ভর দুপুরবেলা। রিক্সা থেকে নেমেই তাড়াহুড়া করে কুরিয়ার সাভির্সের একটা দোকানে ঢুকল রুমি। ছোট কাগজে লেখা একটা গোপন নাম্বার দেখাতেই দোকানদার ওর হাতে একটা মাঝারি সাইজের প্যাকেট তুলে দিলে সেটা সাইন করে রিসিভ করল রুমি। ভালো করে প্যাকিং করা। একটু দূরে সড়ে এসে প্যাকেট ছিড়ে ভিতরের সবকিছু ঠিক আছে নাকি দেখে নিল ও! প্যাকেটের ভিতরে অর্ডার করা জিনিসপত্র আর বিশেষ করে সুন্দর করে বাঁধানো অতি প্রাচীন একটা বই দেখে ওর মনটা সাথে সাথেই উড়ু উড়ু হয়ে গেল! অনেক, অনেকদিন ধরে ঠিক এই বইটাই খুঁজছিল রুমি……….
এক
শুক্লাপক্ষের প্রথমরাত। ভরা পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদের আলোয় সবকিছু ঝিকমিক করছে। খোলা জানালা দিয়ে সেই আলো এসে রুমির পুরো ঘরটাই আলোকিত করে রেখেছে! হাতঘড়িতে সময় দেখল ও! রাত বারটা বাজতে দশমিনিট বাকি। বিছানা থেকে উঠে, টেবিলের উপর রাখা একটা বড়বাক্স হাতে নিল ও। তারপর একদম চুপচাপ দরজা খুলে রুম থেকে বের হয়ে আসল ও। বাসার একদম শেষ মাথায় একটা ছোট স্টোররুম আছে, সেটা আজকে প্রাচীন বইটার কথামতো সাফসুতর করে পাকপবিত্র করবে ও। স্বচ্ছ পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় সেই ঘরের তালা খুলে ভিতরে ঢুকল রুমি……
দুই
দরজীর দোকান থেকে পরেরদিন বিকেল বেলা পছন্দমতো বানানো কাপড়গুলি নিয়ে বাসায় ফিরল রুমি। যথেষ্ঠ সাফসুতর করে গতকালকে ঘরটা কাজে লাগানোর মতো তৈরি করলেও, আজকে থেকেই প্রথম সাধনায় বসতে হবে ওর। চান্দ্রমাসের প্রথম সপ্তাহের প্রথম বৃহঃস্পতিবার আজ। সাধনার জন্য একটি নির্জন পাকপবিত্র ঘর নির্বাচন করার কথা বইয়ে পড়ার সাথে সাথেই ঐরুমটার কথা মাথায় আসে ওর। পূর্বমুখি রুম, পর্যাপ্ত আলো বাতাস রুমে আসা যাওয়া করে, রাস্তা থেকে দূরে হবার জন্য কোলাহল আর আওয়াজ মুক্ত থাকে সবসময়, ঠিক যেমন বইটাতে লেখা আছে! পুরোঘরটাই ভালো করে তীব্রভাবে আতর দিয়ে ও সুগন্ধিময় করে তালা দিয়ে রেখেছে গতকালকে থেকে……
বইটার দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী একটি শুভমুর্হুত দেখে আজকে দিনের বেলা প্রয়োজনীয় সব দোয়া কালাম মুখস্ত করে ফেলেছে রুমি। রাত বারটা বাজার সাথে সাথেই বিছানা থেকে উঠে ঐরুমটাতে চলে আসল ও। সেলাইবিহীন একরঙ্গা পশমী কাপড়ের পোষাক পড়ে মাথায় বড় করে বানানো টুপিটা পড়ল। পরিষ্কার মেঝেতে পশমী কাপড় দিয়ে বানানো একটা ছোট কার্পেট বিছিয়ে, পশ্চিমমুখী হয়ে বসে, নতুন একটা কাঠের তসবী কার্পেটের উপর রাখল। নিজের সারাদেহে তীব্র আতর দেয়ার পর, সারাঘরেও একই আতর ভালো করে ছিটিয়ে দিল। এরপর সারাঘরে লাল জংলি গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দিয়ে, সাতের গুনিতক বেশ কিছু নির্দিষ্ট মাপের সাদা পশমী কাপড় বের করে সামনে রাখল রুমি। সর্বপ্রথম এই কাপড়গুলি দিয়ে সাধনার সলতে বানাতে হবে। গোলাপজল, মেশক, কস্তুরী ভালো করে মিশিয়ে প্রতিটা সাদা কাপড়ের উপর বইয়ে দেয়া নির্দিষ্ট একটা নকশা আঁকতে শুরু করল রুমি।
মোট একুশটা সলতে বানানো হলে, সেগুলি কার্পেটের উপর রেখে, কার্পেটের সামনে চক্রাকারে সাতটা মোমবাতি মেঝেতে রেখে জ্বালিয়ে দিল রুমি। এইবার আসল কাজ শুরু করতে হবে……
বইয়ে দেয়া প্রথম দোয়াটা একুশবার অস্ফুটস্বরে বলার পর, দ্বিতীয় দোয়াটাও এগারশত একুশবার একই ভাবে পড়ল রুমি। তারপর, প্রথম বানানো সলতেটা খাঁটি সরিষার তেলে চুবিয়ে মাটির একটা প্রদীপ হাতে নিয়ে সেখানে রেখে আগুনে ধরিয়ে দিল ও। আজকে এই সলতেটাই সারারাত জ্বলতে থাকবে। এইসময়ে একাগ্রচিত্তে রুমি জ্বীন হাজির করার একটা দোয়া নিয়ম মেনে বারবার পড়ে যেতে লাগলো।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। আছমানে সুলেমান চন্ডাল কুন্ডাল,
জিন আখফান আমার বশে আন। জুল জাল মহা ইন্দ্রজাল।
আমার বাক্য ঠেলেনা। জিন আখফান মহাকাল।
সুলেমান নবী আল্লার বাক্যে রও।
আল্লার হুকুম জিন্নি আমার আয়ত্ব হও।
ঠিক এই নিয়মেই আগামী একুশ দিন রুমিকে টানা সাধনা করে যেতে হবে…..
তিন
টানা তিনদিন ধরে সাধনা করে যাচ্ছে রুমি। আজকে প্রায় ভোররাতের দিকে প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে দুইচোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিচ্ছিল ও। হঠাৎ ঘরের টিনের ছাদের উপর ধুপ করে একটা শব্দ হলো। মনে হলো খুব ভারী কিছু যেন একটা ছাদের উপর এসে পড়ল। চোখ খুলে কানখাড়া করে রইল রুমি! ভয় কাটিয়ে জ্বীন হাজির করার জন্য নিয়ম মতো আবার দোয়া পড়া শুরু করল ও-
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। আ’যামতু আ’লাকুম ইয়ামা’
শারাল জিন্নি ওয়াল ইনশি রবতান রবতান, মাহলান মাহলান,
নাশরান নাশরান, মাহশারান মাহশারান, বিহাক্কি সুলাইমানা
পয়গামবারা ইনি দাউদা আ’লাইহমাসসালামা,
হাজির শাও, হাজির শাও, হাজির শাও।
প্রতিবার হাজির শাও বলার সময় একবার করে নিয়ম মতো হাতে তালি দিল রুমি।
এগারবার দোয়া পড়ার পর ঘরের ভিতরেই খচখচ আওয়াজ ক্রমাগত শুনতে পেল ও। মনে হলো খুব ভারী কিছু ঘরের ভিতরে একজায়গা থেকে অন্যজায়গায় কেউ যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখ দুটি থেকে সাথে সাথেই ঘুমের রেশটা কেটে গেল ওর। বৈশাখ মাসের প্রচন্ড গরমের সময়েও ঘরের ভিতর নিঃসীম শীতলতা অনুভব করল ও। কিছু একটা ঠিক নেই! ওর অবচেতন মন বলছে ঘরের ভিতরে কিছু একটা চলে এসেছে। হুট করেই সবগুলি মোমবাতি আর সলতের আগুন ধুপ করে নিভে গেল, সাথে সাথেই শুনতে পেল এক অপার্থিব ফিসফাস আওয়াজ! সেই ফিসফাস যেন প্রতিনিয়ত অনুরণিত হচ্ছে সারাঘরের প্রতিটা কোনা থেকে, একবার জোরে আর একবার আস্তে! শুধুই নিঃসীম গলিত অন্ধকারের মাঝে ভয়ংকর এক চরম বাস্তবতার ক্রমাগত প্রমাণ শোনা যাচ্ছে ফিসফাসের তীক্ষ্মতার এই হঠাৎ তারতম্যে! রুমি সামনে তাকিয়ে দেখল সেই গভীর অন্ধকারের ভিতর থেকে খুব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে একটা অপার্থিব শারীরিক অবয়ব…….
হঠাৎ বদলে যাওয়া চারপাশটা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে দেখতে লাগল রুমি। সিরসির করা একটা ঠান্ডা ভয়ের স্রোত রুমির মাথা থেকে পা পর্যন্ত বয়ে গেল! বইয়ে তো এই রকম হবার কথা লেখা ছিল না। নিয়ম মতো সালাম দিয়ে নাম জিজ্ঞেস করলো রুমি, কিন্তু কোনই উত্তর আসল না। কোন কিছুতে কি ও ভুল করেছে? ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে সেই অবয়ব! স্পষ্ট হয়ে উঠছে বিভৎস পোড়া একটা মুখ, যার চোখের দুইটা গর্তই ফাঁকা। গলে পড়ছে শীর্ন কংকাল প্রায় হাতের চামড়াগুলো। কংকালের মতো মুখের ঠোঁটের কোনায় জমে আছে শয়তানি প্রতিভূ একটা কুৎসিত হাসি। ওটার পায়ের দিকে হঠাৎই নজর গেল রুমির। মেঝে থেকে প্রায় একহাত উপরে শুন্যে ভাসমান অবয়বটার দুইটা পা গোড়ালী থেকে একদম উল্টো দিকে ঘুরানো। কোন শব্দ না করে শুধুই দুইহাত সামনে বাড়িয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে রুমির দিকে। চোখ দুইটা প্রচন্ড আতঙ্কে প্রায় বেড়িয়ে আসতে চাইলো রুমির। অস্বাভাবিক হারে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে ওর, সারা দেহ ঘামে ভিজে যাচ্ছে। অনেক চেস্টা করেও মনে করতে পারল না ঠিক এই সময় কি করতে বলা হয়েছিল বইটাতে! কোন চিৎকারও করতে পারলনা ও! অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল করে শুধুই তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। শুধু হাড় সদৃশ্য হাত দুইটা ওকে স্পর্শ করার আগেই প্রচন্ড আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পরল রুমি……….
চার
রুমিকে পরের দিন সকাল থেকেই বাসায় খুঁজে না পাওয়ায় বাসার সবাই চারিদিকে খুঁজাখুঁজি শুরু করল। আর দুপুরবেলা অজ্ঞান অবস্থায় বাসা থেকে বেশ দূরে একটা বড় পুকুরের পাশে পরিত্যক্ত বাঁশঝাড়ের ভিতর পাওয়া গেল। বাসায় যখন নিয়ে আসা হলো তখনও রুমি অজ্ঞান! সবাই ওর জ্ঞান ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। বাসায় নিয়ে আসার অনেকক্ষন পরে জ্ঞান ফিরে আসল রুমির কিন্তু কিভাবে ও বাঁশঝাড় পর্যন্ত গেল সেটা কিছুতেই মনে করতে পারল না। এর মধ্যেই রুমির গায়ে প্রচন্ড জ্বর চলে আসল। গায়ে পানি, মাথায় পানি ইত্যাদি শত চেস্টার পরও কোনভাবেই রুমির জ্বর কমানো যাচ্ছে না। চোখ বন্ধ রেখেই মাঝে মাঝে অস্পষ্ট স্বরে কি যেন প্রলাপ বকছে রুমি। ভাষাটা এতই দুর্বোধ্য যে কেউ সেটার অর্থও বুঝতে পারল না। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রায় সন্ধ্যার সময় ডাক্তার ডেকে আনার পর উনি রুমির অবস্থা ভাল ভাবে দেখে স্যালাইনের সাথে একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে বললেন পরবর্তি আট নয় ঘন্টা শারীরিক দুর্বলতার জন্য টানা ঘুমাবে রুমি।
রাত প্রায় বারোটা। রুমি এখনও টানা ঘুমাচ্ছে ডাক্তার সাহেবের কথা মতো। রুমির পাশে রুমির আব্বা শুয়ে আছেন। হঠাৎ করেই উনার মনে হলো কে যেন বাইরে থেকে জানালায় জোরে জোরে বাড়ি দিচ্ছে। আবার ঘরের সাথে লাগোয়া বারান্দায় কার যেন হাঁটার আওয়াজ শুনলেন উনি। বিছানা থেকে উঠে বসতেই খেয়াল করলেন রুমি বেশ জোরেই বিছানায় ছটফট করছে। ঘর জুড়ে একটা বিশ্রি পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, প্রায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম। ভয়ে উনি প্রায় সাথে সাথেই জোরে জোরে আয়াতুল কুদসী পড়া শুরু করলেন। ঘরের বিশ্রি পোড়া গন্ধটা কমে আসল আর রুমিও ছটফট বন্ধ করে গভীর ভাবে ঘুমিয়ে গেল। কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সব কিছুই স্বাভাবিক দেখে উনিও রুমির পাশে আবার ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুমের ঘোরে উনি প্রায় এক ঘন্টা পরে খেয়ালও করলেন না রুমির সারাদেহ শুন্যে ভাসতে ভাসতে ঘরের দুইটা বদ্ধ জানালার গ্লাসের সাথে যেয়ে ক্রমাগত বাড়ি খেতে লাগলো..........
পাঁচ
সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে যাবার পরও রুমির জ্বর কমল না। জ্বরের ঘোরে দুর্বোধ্য ভাষায় চিৎকারের সাথে সাথে প্রচন্ড আতংকে বার বার কেঁপে কঁপে উঠছে রুমি। অবস্থা বেগতিক দেখে আশেপাশে সবার সাথে পরামর্শ করে জ্বীন তাড়াতে পারে এইরকম একজন কবিরাজ বা ওঝাকে দুপুর বেলা বাসায় ডেকে আনতে গেল রুমির বাবা।
কবিরাজ বাসায় এসে সবকিছু শুনে রুমির বাবার সামনেই তন্ত্র মন্ত্র পড়ে ফুঁ দেয়া শুরু করল। অল্প কিছুক্ষন রুমি চুপ করে থাকার পর হঠাৎই প্রচন্ড ক্রোধে গর্জন করে এগিয়ে এসে ডান হাত দিয়ে কবিরাজের টুটি চেপে ধরল। কবিরাজের উচ্চস্বরের চিৎকার শুনে আশেপাশের সবাই এগিয়ে এসে কোন রকমে রুমির হাত থেকে কবিরাজকে ছুটাল। রুমির হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথেই কবিরাজ রুমিদের বাসা থেকে বের হয়ে গেল।
রুমির আব্বা যতটুকু বুঝার বুঝে ফেললেন। দিনের বাকী সময় এবং প্রায় সারারাত উনি অথবা বাসার কেউ একজন রুমির পাশে বসে দোয়া কালাম পড়তে পড়তেই কাটিয়ে দিল...............
ছয়
পরের দিন রুমির বাবা নিজ এলাকার জামে মসজিদের খতিব সাহেবের সাথে দেখা করেন। রুমির এই সমস্যার কথা খুলে বলতেই উনি উত্তর দিলেনঃ
-আপনার এই কাজের জন্য ভালো একজন রাকী দরকার। আমি এই কাজ করি না। তবে আপনি যখন এত কষ্ট করে আমার কাছে এসেছেন, আমি আসলেও রুমির উপর আছর হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখছি।
রুমির বাবা'র সামনেই পরিষ্কার পাকা মেঝের উপর উনি মাটি ছড়িয়ে দিয়ে বড় একটা চর্তুভুজ আঁকলেন। তারপর রুমির বাবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে সেই চর্তুভুজের ভিতরে অনেকগুলি ছোট ছোট ঘর কেটে তাতে আরবীতে প্রতিটা ঘরের ভিতরে লিখলেন। তারপর কিছুক্ষন দোয়া পড়ার পর বিসমিল্লাহ বলে রুমির বাবার দেয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে সুনির্দিস্ট একটা দোয়া পড়তে পড়তেই ছোট ছোট ঘর গুলি নিজের আংগুল দিয়ে কাটতে শুরু করলেন। দোয়া পড়া শেষ হলে শেষ পর্যন্ত একটা ঘর কাটতে বাকি রয়ে গেল দেখে উনি রুমির বাবাকে বললেনঃ
-রুমির উপর অবশ্যই আছর হয়েছে। আপনি অতি সত্তর ভালো কোন একজন রাকীর সাথে দেখা করুন।
রুমির বাবা এইরকম রাকী কাউকেই চেনেন না বলে খুব করে অনুরোধ করলেন উনার পরিচিত ভালো একজন রাকী'র ঠিকানা দেয়ার জন্য। খতিব সাহেব উঠে যেয়ে ভিতর থেকে একটা কাগজ লিখে এনে রুমির বাবার হাতে দিয়ে বললেন খুব তাড়াতাড়িই যেন উনার সাথে যোগাযোগ করা হয়……
পরের পর্ব আগামী পরশুদিন পোস্টে দেয়া হবে।
১। জ্বীন আছর করার সঠিক পদ্ধতিটা আমি ইচ্ছে করেই কিছুটা পরিবর্তন করে লিখেছি। বলা তো যায় না, কেউ যদি নিজের আগ্রহ নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে…….
২। জ্বীন জাতীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না, কারন পবিত্র কুরআন শরীফে বহুবার এদের কথা বলা হয়েছে।
উৎর্সগঃ
আমার খুব প্রিয় করুণাধারা আপুকে। এইসব রহস্যময় বিষয়গুলি আপুর খুব প্রিয়। ঠিক জানি না কতটুকু ভালো লিখতে পেরেছি! দ্বিতীয় পর্বও লেখা শেষ। মূল্যায়নের দায়ভার যথারীতি আমার সম্মানিত পাঠকদের কাছেই রেখে গেলাম।
এই সিরিজের আগের গল্পগুলি যারা পড়তে চান, তাদের জন্য-
১। গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা! (প্রথম পর্ব)
২। গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা! (দ্বিতীয় পর্ব)
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, এপ্রিল, ২০১৯