এমনভাবে একমাত্র জ্বিনেরাই মারে। লাশের মাথার পেছেনের চুলগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে কিন্ত সামনের চুলগুলোকে পুড়িয়ে দেয়নি। শাড়ির আঁচলটুকু পুড়িয়ে ফেলেছে কিন্তু বাকি পুরোটা শাড়ি যেমন ছিল তেমনি আছে। চোখের ভ্রুগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে কিন্তু চোখের বিকৃতি করেনি। বুকের ব্লাউজের একসাইড একটা বুকসহ পুড়িয়ে দিয়েছে।
গ্রামের বিখ্যাত কবিরাজগণ এলেন এবং সবাই বললেন, “হাঁ জ্বিন চালান দিলাম জ্বিনরা কইল, এটা ওরাই করছে কারন শরীফা বানু ভোর রাতে তাদের চলার পথে সামনে পড়ছিলেন!”

শিউলি দেখেনি-- কিছুই দেখেনি, এ ঘটনার পর শিউলি বাকরুদ্ধ হয়ে যায়! মাঝে মাঝে দাদী'র কবরের পাড়ে গিয়ে বসে থাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে-------!


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪০
২২টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×